An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

করোনার কালে গুটিবসন্ত নির্মূলের কথা পঞ্চম পর্ব

5 LadyMaryMontaguHelpingVariolation
Dr. Jayanta Das

Dr. Jayanta Das

Dermatologist
My Other Posts
  • May 18, 2020
  • 7:21 am
  • No Comments

কথারম্ভ

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার উপযোগী রসদ, অর্থাৎ নির্দিষ্টভাবে ভাইরাসকে মারার উপযুক্ত অ্যান্টিবডি ও এই নির্দিষ্ট ভাইরাস মারার জন্যই প্রস্তুত রক্তকণিকা আমাদের দেহে তৈরি হয়ে নেই। কারো দেহে একবার করোনা ভাইরাস আক্রমণ হলে, বা কার্যকর ভ্যাক্সিন দিলে, তবেই সেই বীজাণুটিকে মারার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হবে। কিন্তু সব ভ্যাক্সিনের ক্ষমতা সমান নয়। গুটিবসন্তের যে ভ্যাক্সিন বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত নির্মূল করেছে, সব ভ্যাক্সিন তত সফল হয় না। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন মাত্র শতকরা ৫০ ভাগ সুরক্ষা দেয়, আর জলবসন্ত ভ্যাক্সিন দেবার পরেও শতকরা ২০-৩০ জনের সামান্য জলবসন্ত হতে পারে। জেনার গুটিবসন্তের যে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছিলেন তার আগে প্রাচ্য থেকে আসা এক ‘টিকা’ বা ভ্যারিওলেশন ইউরোপে মানুষকে  শতকরা প্রায় একশভাগ সুরক্ষা দিত। তবু ইউরোপ আর তার পরে সারা বিশ্ব জেনারের ভ্যাক্সিন বেছে নিল কেন? তার জন্য ইউরোপে ভ্যারিওলেশন-এর ইতিহাস দেখতে হবে এই পর্বে। হয়তো কোভিড ১৯ এর টিকার সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে এই ইতিহাস জানা দরকার।

এবার আমরা পর্ব ৫ এর মূল অংশে আসি।

রাণী মারিয়া থেরেজা-র (১৭১৭- ১৭৮০ সাধারণ অব্দ) কথা এখন অনেকেই ভুলে গেছেন। পূর্ব-ইউরোপের নানা দেশে পর্যটকেরা এখনও অজস্র প্রাসাদ ও গীর্জায় অষ্টাদশ শতকের এই প্রবল-প্রতাপশালী রাণীর সপরিবার চিত্র দেখে অবাক হয়ে গাইডকে জিজ্ঞেস করেন—কে এই রাণী? পর্যটকের দোষ নেই, প্রথম মহাযুদ্ধে  অস্ট্রো-হাঙ্গারিয়ান সাম্রাজ্য প্রথম আক্রমণ শুরু করেছিল বটে, কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের শেষে সেই সাম্রাজ্য ধ্বংস হয় যায়—তাই সেখানকার পূর্বতন রাণীকে কে-ই বা মনে রাখবে!

সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক, ফ্রেডরিক দ্য গ্রেট (১৭১২-১৭৮৬ সাধারণ অব্দ) নামেই বেশি খ্যাত, প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের ‘আলোকপ্রাপ্ত চরম-ক্ষমতাধর’এর ধারনার প্রবক্তা, ভবিষ্যতের জার্মানির মেরুদণ্ড গড়ে তোলার নায়ক, তাঁকেও আমরা খুব বেশি মনে রাখিনি। অথচ মনে রেখেছি এই সময়ের এক ব্যর্থ ‘অপদার্থ’ শাসক, ফ্রান্সের সম্রাট ষোড়শ লুই-কে (১৭৫৪ -১৭৫৩ সাধারণ অব্দ), কারণ তাঁর গলা গিলোটিনে কাটা পড়েছিল।

আর মনে রেখেছি রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী জারিনা দ্বিতীয় ক্যাথেরিন দ্য গ্রেট-কেও (১৭২৯-১৯৯৬ সাধারণ অব্দ), তবেসেটা বোধহয় স্বামীকে সরিয়ে সিংহাসন দখল আর অজস্র সেক্স-স্ক্যান্ডালের জন্য।

কিন্তু অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্দ্ধের ইউরোপের এই বিখ্যাত রাজপরিবার-গুলোর মধ্যে কী মিল ছিল বলুন তো?

