আজ ৫ই জুন।
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
(পরিবেশ, যা আমাদের চারপাশে বেষ্টন করে আছে।)
হ্যাঁ, ওই যেদিন বাবুরা একটু গাছটাছ লাগান টবে, বাগানে, স্কুলে। যদিও তাঁদের অনেকেই ভুলে যান এই গাছেরই মত, জল, বাতাস, মাটি, ইত্যাদিও পরিবেশের অংশ এবং একে ওপরের ওপর ওতোপ্রোতো ভাবে নির্ভরশীল।। তাই গাছ তখনই বাঁচবে, যখন এই বাকি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যটা বজায় থাকবে, যেটা প্রকৃতি দেবীর থেকেও মানবকূলের হাতে বেশি নির্ভরশীল।
গত কয়েক দশকে সভ্যতার চাকার অগ্রগতির সাথে গ্লোবাল ওয়ারমিং-এর দাপট বেশ বেড়েছে। যার ফলাফল সমুদ্র জলস্ফীতি, সমুদ্রপৃষ্ঠ-এর উষ্ণতা বৃদ্ধি আর সাথে বুলবুল, আম্ফান আর নির্সগের মত ঘূর্ণিঝড়।
ম্যানগ্রোভ যে নিবিড় অরণ্য বঙ্গোপসাগরীয় উপকূল পরিবেষ্টন করে আছে তার অবদান এই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে রোখার জন্য কোন অংশে কম নয়। সাগর থেকে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরে এই ম্যানগ্রোভের সাথে টক্করে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলে এই ঝড়।। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়।
এই বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ এলাকাতে ক্ষয়ক্ষতিও হয় প্রচুর।। প্রায় প্রতিদিনই নদী চওড়া হচ্ছে পাড় ভেঙে ভেঙে।
ডুবে যাচ্ছে আস্তে আস্তে কত মানুষের থাকার সম্বলটুকু৷ এখানে একচালা বাড়ির কয়েকটা পাকা হলেও বেশির ভাগি মাটির। একবার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হলে বাড়ির মাটি নদীর পলিতে পরিণত হয়। আর সাথে চাষের ক্ষেতে নোনাজল ঢুকে প্রায় দুতিন বছরের জন্য জমিতে চাষ অযোগ্য করে ফেলে। নদীগুলো বড় দামাল এখানকার, যেমনি তেজ তেমনি গর্জন।
যাই হোক সরকারের দাক্ষিণ্যে এখানে বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ এসেছে বটে কিন্তু যাকে না প্রায় বললেই চলে। চাষ হয় বছরে এক থেকে দুবার।। কিন্তু বাকী মানুষেরজীবিকা বলতে ওই মাছ ধরা,জঙ্গলে গিয়ে মধু, কাঁকড়া ইত্যাদি সংগ্রহ করা সাথে বোট বা স্টিমার চালিয়ে নদীতে যাত্রী পারাপার।। জীবিকার জন্য এদের বড়ই জ্বালা। অনেকটা ওই জলে কুমীর ডাঙায় বাঘের মত।। বেচারারা জীবিকার টানে পীরখালি দ্বীপ বা সজনেখালি (জনবসতিহীন গভীর জঙ্গলগুলো)-র একটু কাছাকাছি কোন ভেড়িতে ঢুকে পড়লেই বিপত্তি।। ওই যে বাঘ মামা। তারি বা কি দোষ।। পেটের জ্বালাতো সবার। মানুষ হোক কিম্বা পশু।
যাই হোক এই টুকটুক করে টাকা জমিয়ে এদের এই বানানো আসিয়ানাকে এক নিমেষে শেষ করে দেয় মিনিট কয়েকের ঝড়ের দাপট।। নাহ সবসময় প্রচারটোচার বেশী পায়না। প্রচারের আলো বেশি পায় যখন কলকাতা অব্ধি উনি একটু ধেয়ে আসেন।।
যাইহোক সারা বিশ্বে জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে এই ম্যানগ্রোভের অনেক দ্বীপেই এখন জনবসতি বেড়েছে।। খাদ্য, শিক্ষা,বাসস্থানের মত স্বাস্থ্যও একটা বেসিক দাবি এখানকার মানুষদের।। গত কয়েকদিনের ক্যাম্পে যা বোঝা গেল বাকী দাবি গুলো কিছুটা হলে পেলেও স্বাস্থ্যর থেকে অনেকটাই পাওনা এদের বাকি।
এই সুন্দরবনের অন্তর্গত গোসাবা ব্লক (মানে আমাদের গন্তব্য) ৯ টি দ্বীপ নিয়ে তৈরী ২৯৬.৭ বর্গকিমি জুড়ে।
