হ্যাঁ, হোস্টেল আমার সেকেন্ড হোম। আমার মাদার ইন্সটিটিউশন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (এক্সপেরিমেন্টাল স্কুল বা পান্নালাল স্কুল ক্যানো লিখলাম না। জানি না।হয়তো এটাই সংস্কার)। সেখানে খুচখাচ র্যাগিং হতো। আমাদের ব্যাচের থেকে নতুন ছাত্রদের সমবেত চেষ্টায় সেটা বন্ধ হয়। তখন একজন পুলিশ কমিশনারের ছেলে বা মেয়ে ভর্তি হয়েছিলো।তার কোনও সমবেত প্রয়াস লাগেনি।
ধরা যাক এই স্বপ্নদীপ অজ পাড়াগাঁয়ের কোনও ব্যাকিং ছাড়া হুশপটেটো নয়, বর্তমান পুলিশ কমিশনারের ছেলে। তিনতলায় নিয়ে তাকে নগ্ন করে’ মুখমৈথুন বা পায়ুমৈথুনের ভয় দ্যাখানো যেতো? যাতে সে ভয় পেয়ে ইঁদুরের মতো তিনতলা থেকে ঝাঁপ দ্যায় অথবা তাকে চ্যাঁংদোল্লা করে ফেলে দেওয়া যেতো? অথবা তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার মতো বুকের পাঁজঞ্জুরি কারও থাকতো?
না স্যর। কখনোই থাকতো না। এটা দীনদরিদ্র হাবাক্যাবলা বাবা, যে এসে একজনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে-আমার ছেলেটাকে একটু দেখো-তার ছেলের সঙ্গে সম্ভব। কোনও মন্ত্রী, সান্ত্রী, আমলা, ছোটোন্যাতা, বড়োন্যাতার ছেলের সঙ্গে সম্ভব নয়। এটা শিক্ষার পরিচয় নয়। এটা এলিট কালচারের পরিচয়।
ধূমপান ক্যানো যৌনমিলনও কিছু অন্যায় নয়। অবশ্যই সেটার জন্য একটা রুদ্ধদ্বার কক্ষ লাগে-হ্যাঁ গ্রুপ সেক্সের ক্ষেত্রেও লাগে। ধূমপানের জন্য আলাদা জায়গা লাগে (স্মোকিং জোন)। শুনিচি এয়ারপোর্টে থাকে। আমার পাটক পাটিকাদের মধ্যে যারা এরোপ্লেন চেপেছেন-তাঁরা বলতে পারবেন।
চুম্বনের প্রকারভেদ আছে। এক বছরের বাচ্চাকে চুমু খাওয়া, বিদেশী পদ্ধতিতে সম্বোধন করতে বা বিদায় জানাতে চুম্বন আর গভীর চুম্বনের পার্থক্য বোঝানোর চেষ্টা করা অর্বাচীনের কাজ।
সাইমন দে ব্যাভেরির সেকেন্ড সেক্স বইটাতে মেয়েদের যে অন্তর্বাস ত্যাগ করার বিষয়টি আছে, সেটা যৌন আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য নয়।যৌন সাম্যের জন্য, যৌন স্বাধীনতার জন্য।
সুতরাং একজন নাবালককে সমলিঙ্গ যৌনতার ভয় দ্যাখানো আর যাই হোক-শিক্ষাও নয়, স্বাধীনতাও নয়।
প্রথম এবং শেষ কথা ডিগ্রি মানে শিক্ষা নয়। যাদবপুরে ছাত্ররা ভর্তি হয় ভালো কেম্পাসিংএর জন্য। টাকার জন্য। ভবিষ্যতের সুখের জন্য।এতে নিজেদের শিক্ষিত বলা যায় কিনা দ্বিতীয় বার ভাবুন।
আত্মসমালোচনা করুন।