যাক বাবা!
আবছা ধোঁয়াশা কেটে আগামীর ছবিটা স্পষ্ট এখন।
জানা গেলো ধর্ষণ খুন করে পার পাওয়া যায়,
জন্মতে হলে ব্রাহ্মণ।
কে জানালো?
রাষ্ট্র।
যার ওপরে আছে নাকি সংবিধান রক্ষার দায়।
কে সংবিধান?
ওই যে গো, নাগরিক সমান বলে লেখা যার গা’য়।
কে নাগরিক?
যাদের কাগজ আছে, বোকা ভোঁতা জানো না নাকি?
কী কাগজ?
আধার পাসপোর্ট প্যান ভোটার বাদ দিয়ে যা থাকে বাকি..
কী বাকি?
কেন, ধর্ম!
সেটা ঠিক হলে জাত!
সেটা উঁচু হলে, ব্রাহ্মণ ..
তা যদি হও, তবে সকলই কুশল।
শিশুকে থেঁতলে খুন, গর্ভবতীকে করা গণধর্ষণ,
সব, সঅঅঅব মাফ!
কে না জানে উপবীতে ফ্রীতে দেয় শুভ সংস্কার,
কাজেই সাতটা খুন করা যায় মাফ ।
আইনকে সাফ করে রাষ্ট্র ধনুকে তার দেয় টংকার!
বিলকিস ইসলামি।
তার ওপরে মহিলাও।
এর থেকে ছোটোজাত নেই পৃথিবীতে,
কে বলে গ্রহান্তরে উড়ছে মানুষ,
কে বলে সভ্যতা আজ সবার উঁচুতে,
চেয়ে দেখো চারদিকে,
কত না প্রচেষ্টা জারি সে নারীকে নিয়ে যেতে আলো-বিপরীতে,
কোথাও শিক্ষা তার ছিনাবে হিজাবে ,
কোথাও তালাকে তার অসম লড়াই,
মোটমাট এই গ্রহে সে আপাঙ্ক্তেয় ।
আঁধারের অন্দরে থিতু তার ঠাঁই।
রাষ্ট্র জানেন সেটা,
ধর্ষক মুক্তিতে তার পাশে কেউ দাঁড়াবে না।
না ধর্ম, না পুরুষ, না কোনো এন জি ও।
তা ছাড়া কে না জানে,
শিশুর নৃশংস খুন অথবা গর্ভিণী-ধর্ষণ তুচ্ছ ব্যাপার।
ব্রাহ্মণ সদা বরণীয়।
মুক্তির পরে ওরা খেয়েছে মেঠাই।
মালা পরে ঘরে গেছে বিজয়ীর মতো।
আহা এমন রেহাই দেশে হয়নি দ্বিতীয়।
তা হোক তা হোক।
অন্তত বুঝে যাবে ভারতীয় নারী,
আব্রু বাঁচাতে তার কী কী করণী য়।
দুহাজার বাইশের পনেরো আগস্ট।
ভিন্ন কারণে হলো দিন স্মরণীয়।
আমাদের প্রিয় দাদার প্রতিবাদী কলম রাষ্ট্রের নির্লজ্জ ধারক বাহক দের লজ্জা দিতে পারবে বলে মনে হয়না