এঁদের সবার টিকা দেওয়া ছিল। না, রাজটিকা নয়, সেটাও ছিল হয়তো, আমি গুটিবসন্তের টিকার কথা বলছি। এবং এই টিকা তাঁদের সকলকেই গুটিবসন্ত থেকে আজীবন সুরক্ষা দিয়েছিল।

দাঁড়ান দাঁড়ান, এঁরা তো ১৮০০ সালের আগেই ধরাধাম ত্যাগ করেছিলেন। আর জেনার সাহেবের টিকা আবিষ্কার হল ১৭৯৭ সালে, সেটা চালু হয়েছিল ১৮০০ সালে। এঁরা টিকা পেলেন কোত্থেকে? শুধু এঁরা নিজেরা  নন, এঁদের পরিবারের সবাই টিকা নিয়েছিলেন, এমনকি সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক প্রুশিয়া-র সৈন্যদলের সবাইকে টিকা দেবার ব্যবস্থা করেছিলেন! রহস্যটা কোথায়?

যাঁরা একটু মন দিয়ে পড়েছেন তাঁরা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, রহস্য কিছু নেই। এই রাজারাণীরা গুষ্টিশুদ্ধু যে টিকা নিয়েছিলেন তা জেনারের টিকা নয়, তা হল ভারত-চীন থেকে তুরস্ক হয়ে আমদানি করা ভ্যারিওলেশন—গুটিবসন্তের রস থেকে প্রস্তুত করা টিকা। জেনারের টিকা চালু হবার পর থেকে যার ভূমিকা অস্বীকার করার জন্যই যেন, জেনারের টিকা থেকেই ইতিহাসে ভ্যাক্সিন-এর শুরু, এমন একটা ধারনা চালু হয় । ইউরোপকেন্দ্রিক ইতিহাসে এমনই হবার কথা। কিন্তু সেটা বলার পরেও প্রশ্ন থাকে—কেন একটা প্রচলিত টিকা-পদ্ধতি ইউরোপে চালু হয়ে, সেখানকার রাজাগজাদের স্বীকৃতি পেয়েও তারপর ইতিহাস থেকে একেবারে নামসমেত লোপাট হয়ে গেল! কোন ভূমিতে জেনারের ভ্যাক্সিন সারজল পেয়ে প্রতিষ্ঠা পেল?

অষ্টাদশ শতকের ইউরোপে বছরে চার লক্ষ মানুষ গুটিবসন্তে মারা যেত, আর মোটামুটি সমসংখ্যক মানুষ একচোখ বা দুচোখেই অন্ধ হয়ে যেত। বাচ্চাদের বসন্ত হলে শতকরা আশিজন মরে যেত। রাজপরিবারগুলোও রক্ষা পেত না। বেঁচে গেলে চামড়ায় দাগ এতোই বিশ্রী হত যে রোগটার ল্যাটিন নাম ছিল ‘ভ্যারিওলা’, চামড়ায় দাগের রোগ, আর ইংরেজি নাম পক্স কথাটাও মুখে গর্ত হবার প্রাচীন ইংরেজি শব্দ থেকে নেওয়া। এরকম রোগের চিকিৎসা খুঁজছিলেন সবাই, কিন্তু সেটা এল পূর্বদিক থেকে।

আমরা আগেই দেখেছি ভারত, চীন আর আফ্রিকার কোনো কোনো জায়গায় কয়েক শতাব্দী ধরে ভ্যারিওলেশন টিকা চালু ছিল। কোনো রোগীর গুটিবসন্তের গুটির রস অন্য মানুষের চামড়ায় টিকা হিসেবে দেওয়া হত। টিকা দেবার পরে টিকার জায়গাটা ফুলে গোটা বেরত, জ্বর হত। দেহের অন্যত্রও সামান্য গুটিবসন্তের গুটি বেরত, তারপর সেরে যেত। ক্বচিৎ কদাচিৎ কারও টিকা নেবার ফলে পুরোদস্তুর গুটিবসন্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারত। তাছাড়া যেহেতু অন্য মানুষের শরীরের রস দেওয়া হচ্ছে, তাই টিকা থেকে টিবি, সিফিলিস এসব হতে পারত, আর পুঁজ হয়ে কষ্টকর ঘা হওয়া বেশ সাধারণ ঘটনা ছিল। কিন্তু গুটিবসন্তের মতো ভয়ানক রোগ আটকাতে লোকে টিকার এইটুকু বিপদ মেনে নিত।

