আমার খুচরো আপত্তি সত্ত্বেও ডাক্তারবাবু বলেছেন তাই সাতসকালেই আমাদের হাঁটাহাঁটির পর্ব শুরু হলো। প্রথম প্রথম বাড়ির উঠানের ওপর কয়েকদিনের ট্রায়াল রানের মতো ট্রায়াল ওয়াকের প্র্যাকটিস পর্ব চলল । তবে এসবে তেনার তেমন জুৎ হলোনা। আমার এই গরিমসি, অনীহা দেখে একেবারে ডাক্তারবাবুর কায়দায় শুনিয়ে দিলেন – “শুনুন,বডি ওয়েট একদম বাড়তে দেওয়া চলবেনা। ওজন বাড়ালেই সুরসুর করে শরীরে হাজারটা রোগ এসে বাসা বাঁধবে। মর্ডান সায়েন্স বলছে প্রতিদিন আপনাকে কম করে দশ হাজার পা হাঁটতে হবে শরীর ঠিকঠাক রাখতে হলে। সুতরাং আর দেরি না করে হাঁটুন, Make it a habit. There is no substitute for walking.”
সহধর্মিনীর তরফে এমন নিখুঁত রেন্ডিশনের পর আর উঠোন দাপিয়ে হাঁটাহাঁটি করা সাজেনা । এই ভেবে পাঁজি দেখে এক শুভ দিনে সকালে দুজনে একসাথে পদযাত্রায় বেড়িয়ে পরলাম ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মতো। মনে মনে বললাম, এতে যদি ওষুধপত্রের খরচে কিছুটা রাশ টানা যায় তাহলে বেঁচে যাই।
সকালবেলাটা সত্যিই সুন্দর। হালকা ঠাণ্ডায় বেশ উপভোগ্য শহরতলির সকালবেলা। রাস্তায় বেরিয়ে দু পা হাঁটতে না হাঁটতেই দেখি গিন্নি মহোদয়া ইষ্টমন্ত্র জপার মতো করে পদক্ষেপের সংখ্যা গুণছেন। আমি বুঝিয়ে বললাম – “দেখো, এই গোণাগুণির চ্যাপ্টার বন্ধ করো। রাস্তায় নেমে যদি নামতা মুখস্থ করতে হয়, তাহলে হাঁটবো কখন?”
– “ডাক্তারবাবু যে বললেন প্রতিদিন অন্তত দশ হাজার পা হাঁটতে হবে , না হলেই নাকি সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরল , ইউরিক অ্যাসিড সব বেড়ে যাবে?”- কন্ঠস্বরে উদ্বেগ ধরা পড়ে।
খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বলে ফেললাম – “গুলি মারো তোমার ওই ডাক্তারবাবুর এ্যাডভাইসরিতে, সে নিজে সারাদিনে ক পা হাঁটে তা বলতে পারো? সারাদিন তো যকের মতো চেম্বার আগলে বসে আছে।”
ধাতানিতে কাজ হয়। পরেরদিন হাঁটতে গিয়ে দেখি ডিঙি নৌকার মতো বেশ তরতরিয়ে আমাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছেন। গাদা বোটের মতো ধীর পদক্ষেপে পিছে পিছে হাম।
এভাবেই কেটে গেল দিন পাঁচ ছয়। গোল বাঁধলো সপ্তম দিনে। কথায় বলেনা সাত পাঁকে বাধা। সেদিনও বেড়িয়েছি। ঘড়িতে তখন সাড়ে পাঁচটা। খানিকটা গিয়েই তিনি বলেন –“শোন,তুমি
এই ডান দিকের রাস্তায় যাও , আমি বাঁ দিকে যাচ্ছি। পেয়ারা বাগানের মোড়ে আবার দেখা হবে।” এমন কথা শুনে আমার তো মেজাজ আবার তিরিক্ষি। বললাম – “আমরা তিন পুরুষ ধরে বাঁ দিক ঘেঁষা পাবলিক। আমি বাঁয়ে যাবো।” এ নিয়ে বিতর্ক অবশ্য খুব বেশি গড়ায় না। আমি নিরাসক্ত বামাচারী হয়ে বাঁ দিকের পথ ধরলাম।
পেয়ারা বাগানের মোড়ে এসে আরেক বিপত্তি । কদম কদম বাড়ায়ে পা আমিতো পৌঁছে গেছি, এদিকে তেনার দেখা নাইরে, তেনার দেখা নাই। মানুষটা গেল কোথায়? এতো দেরি হবার তো কথা নয়। তাহলে? মাথার মধ্যে নানারকম প্রশ্ন কিলবিল করা শুরু করলো। বাড়ছে উদ্বেগ।
