শিশুদের মধ্যে গ্রোয়িং পেন বা পায়ে ব্যথা খুব স্বাভাবিক। যদিও সন্ধ্যেবেলা পড়তে বসে এই ব্যথার কথা বললে অনেক বাবা মায়েরই মনে হয়, লেখাপড়ায় ফাকি দিতে এই অজুহাত দিচ্ছে। যদিও ব্যাপারটা অনেক সময়েই তা নয়। শিশুর সত্যিই পায়ে ব্যথা হতে পারে। একে ইংরেজিতে বলে গ্রোয়িং পেন।
গ্রোয়িং পেন কখন হয়?
এই ব্যথা বিকেল থেকে শুরু হতে পারে। আবার রাতে খাওয়ার বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমনকী রাতে ঘুমনোর সময়ে এই ব্যথা হয়ে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। গ্রোয়িং পেন ৩-৪ বছরে শুরু হতে পারে। কারও কারও আবার ৮-১২ বছরেও হয়। নাম গ্রোয়িং পেন হলেও শিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক আছে বলে জানা যায়নি। আসলে শিশুর সারাদিন দৌড়ঝাঁপ করা বা খেলাধুলো করার জন্যই এমন ব্যথা হয়। আর ব্যথা হয় মাসলে, হাড়ে নয়।
সবারই কি একরকম ব্যথা হয়?
সব শিশুর ব্যথা একরকম নয়। কারও বেশি হয় কারও আবার একেবারেই হয় না। আবার কারও কারও মাঝে মধ্যে হয়। বেশিরভাগ সময়ে নিজে নিজেই ব্যথা কমে যায়। সাধারনত দু পায়েই বিশেষত, থাই বা ঊরুর সামনে, হাঁটুর পিছনদিকে বা কাফ মাসলে হতে পারে।
অনেক সময়ে অভিভাবকরা এই ব্যথার জন্য ডাক্তার দেখালেও যদি অন্য তেমন কোনও শারীরিক উপসর্গ না থাকে তাহলে এক্স রে বা রক্ত পরীক্ষাও করানো হয় না।
চিকিৎসা কী?
গ্রোয়িং পেনের চিকিৎসা নির্ভর করে শিশুর ব্যথার ধরনের ওপর। প্রাথমিকভাবে শিশু যাতে আরাম পায় তার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন,
• পায়ে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করা
• মাসলগুলো স্ট্রেচ করা
• শুকনো সুতির কাপড় হালকা গরম করে সেঁক দেওয়া।
• খুব বেশি ব্যথা হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে?
• পড়ে গিয়ে পায়ে চোট লাগলে
• ব্যথার সঙ্গে জ্বর থাকলে
• খিদে না থাকলে
• হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হলে
• পায়ে র্যাশ বেরলে
• পায়ের কোনও জয়েন্ট লাল হয়ে ফুলে ওঠার সঙ্গে খুব ব্যথা থাকলে
• খুব ক্লান্তিবোধ করলে
• ওজন কমে গেলে
নন্দিতাদেবী সান্ধ্য কান্না সম্বন্ধে যদি কিছু বলেন খুব উপকৃত হৈ ।