অটোমান সাম্রাজ্য থেকে সপ্তদশ শতকের শেষদিকে ইউরোপীয়দের লেখা ভ্যারিওলা টিকার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়, আর তারাই ইউরোপে এ-বিষয়ে লিখে পাঠায়। ছ’শ বছর ধরে আজকের ইরাক থেকে বর্তমান তুরস্ক পর্যন্ত অটোমানদের বিরাট সাম্রাজ্য ছিল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তা বিলুপ্ত হয়। তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে কয়েকজন ইংরেজ ১৭১৪ সালে ভ্যারিওলেশনের পদ্ধতির বিবরণ দিয়ে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিকে চিঠি লেখেন।

ইংরেজ অভিজাত-কন্যা লেডি মেরি মন্টাগু-র (১৬৮৯ -১৭৬২ সাধারণ অব্দ ) গুটিবসন্ত হয়েছিল—তাঁর মুখটা দাগে কদর্য হয়ে যায়। পরের বছর তাঁর ভাই গুটিবসন্তে মারা যায়। তারপর লেডি মন্টাগু-র স্বামী ইংল্যান্ডের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে ইস্তাম্বুলে আসেন। এখানে এসেই লেডি মন্টাগু ভ্যারিওলেশন টিকা-পদ্ধতি দেখেন আর একে গুটিবসন্তের বিরুদ্ধে একমাত্র হাতিয়ার বলে বুঝতে পারেন। তিনি নিজের বাচ্চা ছেলেকে টিকা দেন। ইস্তাম্বুল থেকে লন্ডনে ফিরে লেডি মন্টাগু তাঁর পরিচিতির বৃত্তে থাকা অভিজাত ইংরেজদের বোঝান–টিকা ছাড়া তাঁদের ছেলেমেয়েদের বাঁচার রাস্তা নেই।

ডা. চার্লস মাইটল্যান্ড প্রথমে লেডি মন্টাগু-র কথায় নিজের বাচ্চা মেয়েকে টিকা দেন, তারপর ভ্যারিওলেশন-এর ট্রায়াল করার জন্য তিনি রাজকীয় অনুমোদন লাভ করেন ও ছয়জন বন্দীর দেহে টিকা দিয়ে তার ফলাফল লিপিবদ্ধ করেন। বন্দীদের অবশ্য টোপ দেওয়া হয়েছিল যে ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করলে সাজা মকুব হবে। রাজকীয় চিকিৎসকদের অধিকাংশ এই ট্রায়ালের বিপক্ষে ছিলেন। চিকিৎসকদের একটি পরিদর্শক দল এই ট্রায়ালের ওপর কড়া নজর রাখে। ডা. মাইটল্যান্ড বন্দীদের প্রথমে ভ্যারিওলেশন অর্থাৎ গুটিবসন্তের রস দিয়ে টিকাকরণ করলেন। তারপর এদের গুটিবসন্ত রোগীদের সংস্পর্শে এনে দেখা গেল রোগটি ওদের হল না। এর কয়েকমাস পর ১৭২২ সালে স্বয়ং প্রিন্সেস অফ ওয়েলস-এর দুই কন্যাকে ভ্যারিওলেশন করলেন ডা. মাইটল্যান্ড। এরপর ইংল্যান্ডে অভিজাত সমাজে ভ্যারিওলেশন পুরোদমে চালু হয়ে গেল।

 

