“পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন; মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে”
ব্যক্তিগত অন্ধকারের ভেতর মানুষ যেমন আলো লেগে-থাকা দুয়েকটি লাইনের জন্য অপেক্ষা করে, তেমন আমরাও অসংখ্য দুঃসংবাদের ভেতর, হিংসা, চিৎকার ও বিবর্ণ দূষণের ভেতর অপেক্ষা করি দু’একটা উজ্জ্বল সুসংবাদের জন্য। তাই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক, প্রেস স্বাধীনতা সূচক বা গণতন্ত্রের সূচকের র্যাঙ্কিংয়ের সাথে আমাদের আশাবাদের পারদ ক্রমশ নামতে নামতেও, অসহিষ্ণুতা আর বেকারত্বের সাথে আমাদের রাগ আর হতাশার বহিঃপ্রকাশ ক্রমশ উঠতে উঠতেও যখন জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষা-৫ এর রিপোর্ট বেরোয় তখন সেটুকু আলো আর ঔজ্জ্বল্যও সমষ্টিগতভাবে ভাগ করে নেওয়াই যায়।
এদেশের সমাজ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সূচকগুলো নিয়ে নিশ্চিত তথ্য তুলে দেবে ২০২১ এর আদমশুমারি। তবু তার আগে ২০১৯-২১ এর মধ্যে দু’টি ধাপে গোটা দেশ জুড়ে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ পরিবার এবং সোয়া আট লক্ষ মানুষের মধ্যে চালানো এই সমীক্ষার রিপোর্ট আপাতত আমাদের হাতে। তাতে গোটা দেশের সমগ্র ছবিটা একশো শতাংশ ধরা না পড়লেও, বাস্তবটুকু বোঝার ক্ষেত্রে সে যথেষ্ট প্রামাণ্য।
এই রিপোর্টে শিশুমৃত্যুর বিভিন্ন হার অথবা টীকাকরণ থেকে শুর করে রক্তাল্পতা এবং পুষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন সূচক হয়ে মধুমেহ- উচ্চ রক্তচাপ- বিভিন্ন ধরণের ক্যানসারের প্রকোপের খুঁটিনাটি তথ্য থাকলেও তাদের প্রতিটি নিয়ে এই পরিসরে আলোচনার অবকাশ নেই। বরং আলোচনা করা যেতে পারে দু’টি নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ সূচক নিয়ে। আলো এবং আশাবাদ ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশিই ব্যক্তি ও সমষ্টিগতভাবে আমাদের গভীরে গেঁথে যাওয়া কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে চর্চার অবকাশও তারা করে দেবে হয়ত।
লিঙ্গ অনুপাতঃ আলো, তবু সে পুরুষকেন্দ্রিক
আদমশুমারি হোক অথবা জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষা (এনএফএইচএস)— এর আগে এদেশে কখনও মাথা গুনতির দিক থেকেও নারী ছাপিয়ে যায়নি পুরুষকে। এই প্রথমবার গেল। চতুর্থ সমীক্ষাতে প্রতি হাজার পুরুষে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৯১। এবার একলাফে তা পৌঁছে গিয়েছে ১০২০ তে। পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যাটাই ১০৪৯!