যার মুখ্য গোসাবা হাসপাতাল ছাড়া বাকী হাতে গোনা কিছু P.H.C আর সাবসেন্টার। স্থল-জল-স্থলের যাতায়াত বলতে ওই ভ্যান বা টোটো তারপর নৌকো বা ভুটভুটি তারপর আবার ভ্যান বা টোটো। গোসাবা হাসপাতাল একটু আপগ্রেডেড B.P.H.C হলেও টারশিয়ার কেয়ার হাসপাতাল নয়। স্পেশালিষ্ট মেডিক্যাল অফিসার প্রায় নেই বললেই চলে। কয়েকজন মেডিক্যাল অফিসার আর সাথে একজন জোয়ান টগবগে রক্তের প্রাণোচ্ছল ছেলে B.M.O.H হিসেবে সামলে চলেছেন এই নড়বড়ে স্বাস্থ্যপরিষেবার হালহকিকত।
অনেক দ্বীপেই বা গ্রাম পঞ্চায়েতেই কোন ওষুধের দোকান নেই। ওষুধের জন্য এদের গোসাবা বা ক্যানিং বা বাসন্তী আসতে হয়। সব সময় সব ওষুধ মেলেও না। এই সস্তাসুন্দর,মেডলাইফ-এর ওষুধের হোম ডেলিভারির যুগে বাস করা আমরা, এরা কোন যুগে বাসকরে এখানে না এলে বুঝতেও পারবেন না। অনেক সময় দামি ওষুধ ও এদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়।
তাই ইনসুলিন নেওয়া রুগীও অনায়াসে মেটফরমিনে কাজ চালিয়ে নেয় বা কম ডোজ নেয়, যাতে বেশিদিন চলে। জিগেশ করলে হাসি মুখে বলে “কি করব ডাক্তারবাবু ইনসুলিন শেষ হয়ে গেলে মেলা সমস্যা, আপনি কলকাতার ডাক্তার অতসব বুঝবেন না। আর কদিন বাঁঁচব বলুন! আর পারিনা।”
চোখের কোনে জল জমে আমি বাকরুদ্ধ।
ডাক্তার যখন কম, স্বাস্থ্যপরিষেবা অপ্রতুল, তাই এখানে অনেক পেশেন্টরই ভরসা হল কোয়াক ডাক্তার আর হোমিওপ্যাথ। কি আর করবে! ওদেরও তো বাঁচতে হবে। নাই মামার চেয়ে না হয় কানামামা..
এই নদী নৌকো ভ্যান বাস করে এরা যখন কলকাতা কখনও আসতে পারলেও ফলোআপ (যেটা ভীষণ জরুরী) করতে আর পারে না। অনেক সময় খুব সাধারণ রোগেও ওদের মৃত্যু হয়ে যায়। ও-ই যে বললাম Affordable Heath care টা এদের কাছে এখনো আকাশের চাঁদ।
একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি।। একজন প্রেগনেন্ট মহিলা যিনি সাতজেলিয়া বা লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (গোসাবা ব্লকের) অধীনে কোন গ্রামে বসবাস করেন তাঁর প্রসব বেদনা উঠল। হয়ত নরম্যাল ডেলিভারি বাড়িতে সম্ভব না হওয়ায় গোসবা হাসাপাতালে ওনাকে ট্রান্সফার করা হল। নৌকো ভ্যান করে উনি যখন পৌছোলেন ডাক্তার বাবু বুঝলেন রোগিনীর হয়ত অবস্ট্রাক্টেড লেবার, সিজারিয়ান সেকশন লাগবে। তাঁকে রেফার করা হল ক্যানিং সাবডিভিশনাল হাসপাতালে কারণ গোসাবাতে সিজার হয়না।। ব্যাস রোগিনী ওই অবস্থায় গোসবা থেকে নৌকোতে গদখালি তারপর ভ্যান বা ভাড়া গাড়িতে ৪৫-৫৫ মিনিট দূরে ক্যানিং।।
বুঝতে পারছেন তো ব্যাপারটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ!! আগেই বলেছি আমরা যারা কলকাতায় বসে স্বাস্থ্যব্যবস্থাটা হয়ত ডালভাতের মত পাই। সেটা এদের কাছে সত্যি বিরিয়ানি। তাও এরা এইভাবেই অভ্যস্ত তাই এতকিছুর পরেও এদের মুখে ☺ হাসি।। অদম্য মনোবল নিয়ে তাই এরা সকাল বেলায় মাছ ধরে রান্না করে আনে আমাদের জন্য ক্যাম্পের শেষে, স্টিমারে ড্রামের জল ফুরোলে ভর্তির জন্য টাকাও নিতে অস্বীকার করে আর হাসি মুখে বলে যায় অনায়াসে “আবার আসবেন ডাক্তার বাবু,সুন্দরবন ঘুরে যাবেন”।।
যাক ৩ রা জুন আমাদের W.B.D.F ,S.S.U এবং UNICEF এর উদ্যোগে গঠিত এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে যাত্রা শুরু হয়।
৩রা জুনঃঃ
???