মিনিট পনেরো কেটে যাবার পর দেখি ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে তিনি গলির মুখে উদয় হয়েছেন। আমিই একরকম ছুটে যাই। “ আরে কী হলো? পড়েটরে গেছো নাকি? চটি ছিঁড়ে যায় নি তো? কারো সঙ্গে গল্প করছিলে?” – একরাশ প্রশ্নের সামনে পড়ে তিনিতো নতুন করে রীতিমতো বেসামাল। চারিদিকে তাকিয়ে,গলা নামিয়ে ফিস ফিস করে বলেন – “পায়ের কড়াগুলো বড্ড কষ্ট দিচ্ছে। তাই দেরি হলো।” অগত্যা দুজনেই পা গুটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সাহেবি কেতায় মর্নিং ওয়াক পর্বের ওটাই ছিল আখরি দিন।
( ২ )
‘কড়া’ বা corn এবং calluses হলো চামড়ার একটা শক্ত হয়ে যাওয়া অংশ। শরীরের যেকোনো অংশেই এমন শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়ার দেখা মিললেও সাধারণত আমাদের পায়ে, হাতে অথবা হাতের আঙুলে এমন কড়ার দেখা পাওয়া যায়।
আমাদের নজরে কড়া এবং calluses একই রকমের সমস্যা বলে মনে হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এই দুই ধরনের শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়ার চরিত্রের মধ্যে সামান্য ফারাক আছে। কড়া গুলো আকারে ছোট এবং খানিকটা গোলাকার হয়। অন্যদিকে calluses আকারে শুধু বড়ো নয় , এরা অনেকটা বিস্তৃত হয়। পায়ের পাতার নিচেরদিকে যে অংশে হাড় রয়েছে সেখানে গড়ে ওঠে calluses. আসলে শরীরের ওজন পায়ের যে অংশে সবথেকে বেশি পড়ে সেইসব অংশ যেমন – পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতা, পায়ের গুলফ্ এবং পায়ের দুপাশ – calluses গঠন প্রবণ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হাতেও অনেকসময় এই শক্ত চামড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের হাতের তালুর নানান অংশে ঘষা খাবার সম্ভাবনা বেশি যেমন – যাঁরা তার যন্ত্র বিশেষ করে গীটার, সেতার, সরোদ ইত্যাদি বাজান তাঁদের আঙুলের ডগায়, ভারোত্তোলন বা জিমন্যাস্টিকস যাঁরা করেন তাঁদেরও হাতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরী সমস্যা হিসেবে ততটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে না হলেও চরিত্র ভেদে কড়ার কয়েকটি রকমফের দেখা যায়। যেমন–
- Hard Corns বা শক্ত কড়া এই ধরনের কড়া গুলো আয়তনে ছোট হলেও শক্ত হয়ে ওঠা চামড়ার ওপর বেশ ঘন হয়ে অবস্থান করে। পায়ের পাতার ওপরের দিকে যেখানে চামড়ার ওপর হাড়ের চাপ বেশি পড়ে সেখানেই শক্ত কড়া দেখা যায়।
- Soft Corns বা নরম কড়া নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ধরনের কড়া গুলো তুলনায় নরম। এগুলো সাদাটে বা ধূসর রঙের দেখতে হয়, অনেকটাই রবারের মতো। পায়ের আঙুলের ফাঁকে এই ধরনের কড়া দেখা যায়।
- Seed Corns বা দানা কড়া পায়ের তলার ছোট ছোট কড়া।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে কড়া পড়ার মূল হেতু হলো ত্বকের কোনো বিশেষ অংশে ক্রমাগত ঘর্ষণ, ঘষাঘষি, চাপ পরা ইত্যাদি। চামড়ার যে অংশের নিচে হাড় রয়েছে, যে অংশের ওপর হাঁটাচলার সময় চাপ বেশি পড়ে ,লক্ষ করে দেখা গেছে সেই অংশেই চামড়া শক্ত হয়ে গিয়ে কড়া বা callus তৈরি হচ্ছে। হাতের ক্ষেত্রেও চামড়ার যে অংশে ক্রমাগত ঘষাঘষি হয় সেই অঞ্চলেই প্রধানত callus বা কড়া দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরের ভেতরে কতগুলো স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধী ব্যবস্থা থাকে যা শরীরের ক্ষয়ক্ষতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কড়া সম্ভবত তেমনি এক প্রতিরোধ ব্যবস্থার অঙ্গ যা চামড়া তথা পেশির অংশকে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