উল্লেখযোগ্যভাবে গ্রামের (১০৩৭) তুলনায় শহরে (৯৮৫) এই অনুপাত বেশ কম। এর অন্যতম কারণ সম্ভবত রুটি-রুজির জন্য গ্রামের যে বড় অংশ শহরে চলে আসেন তারা এখনও মূলত পুরুষ। পুরুষদের এই শহরকেন্দ্রিক পরিযান ছাপ ফেলেছে উভয় প্রান্তের লিঙ্গ অনুপাতেই।
এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে এদেশের সামাজিক ক্যানভাসে এক উজ্জ্বল স্ট্রোক। এর সাথে নারীর সামাজিক অবস্থান বা ক্ষমতায়নের সম্পর্ক যে সরাসরি সমানুপাতিক তা বলাই যায়। এবং সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যও তাইই নির্দেশ করছে। পরিবারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাদের অবদান আগের চেয়ে বেড়েছে। বেড়েছে ব্যক্তিগত অথবা যুগ্মভাবে জমি বা বাড়ির মতো স্থাবর সম্পত্তিতে মহিলাদের মালিকানা। বেড়েছে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মসংস্থানও।
তবু এটুকু বললে সব বলা হয় না। সংখ্যার দিক থেকে সামগ্রিকভাবে পুরুষের তুলনায় নারীর এগিয়ে যাওয়া কি নির্দেশ করে পুত্রসন্তানের তুলনায় কন্যাসন্তানের জন্মহার বেশি? তা কিন্তু নয়। নির্দিষ্টভাবে জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাতের দিকে তাকালে বিগত পাঁচ বছরে সেই সংখ্যাটাই কিন্তু প্রতি হাজার পুরুষে ৯২৯। গত সমীক্ষার চেয়ে (৯১৯) সেটা বেড়েছে অবশ্যই, তবু তা জানিয়ে দেয় এদেশ আজও লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করে থাকে ছেলে হওয়ার সুসংবাদের দিকে তাকিয়েই। আজও এদেশের অলিতে গলিতে লিঙ্গ নির্ধারণ, কন্যাভ্রূণ হত্যার অভিশাপ দাঁড়িয়ে থাকে পথ আটকে। আইন করে, কঠোরতম শাস্তির ভয় দেখিয়ে তাকে কিছুটা বাগে আনা গেলেও সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মানসিকতায় লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের পেরোতে হবে এখনও অনেকখানি পথ।
তাহলে এই বর্ধিত লিঙ্গ অনুপাতের কারণ? নারীর সামাজিক অবস্থান বা ক্ষমতায়নের পাশাপাশিই আরেকটি বাস্তবিক কারণ হ’ল এদেশে এখনও নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বিগত দশকগুলিতে মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা নির্দিষ্ট অভিমুখে যে পিস্টন ঠেলেছি, তাইই আজ চোখের সামনে তুলে ধরেছে বিভিন্ন সুফল সূচক। কিন্তু সেই সূচকেরাই আবার বলছে, এখন আর নারীকে শুধুই বয়সের ১৫-৪৫ এর প্রজননক্ষম ব্র্যাকেটের মধ্যে ধরে রাখলে চলবে না। সে সংখ্যার দিক থেকে পুরুষকে ছাপিয়ে যাওয়ার পাশাপাশিই বেশি বছর বাঁচছে। এবং বেশি অবহেলিত হয়ে বাঁচছে। শারীরবৃত্তীয় কারণেই মেয়েদের রক্তাল্পতার সম্ভাবনা বেশি, তবু ভুললে চলবে না, যে পরিবার এবং সমাজ এখনও পুত্রসন্তান চায় সে তার মেয়েটির মাসিক শুরু হওয়ার বা গর্ভবতী হওয়ার অনেক আগে থেকেই, তার থালা থেকে সরিয়েই, ছেলেটির জন্য তুলে রাখে পুষ্টির অধিকাংশটুকু। ব্র্যাকেটের ওপাশে, বৃদ্ধ বয়সে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুর করে পরিবারের সাহায্য বা সহানুভূতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই লিঙ্গ বৈষম্য বর্তমান। তাই গড় আয়ু বেশি হয়েও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সূচকে কিন্তু নারীরা পিছিয়েই।
মোট উর্বরতা হারঃ জনবিস্ফোরণ বিতর্কের কফিনে পেরেক
এদেশ তর্কপ্রিয় হলেও ঘরোয়া আড্ডা থেকে শুরু করে চায়ের দোকান হয়ে নির্বাচনী প্রচার পর্যন্ত তারা অন্তত একটি ব্যাপারে একমত— আমাদের তাবড় দুঃখের প্রথম ও প্রধান কারণ আসলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। হয়ত কিছু গরীব-গুর্বো এবং সংখ্যালঘুকে সরাসরি হাওয়া করে দিতে পারলে ভালোই হ’ত, কিন্তু সভ্য দেশে তো সে কথা সরাসরি বলা যায় না। তাই প্রয়োজন এক লৌহপুরুষ এবং তার বজ্র আইনের যা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সবাইকে বাধ্য করবে কম সন্তান উৎপাদনে। আর সন্তান কম উৎপাদিত হলেই জনসংখ্যা কমবে— খাবার টেবিল থেকে শুরু করে লোকাল ট্রেন হয়ে চাকরির পরীক্ষা পর্যন্ত সব জায়গাতেই কমবে গা ঘেঁষাঘেঁষি, সুযোগ এবং সুদিন আসবে পাল্লা দিয়ে। হাতের কাছে চৈনিক উদাহরণ পড়েই আছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ব্যক্তিমানুষের গলা টিপে ধরলেই সব সমস্যার তুরন্ত ও সহজ সমাধান!