আমরা বিপ্রদাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত,
৪ঠা জুন
???
লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত
এবং
৫ই জুন
???
সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কিছু সাবসেন্টারে ক্যাম্প করি।
৩রা জুন বা ৪ঠা জুনের গল্প আগেই বলেছি।
৫ই জুন সকাল ৭.৩০ এ স্টিমারে উঠে পড়ি। তারপর ৩ ঘন্টা পরে, আমরা আবার তিনভাগে ভাগ হয়ে চলে যাই তিন প্রান্তে। ডা সৌম্য দাশ যান দয়াপুর সাবসেন্টারে। ডা পূর্ণেন্দু দত্ত নেমে যান সাতজেলিয়া জি.পি সাবসেন্টারে আর আমি ডা দীপ্রস্বত্ত মহাপাত্র প্রতিদিনের মত সবার শেষেই যাই আমার গন্তব্য সুকুমারী ৪১ সাবসেন্টারে।
ডাঃ সৌম্য দাশ ৫৩ জন রোগী দেখেছেন যাদের বেশিরভাগি চর্মরোগে আক্রান্ত। গত দুদিনেও এখানে চর্মরোগের রোগী প্রচুর পেয়েছি। জানিনা এখানে জলের সাথে এরা ওতপ্রতোভাবে জড়িত বলে কিনা তবে ২-২.৫ মাসের বাচ্চারাও চর্মরোগে কাহিল। যাইহোক বাকি রোগী বলতে ওই হাঁপানি, হাইব্লাডপ্রেশার, ডায়বেটিস, অস্টিওপরোসিস, আর্থ্রারাইটিস।
ডাঃ পূর্ণেন্দু দত্তের রোগী ছিলেন ৫৫জন আর আমার ৪৩জন। সর্বমোট ১৫১ জন।
ও হ্যাঁ, লকডাউনের কারণে নাকি জানিনা এখানে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অনেকটা বেড়েছে। অনেকগুলি রোগি পেলাম। সাথে কিছু মানসিক অবসাদের রোগীও। যদিও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির খুব একটা নড়চড় হয়নি।
চর্মরোগ বাদে বাকী যে রোগ গুলো বললাম সেগুলোও কম নয়।। অনেকেই ইনসুলিন পাচ্ছেন না ফলস্বরূপ অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডসুগারে পায়ে ঘা শুকোচ্ছে না। চর্মরোগের ওষুধও খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে।। আরো বেশি জোগান লাগবে। হাজা, চুল্কুনি,ফোস্কা, ঘায়ে এরা সত্যি জর্জরিত।
যাইহোক ক্যাম্প শেষে নাকেমুখে করে মধ্যাহ্নভোজনের ল্যাটা চুকিয়ে স্টিমারে উঠি। আজ যে বাড়ি ফিরতে হবে আবার। ৬ টায় হোটেলে ফিরে সন্ধ্যে ৬.৩০ টা নাগাদ আমরা গাড়িতে উঠে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।।
এবার উপসংহারে আসি, এই তিনদিনের গোটা ক্যাম্পে অনেক অভিজ্ঞতা, আর কিছু শিক্ষা নিয়ে ফিরলাম।
তার কয়েকটা তুলে ধরব আজ সাথে কিছু প্রস্তাব।( যদি রাখা সম্ভব হয়)
১) স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও স্বাস্থ্যব্যবস্থার যা হাল তার উদাহরণ এই লেখা আপনাদের দিয়ে দিয়েছে।।
এইখানের এই মানুষগুলোর জন্য যদি প্রতিটা দ্বীপে একটা করে P.H.C করা উচিত। মেডিক্যাল অফিসার ও সাথে স্পেশালিস্ট মেডিক্যাল অফিসারদেরও সংখ্যা বাড়ানো উচিত। ব্রেন টিউমারের ও.টি চাইনা কিন্তু প্রেগন্যান্সি বা বেবি রিলেটেড কমপ্লিকেশনস, ট্রমা আক্সিডেন্ট বা সাপেকাটায় যাতে কিছু মানুষ বাঁচে।।
২) সাথে এই ব্লকের দ্বীপ বা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে আস্তে আস্তে এইরকম ক্যাম্প আরো বাড়াতে হবে যাতে এ-ই লোক গুলো ফলোআপটা করতে পারে। আম্ফান বাদেও বাকী সময় ও যদি N.G.O বা সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে এভাবে থাকেন তাহালে অনেকটাই করা যায়।
