ছবি দুটো ভালো করে দেখুন।
একটা ছবি তে মেডিকেল কলেজের ‘কোভিড ওয়ারিয়র’ জুনিয়র ডাক্তার পিপিই পড়ে ডিউটি দিচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবি, সেই জুনিয়র ডাক্তারই ডিউটি দিয়ে এসে ক্লান্ত হয়ে অবস্থান মঞ্চে ঘুমিয়ে রয়েছে।
অবস্থান কিসের জন্য? যাতে কোভিড এর পাশাপাশি নন কোভিড পেশেন্ট দের ও চিকিৎসা অবিলম্বে শুরু হয়। ‘কোভিড এক্সক্লুসিভ’ করে রেখে গোটা মেডিকেল কলেজের অন্তত ৭০% বিল্ডিং, অপারেশন সেট আপ, মেশিন, ইনভেস্টিগেশন, ইমেজিং, ডায়াগনসিস সব বন্ধ রেখে হাজার হাজার রোগীকে যে বঞ্চিত করা হচ্ছে, হয়রান করা হচ্ছে তার অবসানের জন্য অবস্থান।
সরকার বুঝুন, প্রতিটা টার্সিয়ারি হাসপাতালে প্রপার কোভিড ব্লক (আইসোলেশন, পজিটিভ ওয়ার্ড ও ICU) প্রয়োজন। প্রয়োজন মাস টেস্টিং। প্রয়োজন ডিসেন্ট্রালাইজড এপ্রোচে করোনা মোকাবিলা, থ্রি টায়ার রেফারেল সিস্টেম এর যথাযথ ব্যবহার। তাহলেই একমাত্র ‘মিক্সিং’ এড়িয়ে, ক্রস ইনফেকশন এর চান্স এড়িয়ে, কোভিড চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো ভাবে হতে পারে।
তার সাথে প্রপার প্রোটোকল মেনে মেডিকেল কলেজ সহ সমস্ত টার্সিয়ারি হাসপাতাল গুলোর নন কোভিড ব্লকে ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, কার্ডিওথোরাসিক, কার্ডিওলজি সহ সমস্ত বিভাগে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা ও কো-মর্বিড পেশেন্ট (সুগার, প্রেশার, হার্ট বা কিডিনির অসুখের রোগী) দের নিয়মিত চিকিৎসা চালু রেখে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্রিটিকাল হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো।
অথচ আজ স্বাস্থ্যভবনে ডেপুটি হেলথ সেক্রেটারি বললেন, করোনার স্ট্যাটিস্টিক্সই তাদের একমাত্র প্রায়োরিটি। স্পষ্ট নন কোভিড পেশেন্ট দের নিয়ে তাদের কিছু যায় আসে না।
খুব সহজ, ভোটব্যাংকের লাভের জন্য ‘কোভিড এক্সক্লুসিভ’এর কুমীরছানা দেখানো একমাত্র লক্ষ্য। স্বাস্থ্যব্যবস্থার যথাযথ পলিসি মেকিং নয়।
বেশ৷ দেখা যাক, কজন ক্যানসার পেশেন্ট মরলে, মেটাস্টাসাইজ হয়ে গেলে, তার হয়রানি হলে, সরকারের হুঁশ ফেরে। কজন থ্যালাসেমিয়া বা লিউকেমিয়ার পেশেন্ট এর কান্না এই সরকার কে বোঝাতে পারে যে আমাদের আন্দোলন আসলে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা কে বাঁচানোর আন্দোলন। সরকার কে বেটার পলিসি তৈরি তে সাহায্য করার আন্দোলন। কোভিড আর নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা কিভাবে বেস্ট হতে পারে তা প্রয়োগ করার দাবিতে আন্দোলন।
রোগীস্বার্থে আমাদের আন্দোলন চলবেই।
শেষ দম অবধি। এবং তা চলবে করোনা মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রমের সাথেই।
#UnlockMCK
#InclusiveNotExclusive
#DoctorsForPeople