আজ্ঞে না। বিভিন্ন সিস্টেমের হাজার কলকব্জা, পরিকাঠামোয় তৈরি, জাতি-ধর্ম-সংস্কৃতি গত লক্ষ বৈচিত্র্য আর কোটি মানুষে ঘেরা একটা দেশ হিন্দি সিনেমার সেট নয় যেখানে একজন রাউডি নায়ক এসে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করে আড়াই ঘন্টায় সুসকাল এনে ফেলবে।
জনবিজ্ঞানের পরিভাষায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটা এতখানি সহজ তো নয়ই, তার বাইরে আমাদের যুক্তিগুলোও অত্যন্ত দুর্বল। একটি দেশ এবং তার জনসংখ্যা একটি নির্দিষ্ট চক্রের মধ্যে দিয়ে যায়। দেশ যখন অনুন্নত, তার মানুষ যখন গরীব, তার কাছে জীবন ধারণের সুযোগ-সুবিধে থেকে শুরু করে বেঁচে থাকার গড়পড়তা সম্ভাবনাই যখন কম তখন সে বিবর্তনের নিয়মেই বেশি সন্তান উৎপাদন করে। জন্মহারের পাশাপাশি সিলিং ছুঁয়ে থাকে মৃত্যুহারও। তারপর আর্থিক ও সামাজিক মাপকাঠিতে দেশ এগোলে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী হ’লে, সুযোগ-সুবিধে বাড়লে নিজের নিয়মেই কমে আসে জন্মহার এবং মৃত্যুহার। পাল্লা দিয়ে কমে গড় সন্তান উৎপাদনের চাহিদা।
এবং এদেশে সেটা বিগত অনেকগুলো দশক ধরেই হয়েছে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যে উর্বরতার হার (একজন নারীর মাথাপিছু সন্তান সংখ্যা) ছিল প্রায় ৬, সমীক্ষা অনুযায়ী সেই সংখ্যাটাই আজ নেমে এসেছে ২.০ তে। দশমিকসহ সংখ্যাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই প্রথম, উর্বরতার হার নেমে এলো ২.১ এর নীচে— যাকে ধরা হয় প্রতিস্থাপন মাত্রা। প্রতিস্থাপন মাত্রার তাৎপর্য হ’ল, কোনও জনগোষ্ঠীর উর্বরতার হার যদি এই সংখ্যা ছুঁয়ে যায় তাহলে তাকে স্থিতিশীল হিসেবে ধরে নিতে হবে। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে না। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘকাল ধরেই উর্বরতার হার নিম্নগামী, আপাতত সেটা ১.৬!
