কেউ দৌড়চ্ছে
লুটেপুটে খেতে, মারতে।
কেউ দৌড়চ্ছে
বাঁচতে, বাঁচাতে।
পার্থক্য তো হবেই!
আমাদের ছোটবেলায় মাষ্টারমশাইরা
টুকলি করা ছেলেদের পিঠে
গদাম করে একটা কিল বসিয়ে
হাসতে হাসতে বলতেন,
যে পরিশ্রম করে চোথাটা বানাচ্ছিস
তার অর্ধেক পরিশ্রম করলে তো
পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যেতিস!
এখনকার সেই টুকলি করা ছেলেরা
মাষ্টারমশাইয়ের পিঠেই
গদাম করে বসিয়ে দেয় একটা কিল।
পার্থক্য তো হবেই! বলে
খুন করে ফেলব বাড়াবাড়ি করলে।
এ নৈরাজ্য, এ হুমকি সংস্কৃতি চলছে
সব সময়, সব ক্ষেত্রে।
স্কুল থেকে কলেজ,
চাকরি থেকে ব্যবসা,
কেউ রেহাই পাচ্ছে না
নবজাতক থেকে মুমূর্ষু বৃদ্ধ পর্যন্ত।
মেধাবী ও সৎ যারা,
তারা সাধারণত শান্তিপ্রিয়।
কোনও ঝামেলায় যেতে চায় না।
কিন্তু পিঠে ঠেকার দেওয়ালও
যখন ভেঙে যায়,
তখন তারাই হয়ে ওঠে
এক একটা মাস্টারদা, নেতাজি।
আর তখন হাজারবার
নিকৃষ্টতম জয়ীদের জয়কে
ছাপিয়ে যায় একবার মাত্র
উৎকৃষ্টতমদের জয়।
কারণ তারা মানসিক শক্তিতে নিশ্চিহ্ন করে দেয়
সব নিকৃষ্টতম ও নির্বোধ
উগ্রপন্থী পাপীদের।
এই ২০২৪ এর আগেও
এভাবে এসেছিল
সিপাহী বিদ্রোহ, স্বাধীনতা সংগ্রাম।
স্বাস্থ্য আন্দোলন এমনই আর এক
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।
ভয় থেকে স্বাধীনতা।
অমেরুদণ্ডী থেকে মেরুদণ্ডী
হয়ে ওঠার স্বাধীনতা।
ন্যায় যখন যেতে,
তখন তা হয়ে ওঠে ইতিহাস।
ভবিষ্যত পৃথিবী মনে রাখবে
ভারতের এক রাজ্যে
২০২৪ এ অস্ত্রহীন কিছু মেধাবীর
নিজেদের বাঁচানোর যে
মরণপণ লড়াই শুরু করেছিল,
তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে।
২০.০৯.২০২৪