( ৩ )
কেন এবং কাদের এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে? এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে –
- সঠিক মাপের জুতো না পরা
পায়ের যে কোনো সমস্যার পেছনে পায়ের জুতোর একটা বড়ো ভূমিকা রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে , যে জুতো বা চটি আমরা পায়ে দিচ্ছি তা অনেক সময় ঠিক পায়ের মাপসই হয়না। জুতো খুব টাইট বা আঁটো হলে তা পায়ের পাতার কতগুলো বিশেষ অংশে ক্রমাগত চাপ ও ঘষা খায়। এরফলে পায়ের ঐ বিশেষ অংশের চামড়া শক্ত হয়ে উঠে কড়ার সৃষ্টি করে। পায়ের পাতা জুতোর মধ্যে যত মেলা থাকবে ততই কড়া পড়ার আশঙ্কা কমবে।
মহিলাদের মধ্যে হাই হিলের জুতো পড়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। এরফলে পায়ের গুলফে চামড়া শক্ত হয়ে calluses তৈরি করে। এক্ষেত্রে চলাফেরার সময় পায়ের এই বিশেষ অঞ্চলে বাড়তি চাপ পড়ে যার ফলে এই সমস্যায় পড়তে হয়।
- পেশাগত জীবনে যাঁদের দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অথবা চলে ফিরে হেঁটে কিংবা ছোটাছুটি করে কাজ করতে হয় তাঁদের পায়েও এই ধরনের কড়া দেখা দিতে পারে।
- খেলোয়াড় কিংবা শ্রমজীবী মানুষ যাঁদের পায়ের ওপর ক্রমাগত চাপ বা ঘর্ষণের প্রভাব পড়ে , তাঁদেরও অনেক সময় এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে হয়।
- জুতোর সঙ্গে মোজা না পরার ফলে পায়ে কড়া দেখা দিতে পারে। খালি পায়ে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস আছে যাঁদের তাঁরাও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে মোজা ঢিলেঢালা হয়ে গিয়ে পায়ের গোছের কাছে নেমে এলে তার জন্য ঘষাঘষি বেড়ে যায় যা কড়ার সৃষ্টি করে।
- ত্রুটিপূর্ণ চলন ভঙ্গিমার ফলেও পায়ে কড়া দেখা যায়। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা হাঁটাচলার সময় পায়ের পাতা সম্পূর্ণভাবে না পেতে বাইরের অথবা ভেতরের মাংসল অংশের ওপর বাড়তি চাপ দিয়ে হাঁটাচলা করেন।এই ত্রুটিপূর্ণ চলন ভঙ্গিমার জন্য পায়ে কড়া পড়তে পারে।
- জন্মগত ত্রুটির কারণে অথবা পায়ের গঠনগত সমস্যা থাকলেও কড়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। অনেকের মতে এই সমস্যাটি একটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা।
( ৪ )
কড়া নিয়ে আমাদের মধ্যে যে সচেতনতা রয়েছে তা বোধহয় নয়। এই কারণে খুব সমস্যায় না পড়লে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ভাবতেই চাইনা আমরা । যেহেতু corn বা কড়ার সৃষ্টির পেছনে আমাদের অসচেতনতা অনেকটাই দায়ি, সেই কারণে কিছু বিধিনিয়ম মেনে চললে কড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন নয় বলেই মনে করেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে –
১.এমন জুতো পড়তে হবে যা পায়ের পাতা সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরে। বারবার পায়ের আঙ্গুল নড়াচড়া করতে হচ্ছে এমন জুতো পায়ের পক্ষে মোটেই উপযুক্ত নয়। এমন সমস্যা হলে জুতোর দোকানে যোগাযোগ করতে হবে যাতে তাঁরা সমস্যাটি দূর করতে পারেন।