৩) প্রাণদায়ী এসেনশিয়াল মেডিসিনের গ্রহণযোগ্যতা আর যোগান বাড়াতে হবে। যাতে সবাই পায়। বঞ্চিতের সংখ্যাটা কমে। ওষুধের দোকানগুলোও বাড়াতে হবে আস্তে আস্তে সব জায়গায়।
৪) পরবর্তী ক্যাম্পগুলোতে যদি সম্ভব হয় ? কোন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ গেলে সুরাহা হয়।। আর চর্মরোগের ওষুধের জোগান আর এত পরিমাণে রোগ হবার কারণটা খুঁজে দেখার জন্য অনুরোধ রইল সরকার বাহাদুর আর সংশ্লিষ্ট অধিকর্তাদের কাছে।
৫) এদের একটু সাইকিয়াট্রিক কাউন্সেলিং ও দরকার।
৬) ত্রাণ সরকারি বেসরকারি ভাবে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আরো লাগবে। আর হ্যাঁ যাতে ত্রাণের সমবন্টন হয় এবং যাদের সত্যিকারের দরকার তারা যেন পায় দুবেলা দুমুঠো গরম ভাত সেটা নজরে রাখতে হবে।
যাক আর বাড়াবো না। এই বিগত তিনদিন ওখানকার স্থানীয় মানুষ,হেলথ সুপারভাইজার, B.M.O.H, নার্স দিদিরা,আশা কর্মী আর স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাযোগ্য সহায়তা করেছেন। UNICEF এর তরফে প্রিয়তোষ বাবু আর শশাঙ্ক বাবুর অবদানও যথেষ্ট। S.S.U ,W.B.D.F এর সবাই বিশেষত ডা পুণ্যব্রত গুণ স্যার আর কৌশিক চাকী স্যারের কাছে আমি বিশেষ ভাবে ঋণী। আর ধন্যবাদ জানাতে চাই UNICEF এর পশ্চিমবঙ্গের ফিল্ড অফিসার ডাঃ কনীনিকা মিত্রকে।
ফেরার সময় শুনলাম বিদ্যাধরী নদীতে ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে, হয়ত ব্রিজটা হলে গদখালি থেকে গোসাবাতে যাতায়াতটা আরো সরল হবে। এই ব্রিজটা খুব দরকার বুঝলেন। যেমন দরকার আমাদের সাথে ওই মানুষগুলোর ব্রিজটা তৈরী হওয়া।।
আমাদের মত ওদেরও অনেক দাবি দাওয়া কিন্তু সেগুলো বড্ড সরল আর বেসিক। হয়ত আমাদের কাছে সেগুলো অধিকার ওদের কাছে সেগুলো স্বপ্ন।। আমরা যতই নিজেদের বিভিন্ন ছোটছোট কারণে বঞ্চিত ভেবে কষ্ট পাই বা মন খারাপ করি সেটা এদের বঞ্চনার কাছে কিছুই না। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে এই খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলোর শরীরের ব্রিজেটা তৈরী করতে আপনাদের ভূমিকা কোন অংশে কম হয়। কিন্তু আরো ত্রাণ, মেডিকেল ক্যাম্প লাগবে। লাগবে আরো অর্থ।
আপনারা পাশে থেকেছেন, জানি থাকবেনও।
নিচে W.B.D.F এবং S.S.U
দুটো আকাউন্টের লিঙ্ক দিলাম।
#পাশে_থাকুন
#আমরাসুন্দরবনবাঁচাবই
Write to shramajibiswasthyaudyog@gmail.com
wbdoctorsforum@gmail.com
Donate to: #AMPHAN_RELIEF
Shramajibi Swasthya Udyog
A/C no 0100000128050492
Punjab National Bank
Brabourne Road Branch
Kolkata-700001
IFS code PUNB0010000
Or
West Bengal Doctors Forum(WBDF)
BANK OF INDIA
Sisir Kunja Branch
A/C No, 415720110000055
IFSC CODE: BKID0004157
IMPS : use 4242 as a branch code
এই রিপোর্ট ডা দীপ্রসত্ত্ব মহাপাত্রের লেখা।