বিষয়টা তাহলে দাঁড়ালো এই সময়ে এখন একটাই কাজ। দেশকে বাঁচানো। বাঁচাবে কে? কেন? ৫৬ ইঞ্চি! মোদানী, ফ্যাসিবাদ —সব আপাতত শিকেয় তুলে ইন্ডিয়া জোটের বেশিরভাগ শরিক মোদী-দাভালকে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। আজ আবার সর্বদল সভা। আবার মোদি নিজের পক্ষে অনুমোদন নিয়ে নেবে। কার বিরুদ্ধে দেশ বাঁচানো চলছে? আজ থেকে ৭৮ বছর আগে আমরা একসাথে ছিলাম। তারপর ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়ে দুটো দেশ হল। আবার ১৯৭১-এ পাকিস্তান ভেঙ্গে দুটো। মোট তিনভাগ। আর আমরা দেশ বাঁচাচ্ছি সেই পাকিস্তানের কাছ থেকে। ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ তিনবার দেশ বাঁচানো হয়েছে। এবার আরো একবার। আভ্যন্তরীণ সমস্যায় দীর্ণ পাকিস্তান কি কম শক্তিশালী!!
তাহলে এখন যদি প্রশ্ন ওঠে ১২ জন লোকপিছু ১ সৈন্য, ৩৭০ ধারা রদ, কাশ্মীর সন্ত্রাসমুক্ত… পহেলগাঁও বর্ডার এলাকা নয় তবু এত বড়ো ম্যাসাকার হলো কীভাবে? এখন যুদ্ধ চলছে, প্রশ্ন নয়।
গোটা দেশ জুড়ে বিভাজন, বিদ্বেষ চূড়ান্ত ভাবে চলছে। চুপ, প্রশ্ন নয়, যুদ্ধ চলছে। দেশকে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে শ্রমকোড চালু হচ্ছে। যুদ্ধ চলছে। এখন এসব কথা থাক।
আগামী ২০শে মে ধর্মঘট কি হবে? এখন দেশ উৎপাদন চাইছে। কাজ বন্ধ নয়। ওসব পরে হবে।
রাজ্য শিক্ষায় কোটি কোটি হাপিস, শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির জন্য কাজহারা। এখন ঐসব প্রশ্ন থাক। দেশ বাঁচানোর জন্য এসব প্রশ্ন তোলা যাবে না এইসময়।
অভয়ার ন্যায়বিচার? পরে পাবে। এখন নয়।
এখন আর এস এস, বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম কোন বিভেদ নয়। এখন সবাই কে ৫৬ ইঞ্চির হাত শক্ত করতে হবে। পরে আবার আমরা ভাগ হব। এখন পরিস্থিতির নিরিখে হাতে হাত ধরেছি।
ট্রাম্পদা মনে হচ্ছে যুদ্ধে একটু অসন্তুষ্ট। বাজার হাতছাড়া হতে পারে এই যুদ্ধের জন্য। তাই এই যুদ্ধ সীমিত সময়ে শেষ হয়ে যেতে পারে। দেখা যাক।
আবার এইসময়ে কিছু এঁকেলশেড়ে আছে। যারা বলছে যুদ্ধ কে ‘না’ বলো। এবার একটু সজোরে পথে নেমে বলতে হবে। যুদ্ধফোবিয়া ও সংসদীয় দলগুলোর ভাব ভাব পরিস্থিতির অ-‘ ভাবেরা’ স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। কথা শুরু হোক কর্মসূচির জন্য। লোকজন কম হোক। কিন্তু স্রোতের বিরুদ্ধে তো দাঁড়াতে হবে!
Say no to war