২.যে সমস্ত অংশ আক্রান্ত হয়েছে সেই অংশে নরম আবরণী ব্যবহার করতে হবে যাতে করে ঘষাঘষি কম হয়। আমাদের দেশে এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে এই ধরনের যত্নআত্তির চেষ্টা বেশ কম।
৩.যারা কলকারখানায় কাজ করেন তাঁরা যদি কাজের সময় প্যাড যুক্ত ভালো মানের দস্তানা ব্যবহার করেন তাহলে এই সমস্যাটিকে এড়ানো সম্ভব।
৪.যারা পা ঢাকা জুতো পরেন তাঁরা নিয়মিত ভাবে পায়ের নখ কাটবেন। নাহলে বেড়ে যাওয়া নখের চাপে পায়ের ওপর চাপ বাড়লে তা থেকে কড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
৫.পায়ের কড়া যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠলে মেডিকেটেড corn cap ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া পরিচর্যা রয়েছে যেগুলো এই সমস্যা থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে সমস্যার গভীরতা অনুসারে এগুলো পরিবর্তনীয়। ঠিক কী কারণে এই সমস্যাটি তৈরি হয়েছে তা নির্ণয় করতে পারলে এই পরিচর্যার কাজটি সহজ হবে। তবে সাধারণ পরিচর্যার নিয়মগুলো হলো –
১. আক্রান্ত অংশটিকে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ৫ – ১০ মিনিট ধরে ডুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ না আক্রান্ত অংশের চামড়া নরম হচ্ছে।
২.একটা পিউমাইস স্টোনকে জলে ভিজিয়ে নিন।
৩. আক্রান্ত অংশের ত্বকের মরা টিস্যুর ওপর পিউমাইস স্টোনকে সাবধানে ঘষে ঘষে মরা চামড়াকে তুলে ফেলুন। কোনো অবস্থাতেই জোরে ঘষবেন না।এতে অন্যান্য অংশের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পিউমাইস স্টোনকে একভাবে ঘষবেন।
৪. খেয়াল রাখবেন যাতে আক্রান্ত অংশ থেকে কোনোরকম ভাবেই রক্তপাত না হয়। তেমন হলে ওখানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
৫.আক্রান্ত অংশে নিয়মিত ভাবে ইউরিয়া অথবা অ্যামোনিয়াম ল্যাক্টেট সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজিং ক্রিম লাগান।
৬. নিয়মিত নিজের পা নিজেই পরীক্ষা করুন। কোনো সমস্যা নজরে এলে সত্বর ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন পায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকার অর্থ হলো আপনার দেহ মন্দিরের হাল ভালো থাকা।
** কোনো অবস্থায় ব্লেডের সাহায্যে আক্রান্ত অংশের চামড়া কেটে ফেলার চেষ্টা করবেন না।এতে হিতে বিপরীত হবে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মধুমেহ রোগে আক্রান্ত মানুষেরা পায়ের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্নবান হবেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
ছবির জন্য প্রচলিত চিত্র উৎসের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সকলের কাছে ঋণ স্বীকার করছি বিনম্র কৃতজ্ঞতার সঙ্গে।
২৯ জুলাই,২০২৪
কড়ার প্রতি লেখকের কড়া নজর। ফলে কিছু কড়া উপদেশ প্রাপ্তি ঘটল ।
তবে কড়া- কথায় উপনীত হওয়ার আগের পর্বটি কড়া পাগের ক্ষীরের মতোই উপভোগ্য।
অচল চরন কে সচল তো করতেই হবে।কারন চলাই ,হলো জীবন।তাই এই কড়া নামক উপসর্গ টির হাত থেকে রেহাই পেতে হলে লেখক বর্নিত সাবধানতা মেনে চলাই বিধেয়।