আকাশে পাখিদের উড়তে দেখেছেন? কী ভাবছেন ? আপনাদের সঙ্গে মশকরা করছি ? না, না। তেমন কিছু নয়। পাখিদের উড়ান নিয়ে যদি খুব সহজ কয়েকটি প্রশ্ন করি তাহলে আমাদের অনেকেরই কিন্তু ঘুম ছুটবে। এইটুকু পড়ার পর যদি পাখিদের ওড়ার কায়দাটা পরখ করতে একটু ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ান তাহলে দেখবেন , যে ঢঙে চড়াই উড়ছে তার থেকে শালিখ পাখিদের ওড়ার ভঙ্গিমা বিলকুল আলাদা। পায়রা মাটি থেকে যে উচ্চতায় ওড়ে টুনটুনি পাখির কখনোই সেই উচ্চতায় ওড়ার প্রয়োজনই হয়না। উড়ান ভঙ্গিমার এমন ফারাক ঘটার পেছনে একাধিক শারীরবৃত্তীয় এবং আহার্য সম্পর্কীয় বিষয় যুক্ত আছে। তবে মাটির ওপরে যে উচ্চতাতেই তারা ডানা ঝাপটে খ-পথে বিচরণে অভ্যস্ত হোক না কেন, ওড়াউড়ির পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকা যে কোনো রকম বাধা, তা সে নিছক প্রাকৃতিক হোক অথবা মানুষের তৈরি, তাদের আপন আনন্দে উড়ে চলার ছন্দকে বিলকুল ব্যাহত করে। অথচ মানুষ নিরন্তর পাখিদের ওড়ার পথে আকাশছোঁয়া হর্ম্যমালা নির্মাণ করে চলেছে তাঁদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। এমন বাড়ির সারি পাখিদের ওড়ার স্বাধীনতা কেড়ে নেবারই সামিল, বিশেষ করে ছোটখাটো চেহারার পাখিরাতো বটেই বছরের বিশেষ সময়ে ডানা মেলে দূরদূরান্তের পথে পাড়ি দেওয়া পরিযায়ী পাখিরাও পড়তে চলেছে মহা সমস্যায়।
বলাবাহুল্য এই রাজকীয় প্রকল্প রূপায়ণের পেছনে প্রধানত যে ভাবনা কাজ করেছে,তাহলো ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে মাথায় রেখে নয়া বসতি স্থাপনের ইচ্ছে। আগাগোড়া বহুমূল্য বিশেষ ধরনের কাঁচ দিয়ে তৈরি করা হবে প্রাচীরের মতো খাড়া, আকাশের দিকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এইসব বাড়িগুলো। সরকারিভাবে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে The Line. প্রকল্পের সাথে বিশ্ববাসীর পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলা হয়েছে – ‘দ্যা লাইন হলো ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে গড়ে তোলা এক আশ্চর্য আশাবাদী নগরায়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তা হবে পৃথিবীর বিস্ময়। মরুভূমির বাস্তু পরিবেশকে অস্বীকার বা উপেক্ষা করে নয়, এই প্রকল্প স্থাপত্যবিদ্যার নবতম উদ্ভাবন এবং বাস্তু পরিবেশকে সংরক্ষণ করেই রূপায়িত হবে।’ কিন্তু এই আপ্তবাক্যে মোটেই সন্তুষ্ট নন পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে আম জনতার একাংশ। দুপক্ষের আলোচনা চলুক প্রকল্পের ভালোমন্দ,উচিৎ অনুচিতের দ্বন্দ্ব নিয়ে, আমরা বরং সেই অবসরে দ্যা লাইন প্রকল্পের কথা আর একটু বিশদে জেনে নিই।



ঋণ স্বীকার
নিওম প্রকল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট।
মে ০৩,২০২৫.














জলের সংস্থান হচ্ছে কিভাবে?
কিছুই থেমে থাকবেনা স্যার! আমরা চক্রব্যুহে ,বেরোনার পথ নেই।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নির্মাণ প্রকল্প। পেট্রো ডলারের দৌলতে সব পরিস্থিতিকে নিজেদের মতো করে নেবার চেষ্টা। চক্রব্যুহই বটে। বাঁচার চেষ্টা, বাঁচানোর চেষ্টা করে যেতে হবে তবুও।
জীব বৈচিত্র্য ও প্রকৃতি আজ সর্বক্ষেত্রে কঠিন সংকটের সন্মুখীন। আজ মানুষের অনন্ত আকাংখার সকল পরীক্ষা র ক্ষেত্র রূপে প্রকৃতির উপর ক্রমাগত আঘাত আসছে। হয়তো বা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই জীব জগত ও বিকল্প কিছু উপায় খুঁজে নেবে নয়তো বা বিলুপ্ত হবে। আমরা ও চাই অন্ততঃ খোলা আকাশে পাখিরা অবাধে বিচরণের রাস্তাটা খুঁজে নেবে
মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আসলে এই লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সংলাপের একটা মুক্ত পরিসর তৈরি করতে চাই। একটা খোলামেলা বাতাবরণ তৈরি না হলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা কঠিন। আমাদের মতো নগণ্য মানুষের পক্ষে কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। কেবল আওয়াজ তুলে যেতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পৃথিবীতে পাখিদের সংখ্যা কমছে।