সেই অষ্টদশ শতকের মাঝামাঝিই গোটা ইউরোপে চিকিৎসক সমাজ একটা বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছিল। এক দেশে একটি আবিষ্কার হলে তা দ্রুতই অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়ত। (পাদটীকা ১) ফলে ইংল্যান্ডের ডাক্তাররা একবার ভ্যারিওলেশন মেনে নিলে, গোটা ইউরোপে এই টিকা ছড়িয়ে পড়ল। এবং আগে যেমন বলেছি, ইউরোপের রাজারাজড়া সবাই এই টিকা নিলেন—যদিও তখনও জনসাধারণের টিকাকরণ নিয়ে তেমন প্রচেষ্টা ছিলনা—একমাত্র প্রুশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক সৈন্যদলের সবাইকে টিকা দেবার ব্যবস্থা করেছিলেন ।

ইউরোপে টিকাকরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উত্তর আমেরিকায় ইউরোপীয় কলোনিগুলোতে ভ্যারিওলেশন ছড়িয়ে পড়ল। বিশেষ করে বোস্টন ও ম্যাসাচুসেটস-এর নান জায়গায় কয়েকজন ডাক্তার ভ্যারিওলেশন শুরু করলেন। কিন্তু সেখানে এর বিরুদ্ধ জনমত শক্তিশালী ছিল—বোস্টনের এক ডাক্তারের বাড়িতে টিকা দেবার অপরাধে কে বা কারা বোমা মেরেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১৭২১ সালের গুটিবসন্ত মাহামারির সময় টিকার পক্ষে থাকা ডাক্তাররা  পরীক্ষা সহকারে প্রমান করে দেখালেন যে, টিকা নিলে ক্ষতি হয় কম। বোস্টনের ১২,০০০ মানুষের আর্ধেকের গুটিবসন্ত হয়েছিল—যাদের টিকা দেওয়া হয়নি তাদের শতকরা ১৪ ভাগ মারা যায়। অন্যদিকে টিকা দেওয়া লোকেদের শতকরা মাত্র ২ ভাগ মানুষ মারা গিয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে মহামারি বিষয়ে এটাই প্রথম পরিসংখ্যান-তত্ত্বের প্রয়োগ।

ভ্যারিওলেশন ইউরোপ-আমেরিকায় রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছিল। তাহলে সমস্যা কী এমন ছিল যে জেনারের টিকা বা ভ্যাক্সিন আসার পরে ভ্যারিওলেশন গুরুত্ব হারাল, আর চল্লিশ বছরের মাথায় ভ্যারিওলেশনকে ইংল্যান্ড আইন করে তুলে দিল? ভ্যারিওলেশন টিকা দেবার রস যেহেতু অন্য মানুষের দেহ থেকে নেওয়া হত, টিকার জায়গায় ঘা, এমনকি সিফিলিস ও টিবি-রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ভ্যারিওলেশন পদ্ধতিতে ছিল। কিন্তু তা তো জেনারের পদ্ধতিতেও ছিল, কারণ জেনারের ভ্যাক্সিন দুভাবে তৈরি হত—সরাসরি গোরুর বসন্তগুটির রস থেকে, অথবা (গো-বসন্তের বীজাণু দিয়ে) মানুষের হাতে ফুস্কুড়ি তৈরি করে, সেই ফুস্কুড়ির রস থেকে।

ভ্যারিওলেশনে মূল বিপদ, যা ভ্যাক্সিনে ছিল না, তা হল এই:

গো-বসন্ত মানুষের দেহে প্রায় কখনই গুরুতর রোগ তৈরি করে না। অন্যদিকে, ভ্যারিওলেশন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হত গুটিবসন্তের রস, অর্থাৎ গুটিবসন্তের ভাইরাস থেকে —তা থেকে কিন্তু সবসময়েই অল্পস্বল্প রোগলক্ষণের জন্ম দিত, আর কোনো ক্ষেত্রে ঐ টিকা থেকেই একেবারে পুরোদস্তুর গুটিবসন্ত হত, বিরল ক্ষেত্রে গুটিবসন্তের মহামারির উৎস হয়ে দাঁড়াত কোনো একজন টিকা পাওয়া মানুষের টিকাজনিত গুটিবসন্ত।

