আর্যতীর্থের কবিতাঃ স্বৈরাচারীর প্যামফ্লেট।
যা আমার শোনার ইচ্ছে নেই,
সেই কথা তুমি বলবে না ।
যা দেখতে আমি অস্বীকার করেছি,
তার ভিডিও পোস্ট করবে না।
মস্তিষ্ক এমন বশংবদ করো,
যার অনুমতি নেই সেটা ভাবা হবে পাপ।
এইবারে শান্তিতে থাকো।
দেখো শিরদাঁড়া থেকে সরে যাবে চাপ।
কদিনই বা বাঁচবে বলো তো!
আয়ু শেষ হয়ে যায় আশাদের আগে,
সুতরাং করাই বা কেন! উপভোগ করে নাও
যেটুকু পড়েছে এসে আপাতত ভাগে,
এ মাটিও নড়ে যেতে পারে কাল পরশুই।
আবার তা নাও হতে পারে,
সবই তোমার ওপরে। ভক্তি দেখবো মেপে ,
ফল পাবে হাতে হাতে সেই অনুসারে।
ছোটোবেলা মেলা যাওনি কি?
মনে আছে সার দেওয়া ঘাড় নাড়া মাটির পুতুল?
ওরা শুধু হ্যাঁ বলে, না বলালে স্প্রিং যায় ভেঙে।
তবুও করবে একই ভুল?
তুমি তো আমার কাছে খেলনা বিশেষ,
পছন্দ না হলে ফেলে দেবো ছুঁড়ে,
যতদিন ভালো লাগে ততদিন যত্নআদর।
তা নইলে ঠাঁই আস্তাকুঁড়ে।
দেশ কোনদিকে সেটা আমি ভালো বুঝি।
তুমি কোনখানে সেটা বরঞ্চ বোঝো।
চোখ কান মুখ কম ব্যবহার হলে,
ঝামেলা এড়িয়ে তবে বাঁচাটা সহজও।
আমিই করবো ঠিক তোমার আগামী,
তুমি কি চাইছো তাতে বয়ে গেলো ভারী,
যেসব স্তম্ভে আছে ভরসা তোমার,
সে সবের গায়ে খোদা নামটা আমারই।
অথচ ভাবছো তুমি মশালের কথা।
যদিও ভালোই জানো তা নেভাতে পারি।
ঠিক এইখানটাতে তুমি জিতে যাও।
শেষে গিয়ে ইতিহাসে বারবার হারি।