গত বছর করোনা কালের শুরুতে মেডিকাল কলেজকে পূর্ণত করোনা হাসপাতালে পরিণত করে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট পঠন-পাঠনকে ব্যাহত করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। মেডিকাল কলেজে নন-কোভিড চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ায় কত মানুষকে যে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই।
প্রশিক্ষণার্থীদের আন্দোলনে রাজ্য সরকার বাধ্য হয় নন-কোভিড চিকিৎসা পুনরায় শুরু করতে। পঠন-পাঠনও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে।
রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আবার মেডিকাল কলেজকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করা হবে বলে স্বাস্থ্যভবনে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। অর্থাৎ আবার পঠন-পাঠনে বিঘ্ন এবং নন কোভিড রোগীর চিকিৎসায় বাধা। শোনা গেছে স্বাস্থ্যদপ্তরের এই তুঘলকী আচরণে মদত যোগাচ্ছেন কলেজের জনাকয়েক শিক্ষক চিকিৎসক।
প্রশিক্ষণার্থীরা এবারও মেনে নেবে না। করোনার চিকিৎসা করতে তাদের আপত্তি নেই, কিন্তু তারা করোনা চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণ চায়। কেবল মেডিকাল কলেজ ও সাগর দত্ত মেডিকাল কলেজ নয়, সমস্ত মেডিকাল কলেজেই করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্লক নির্দিষ্ট হোক, এই দাবী তারা জানিয়েছিল আগের বছরই। কোনোভাবে নন কোভিড চিকিৎসা বন্ধের প্রয়াস তারা মেনে নেবে না।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পাশে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এইবারও থাকবে।
TEAM WBDF