আমার মেয়ে। আমাদের মেয়ে। পাঁচ বছরের বিদীপ্তা। লালারস পরীক্ষায় ওর ‘কোভিড পজিটিভ’ এসেছে। আমরা এখন সবার থেকে বিচ্ছিন্ন। মেয়ে, ওর মা আর আমি। এক সপ্তাহ হোম আইসোলেশনে। সবাই ঠিক আছি। আরও সাতদিন। এইভাবে থাকব। আইসোলেশনের দিনরাত্রি নিয়ে সিরিজ লিখব। আজ প্রথম কিস্তি।
আজ্ঞে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। অভিযোগ নেই। শুধু হাতড়ে বেড়াচ্ছি, কোভিড শয়তানটা এল কি করে। এটা বোঝা গেল, সম্ভাব্য সব রাস্তা বন্ধ রাখলেও ভাইরাস ঘরে ঢুকে পড়তে পারে। আবার মাথা ঠাণ্ডা রেখে পদক্ষেপ করলে সে কেটে পড়তেও বাধ্য। লকডাউনে অফিস যাওয়ার মুখে কোনও একদিন মেয়ের রাগী মুখের এই ছবি তুলেছিলাম। আমি বেরোচ্ছি। আর ও যাতে না বেরোয় বা বাইরের কেউ যাতে না ঢোকে, তাই তালাচাবি। তাতেই ওর রাগ। অফিস থেকে ফিরে ওর সঙ্গে দেখা না করে স্নানে ঢুকতাম। রাগ করত তাতেও। বাজার থেকে ফিরে ওকে না ডেকে সোজা বাথরুমে। মাস্ক ছিল। স্যানিটাইজার ছিল। বাইরে বেরোলে স্পর্শ এড়িয়ে থাকার কৌশলও ছিল। তবু করোনা এল।
#চলবে