গতকাল একজন ভেটেরিনারি সার্জেন এসেছিলেন আমার কাছে। মায়ের রিপোর্টগুলো দেখাতে। ওঁর মা আমাকে দেখান।
ভদ্রলোকের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে পূরণ হয় নি, জয়েন্টে চান্স না পাওয়ায়।প্রবাসী এক কাকার পরামর্শে ভেটেরিনারি সায়েন্স পড়েন। সরকারি চাকুরে, পোস্টিং ইদানীং খবরের কাগজের সূত্রে বিখ্যাত (অথবা কুখ্যাত) একটি জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে বললেন, পেশাগত দুর্দশার কথা!
– কি সাংঘাতিক চাপ নিয়ে যে কাজ করি ভাবতে পারবেন না স্যার! সামান্য ব্যাপারে নেতা নেত্রীদের দাপাদাপি! হুমকি, অপমান করা! চেয়ার টেবিল উল্টে দেওয়া!
আচ্ছা বলুন তো, ইচ্ছে করে কি আমি কোনো অবলা প্ৰাণীর ক্ষতি করতে পারি? শেষ অবস্থায় নিয়ে আসবে, সব দোষ কি আমার? পশু হাসপাতাল হবার আগে কি গোরু ছাগল মরত না! আপনিই বলুন স্যার!
কিছু বলতে পারলাম না!
ভদ্রলোকের সঙ্গে একটা গভীর আত্মীয়তা অনুভব করলাম!