আমাদের ৫ জুনের ক্যাম্পটি নির্দিষ্ট ছিল কুলতলির দেউলবাড়িতে। আমাদের মেডিক্যাল টিমের দায়িত্বে ডা অর্ণব সাহা ও আমি ডা শর্মিষ্ঠা রায় ছিলাম। আমাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন সাকিরুদ্দিন শেখ। বীরভূমের মল্লারপুর উৎনৌ থেকে কুনাল দেব ও কোলকাতার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের উত্থান সংস্থা থেকে ড. সংঘমিত্রা মুখার্জি এসেছিলেন ২০০ ত্রিপল নিয়ে, এই ত্রিপল দিতে তাঁদের সাহায্য করেছেন সানরাইজ কোম্পানি ও ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শুভাশিস দে। কিন্তু আগের দিন ওখানে কিছু রাজনৈতিক গোলযোগের জন্য ক্যাম্প করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়, এবং জানা যায় ওই অঞ্চলে প্রচুর ত্রিপল আসায় সেখানে ত্রিপলের প্রয়োজনও আর নেই।
এই কারণে আমরা ক্যাম্প সরিয়ে আনি মথুরাপুরের লালপুর গ্রামে। বিপিএইচসির ঘরে আমরা রোগী দেখতে শুরু করি। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম, যেমন জলঘাটা, রাণাঘাটা, দেবীপুর ও আরও কিছু জায়গা থেকে রোগীরা আসেন দেখাতে। সেই অবসরে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় চন্দন মাইতির সঙ্গে কুনালবাবুরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে দুর্গত মানুষদের ত্রিপল বিতরণ করেন। ৪ জুন যাদবপুরের কোয়ারান্টাইন স্টুডেন্টস গ্রুপের সদস্যরা কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে গিয়ে ত্রিপল ও এক সপ্তাহের মত রেশন দিয়ে এসেছেন। সেই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কমিউনিটি কিচেন খুলেছেন চন্দনবাবুরা। গ্রামের লোকজন ওখানে খাওয়াদাওয়া সেরে চিকিৎসা শিবিরে এলেন।
আমাদের ক্যাম্প প্রায় পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত চলার পর বন্ধ করে দিতে হল। বাইরে তখনও রোগীর ভিড়। প্রায় ১৯০ জন রোগী আমরা দেখেছি। “আবার আসব” প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা শেষ করলাম।