পুজো মানেই জমিয়ে আড্ডা, টোঁ টোঁ করে ঘুরে বেড়ানো, ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে দিন কাটানো।থাকে শারদীয় গান, কবিতা, উপন্যাস ইত্যাদি। আরো বেশি ভালো লাগে যদি কোনো লেখক পরিচিত হন। আর সে লেখক যদি নিজের কলেজেরই পরিচিত বন্ধু হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
অনুজপ্রতিম, সুলেখক অনীক এবার শারদীয় সানন্দায় একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস লিখেছেন। প্রেক্ষাপট কলকাতা মেডিকেল কলেজ তথা মেইন হস্টেল। জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দশটি বছর কেটেছে যে কলেজ চত্বরে, তাকে ঘিরে যে কোনো লেখা যে তারিয়ে তারিয়ে পড়বো সে নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকে না।
মেডিকেল কলেজের মতো জায়গায় যেখানে অফুরান পড়াশুনা, তুমুল রাজনীতি, ছকভাঙা প্রেম, সম্পর্কের ভাঙাগড়া সবই দেখতে পেতাম সেসব কথা এত বছর পর ছাপার হরফে এনে হাজির করেছেন ভাই অনীক। বড় চেনা চেনা লেগেছে চরিত্রগুলোকে। মনে হয়েছে ওরা তো আমারই কথা বলেছে।
ফিরে এসেছে চারতলা বিশাল হস্টেল বিল্ডিংয়ের ছাদে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ জল-ট্যাঙ্কগুলোর কথা। গভীর রাতে ট্যাঙ্কের উপর শুয়ে আকাশ দেখতে দেখতে নিয়েছি জীবনের কত সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত! তিন দশক আগে কাটানো সেই মুহূর্তগুলোই যদি কেউ ফিরিয়ে দেন তাঁকে তো জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করবেই।
গল্পের বিশদ খুব বেশি বলে দিতে চাই না। তবে পাহাড়ী নদীর মতো জড়িয়ে থাকা একটা গানের কথা বলি।
“….,দূরের স্টীমার, আলোর তারিখ, নিজে মানুষ, কি যে কখন….বলা বারণ”। গানটার ভিতর কেমন একটা গভীর মায়া আছে! মানুষকে মরতে দেয় না।
“যারা পরিযায়ী” র মতো উপন্যাসও ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে মরতে দেয় না কিছুতেই। কোলাজ করে বাঁধিয়ে রাখে সুদৃশ্য ফ্রেমে।