জন্ম হলে আদর করে
এবার মেয়ের নাম রেখো না পদ্মাবতী!
কেউ বলেনি?
অমন নামে একটি মেয়ের
ভীষণ ক্ষতি … ভীষণ ক্ষতি!
একরত্তি মেয়েটি যার দাঁত ওঠে না,
কালনাগিনী পোষে না যে ছোবল দেবে!
তবে কেন ভাবছো শুধু – দুধ আর কলায় করবে পুজো?
ভাবছো কেন, ওই মেয়েটি তোমার থেকে শুধুই নেবে?
ছাপিয়ে যাওয়ার গুণ আছে যার নিজের ভেতর,
কেনই বা সে অকারণে বয়ে যাবে?
অকারণে ভাবছো – মেয়ে ঘর ভাঙানো, কুল ভাসানো নদী হবে!
যখন একটি মেয়ে চাষ করে খায়,
যখন একটি মেয়ে মেডেল আনে,
যখন একটি মেয়ে গাইতে লিখতে সবই পারে,
সেই একটি মেয়ে জন্ম নেবে তোমার ঘরেই –
নামকরণের আগে তুমি
এমন ধারা ভাববে কবে?
একটি মেয়ে তোমার ঘরে জন্ম নেবে –
এরচে’ বড় আশীর্বাদ আর কি চাও তুমি?
সব মেয়েই বীরাঙ্গনা – যুদ্ধে তুমি নামিয়ে দেখো!
তবু কেন সফল কোন বীরপুরুষের পাণি ভিক্ষা?
লড়তে পারে যেই মেয়েটি বাইরে ঘরে, জলে স্থলে,
অলিম্পিকেও ,
দু’বার ভেবে সেই মেয়েটির নামটি রেখো!
যে মেয়েটি ভবিষ্যতে জন্ম নেবে, রূপ লাবণ্য নাই বা থাকুক,
নাই বা তাকে হাজার প্রেমিক খুঁজে বেড়াক,
নাই বা তাকে কিনতে আসুক রাজা মশাই রাজ্য বেচে!
একলা মেয়ে সব মেয়েই, জীবনটা তার এমনিতেই মহাকাব্য!
তোমরা কেন তাকে নিয়ে কাব্য লেখার ভাণ করবে?
দাও না সুযোগ – একটি মেয়ে কবিতা হোক নিজেই যেচে!!
জন্ম হলে আদর করে
এবার মেয়ের নাম রেখো না পদ্মাবতী …
জেনে রাখো – অমন নামে একটি মেয়ের ভীষণ ক্ষতি … ভীষণ ক্ষতি।