একশো বছর ধরে ভারতে এবং গোটা বিশ্বেই মানুষের আয়ু বেড়েছে। ১৮০০ সাল নাগাদ ভারতের মানুষদের ‘জন্মের সময়ে প্রত্যাশিত আয়ু’ ছিল ২৫ বছরের সামান্য বেশি, আর ২০০০ সালে এই আয়ু দাঁড়াল প্রায় ৭০ বছর, এটা বিশ্বের গড়ের চাইতে কম। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৫০ বছরের কম, ২০১৯-তে সেটা বেড়ে দাঁড়াল ৭২.৮ বছর।
.
কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ২০২০ সালের কাছাকাছি এসে দেখা গেল, বিশ্ব বা ভারতে আগের মতো আয়ু বাড়ছে না। বিশ্বে প্রত্যাশিত আয়ু ২০১৯ সালের ৭২.৮ বছর থেকে ২০২১ সালে নেমে এসে হল ৭১ বছর। এর কারণ কিন্তু কেবল কোভিড-১৯ নয়, হৃদরোগ, ক্যানসার, অ্যাক্সিডেন্ট বা ডায়াবেটিসের মতো জীবনযাত্রা-জনিত রোগও এই আয়ু-হ্রাসের পেছনে ছিল। উন্নত ও সচ্ছল দেশগুলোতে কোভিড-১৯ শুরুর আগে থেকেই আয়ু প্রায় বাড়ছে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট জানাচ্ছে—
.
“…ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু দেশে [কোভিড-১৯] মহামারি আসার আগেই আয়ুবৃদ্ধির হার কমে গেছিল বা থেমে গিয়েছিল… উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়ু থমকে গেছে, সেটার বড়ো কারণ হল কার্ডিয়োভাস্কুলার (হৃদযন্ত্র ও রক্তনালী) রোগের মৃত্যুহার তেমন না কমা।”
.
তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসেব বলছে, আয়ু কমবে না, বরং বাড়বে। সব কিছু রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসেবমাফিক চলবে, এমন আশা রেখেও কয়েকটা কথা ভাবা দরকার।
.
আজকের যত্নশীল সচ্ছল মা-বাবারা নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য উজাড় করে খরচ করছেন। তবু তাঁদের কারও কারও সন্তানেরা হয়তো কম বয়সেই মারা যাবে, এবং সেটাকে নেহাত দুর্ঘটনা বলা যাবে না। সামর্থ্য থাকলে অনেক মা-বাবাই সন্তানকে বেশি খাওয়ান আর পরিশ্রমের কাজ করতে দেন না, ফলে তারা নানা অসুখে ভোগে, এবং সেই সব অসুখ কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। আজকের শিশুদের অনেকেই স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, নানা ধরনের ক্যানসার ও মানসিক ব্যাধিতে ভুগবে, এবং সম্ভবত এসব রোগেই মারা যাবে।
.
এটা ভীতিকর, কিন্তু অবশ্যম্ভাবী নয়। কীভাবে ঠেকানো যায় এই মহামারি? সে নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বই।
দাঙ্গা
আয় রে আমার সিদ্দিকুল্লা, হুঙ্কারে কর বধির। আয় হুমায়ুন, কাত্তিকও আয়, শিকার হবেই অধীর। সব আইএএস আইপিএসরা নীতির প্রশ্নে নাঙ্গা। সরকারই তার দরকারে আজ সাজিয়ে