এনএফএইচএস-৫ এর এই রিপোর্ট এই জায়গা থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে সে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা জনবিস্ফোরণ এবং তার নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া আইন প্রণয়নের বিতর্কটির কফিনে আপাতত শেষ পেরেক। আমাদের দেশ জনসংখ্যার প্রশ্নে বিজ্ঞানের পরিভাষাতেই আপাতত যথেষ্ট স্থিতিশীল। এখানে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শুর করে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনা এবং তাকেই মডেল বানাতে চাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিটি শুধু অপ্রয়োজনীয় এবং ভুলই নয়, সে যথেষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও।
কারণ সে রাজনীতি শুধু এটুকু বলে না যে আমাদের সমস্ত সমস্যা জনবৃদ্ধির জন্য, সে এক ধাপ এগিয়ে এটাও বলে যে এদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির আসল কারণ আসলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীরাই।
এবং সে এখানেও ভুল বলে, আমাদের মিথ্যে শেখায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণিত, কোনও জনগোষ্ঠীর উর্বরতার হারের কারণ ধর্মীয় নয়। তা বিবর্তনগত এবং ঐতিহাসিক এবং সামাজিক। যে জনগোষ্ঠী যত বেশি অ-সুরক্ষিত বা নিজেকে অ-সুরক্ষিত মনে করে সে তত বেশি সন্তান উৎপাদন করতে চায়। তারপরেও বলা যায় বিগত পঞ্চাশ বছরে এদেশের সামগ্রিক উর্বরতার হারের সাথেই পাল্লা দিয়ে নেমেছে মুসলিম উর্বরতার হার। এবং আরও স্পষ্টভাবে বললে, তা হিন্দুদের উর্বরতার হার কমার চেয়ে বেশিই। মোট জনসংখ্যার যে ধর্মীয় অনুপাত, তাও বিগত সত্তর বছর ধরে একই।
ফলে দেশটাকে উত্তরপ্রদেশ মডেলে বলিউডি সিনেমার সেট না বানিয়ে চেষ্টা করতে হবে গত তিরিশ বছর ধরে জনস্বাস্থ্য, নারীশিক্ষা, নারীসুরক্ষা থেকে শুরু করে পরিবার পরিকল্পনায় জোর দিয়ে আমরা আজ সুফল পাচ্ছি তাকেই সামনের সময়ে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। উত্তরপ্রদেশ, বিহার বা ঝাড়খন্ডের মত যে সব রাজ্যের উর্বরতার হার এখনও প্রতিস্থাপন মাত্রা ছোঁয় নি, সেখানেই প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে ২০% এর ওপরে নিরক্ষর— এ নেহাত কাকতালীয় নয়।
আমরা চীনের ‘এক সন্তান নীতির’ উদাহরণ দিই কিন্তু খবর রাখি না যে রাষ্ট্রীয় সাঁড়াশিতে বিজ্ঞানের নিয়মকে চেপে ধরা যায় না। জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণের ফল ভোগ করতে হয় নারীদেরই— কন্যাভ্রূণ হত্যা, গর্ভপাত বাড়ে। ভারসাম্য নষ্ট হয় বহুচেষ্টায় অর্জিত লিঙ্গ-অনুপাতের। তিরিশ বছর পেরিয়ে দেখা যায় একটা বিশাল দেশের মানুষের বয়স বেড়ে গেছে, তারা স্বাভাবিক নিয়মেই সরে এসেছে কর্মক্ষেত্র থেকে। অথচ তাদের দায়িত্ব নেওয়ার মতো যথেষ্ট কমবয়সীরাও পড়ে নেই। সে শূন্যতায় ভিড় করে আসে অসাম্য আর সামাজিক অশান্তি। আমরা খবর রাখি না, দীর্ঘ তিরিশ বছর পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই চীন তার ‘এক সন্তান নীতি’ উঠিয়ে নিয়ে সন্তান উৎপাদনে তার নাগরিকদের উৎসাহ দিচ্ছে আবার।
প্রশ্নটা জনসংখ্যা, তার বৃদ্ধি আর তার অবৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণের নয়। প্রশ্নটা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা হয়ে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি ও সদিচ্ছার। প্রথমটা সহজ, দ্বিতীয়টা অনেক কঠিন।
কারণ আড়াই ঘন্টার অ্যাকশন আর নাচগানে ঘেরা সিনেমায় অ্যাড্রেনালিন থাকে, রোদেপোড়া জীবনের জন্য ছায়া থাকে না। সমাজ আর দেশ বদলায় দীর্ঘ কবিজীবনের মতো— ধীর অথচ সুসংহত। তার কাছে বসে তাকে পাঠ করার, তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার এবং তাকে ফুরিয়ে যেতে না দেওয়ার দায় আমাদেরই—
“কেবলই জাহাজ এসে আমাদের বন্দরের রোদে দেখেছি ফসল নিয়ে উপনীত হয়”
আনন্দবাজার পত্রিকায় উত্তর সম্পাদকীয় রূপে প্রকাশিত।