আর্যতীর্থের কবিতাঃ
। হোক।
ও দুটো পরীক্ষা নয়,
জীবনের মাপজোক শেখা।
আগামী রণাঙ্গণে যখন লড়তে হবে একেবারে একা,
জীবিকা অ্যানসারশিট চেয়ে নেবে নির্দিষ্ট সময়ের পরে,
ওই পরীক্ষাদুটো ঠিক করে দেয়,
কে খাতা জমা দেবে কমপ্লিট করে।
সামাজিক পাঁচিলকে ভাঙতে চাইছে যারা মেধার গুঁতোতে,
তাদের হাতিয়ার ওই পরীক্ষাদুটো ।
ভাগ্য ঝুলছে আজ মারীর সুতোতে,
ক্যাঁচ করে কেটে দিলে কোথায় তলিয়ে যাবে কে বলতে পারে!
যুদ্ধে যেতে না দিলে,
ওদের নিশ্চিত জয় বদলাবে হারে।
ফোকাস, ফোকাস চাই,
আজীবন যে কোনো লক্ষ্যপূরণে,
সেটাই শেখায় ওই পরীক্ষাদুটো।
সময়ে জবাব যেই আসে স্মরণে,
প্রশ্নপত্র দেখে আশংকা মুছে যেই ভরসা জন্ম নেয় নিজের ক্ষমতায়,
তক্ষুণি, ঠিক তক্ষুণি,
গোটা এক প্রজন্ম দুধুভাতু ভান ছেড়ে বড় হয়ে যায়।
প্রশ্ন সহজ করে সর্বনাশের কষি আলগা হয়েছে বহু আগে।
ভালো নম্বরে আজ শ্রম নয়,
রায় ও মার্টিনের প্রশ্নবিচিত্রা লাগে,
নম্বর জ্ঞানের ওপরে বলে স্কুলগুলো হেরে যায় কোচিংয়ের কাছে,
তবু কোনো দূর গাঁয়ে প্রথম প্রজন্ম পড়ে,
কারণ ওই পরীক্ষাদুটো আছে।
বড়দের ভোট হয়,
কুম্ভের স্নান হয় ,
ঈদ জমায়েত হয়,
বিয়ে শাদি সব হয়,
গুরুত্ব অনুযায়ী সবকটা যোগে
তারা ওই পরীক্ষাদুটোর কাছে কিছু নয়।
ভারতের শিরদাঁড়া কারখানা ওরা ,
কত দৃঢ় হবে সেটা আশু আগামীতে,
জানা যাবে শিগগিরই ।
তৈরি হবেনা মোটে পাশ হলে ফ্রি-তে।
হবে কি না সে প্রশ্ন ভুলে যাওয়া যাক।
বরং কি ভাবে হবে হোক পথ ভাবা।
জানি তা সহজ নয়,
চারদিকে ওত পেতে নখ বের করে আছে কোভিডের থাবা,
তবু এত স্টেডিয়াম আছে, এত খোলা মাঠ,
ওরা যদি হতে পারে এতে ব্যবহার,
কোভিড ঠেকানো যাবে।
সঠিক প্ল্যানিং চাই ,
বিজ্ঞানী শিক্ষক সকলকে নিয়ে বসে যান সরকার।
অবশ্য তারও আগে,
তার বহু বহু আগে
পরীক্ষা হতেই হবে ভাবা দরকার।