পাদটীকা ১–  অন্যদিকে, ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যারিওলেশন-এর আলাদা আলাদা ধরন ও প্রথা ছিল। এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি যে যার মতো ধরে রাখতেন বটে তবে তা নিয়ে সংগঠিত মতবিনিময়ের বালাই ছিল না। এক জায়গায় টিকা দিতেন ব্রাহ্মণ টিকাদার, অন্য কোথাও নাপিত, অন্যত্র আবার মালাকার সম্প্রদায়ের লোক, আবার কোথাও টিকাকার ছিলেন মুসলমান। তাদের মধ্যে সামাজিক আদান-প্রদান কম ছিল, ফলে জ্ঞানের আদান-প্রদান ও অভিজ্ঞতার সার-সংকলন বা বিস্তার ভারতের টিকাকারদের মধ্যে হয়নি।

এমনকি ভারতের পূর্ব , পশ্চিম ও উত্তর প্রান্তে (বাংলা, গুজরাট বা পাঞ্জাবে) ভ্যারিওলা টিকা চালু থাকার কয়েক শতাব্দী পরেও মধ্য বা দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় এই টিকা দেওয়া হত না।

চিত্র পরিচিতি (কেবলমাত্র অব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য)

১) ক্যাথেরিন দ্য গ্রেট, রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী, অষ্টাদশ শতক

২) ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট, প্রুশিয়ার সম্রাট, অষ্টাদশ শতক

৩) মারিয়া থেরেজা, অস্ট্রো-হাঙ্গারিয়ান ‘হ্যাবসবার্গ’ সম্রাজ্ঞী, অষ্টাদশ শতক

৪) ষোড়শ লুই, ফ্রান্সের সম্রাট, অষ্টাদশ শতক

৫) লেডি মেরি মন্টাগু

৬) ভ্যারিওলেশনে সাহায্য করছেন লেডি মেরি মন্টাগু

তথ্যসূত্রঃ

১) Edward Jenner and the history of smallpox and vaccination, Stefan Riedel, Baylor University Medical Center Proceedings, 2005, Volume 18 (1), Page 21-25.  .https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1200696/ accessed on 7 May, 2020. )

২) Colonizing the Body – State Medicine and Epidemic disease in Nineteenth-Century India, David Arnold. University of California Press, 1993, Page 116-158

PrevPreviousডায়াবেটিসের অ থেকে চন্দ্রবিন্দুঃ পর্ব ১৩ (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি)
Next“বুবুন তুমি অঙ্কে তেরো”Next

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

পুস্তকালোচনাঃ ডা নন্দ ঘোষের চেম্বার

January 24, 2021 No Comments

বই– ডা. নন্দ ঘোষের চেম্বার (প্রথম সংস্করণ) লেখক– ডা. সৌম্যকান্তি পন্ডা প্রকাশক– প্রণতি প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য– ১০০ টাকা ––––––––––––––––––––––––––––––––––––––– ১) অন্ধকারের রাজ্যে —— একদিকে চিকিৎসা

ডা ঐন্দ্রিল ভৌমিকের প্রবন্ধ ‘কর্পোরেট’

January 24, 2021 No Comments

ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়

January 24, 2021 No Comments

একটি সুইসাইড নোট- “হার্ট অ্যাটাকের অপেক্ষায় ক্লান্ত দিন যাপন শেষ হোক এবার।” লিখেছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় নলজাতক শিশু বা টেস্টটিউব বেবীর সফল স্রষ্টা।

বহন

January 23, 2021 No Comments

কাঁধে ব্যথা। শেষ ৬ মাসে ব্যথাটা বেড়েছে। বয়স হচ্ছে। ঠান্ডাও পড়েছে। কিন্তু এ ব্যথাটা ঠিক সেইরকম নয়, একটু অন্যরকম। অনেকক্ষণ কাঁধে কিছু বয়ে নিয়ে গেলে

বাঁশরি

January 23, 2021 No Comments

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ চিন্তায় আধারিত নাটক। অভিনয়ে অমর চট্টোপাধ্যায় ও ময়ূরী মিত্র।

সাম্প্রতিক পোস্ট

পুস্তকালোচনাঃ ডা নন্দ ঘোষের চেম্বার

Aritra Sudan Sengupta January 24, 2021

ডা ঐন্দ্রিল ভৌমিকের প্রবন্ধ ‘কর্পোরেট’

Dr. Sumit Banerjee January 24, 2021

ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়

Dr. Indranil Saha January 24, 2021

বহন

Dr. Indranil Saha January 23, 2021

বাঁশরি

Dr. Mayuri Mitra January 23, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

292815
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।