আন্তর্জাতিক খেলায়
যে খেলোয়াড়রা
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও
প্রতিযোগীর থেকে পিছিয়ে থাকে,
তারা মুহ্যমান না থেকে
চিৎকার করে
নিজেদের চাগিয়ে তোলে।
দেখেছেন? খেয়াল করেছেন?
তারপর প্রতিযোগীর সঙ্গে
যখন তার আবার
পিছিয়ে থাকার ব্যবধান কমে,
সে আরও চিৎকার করে
নিজেকে আরও চাগিয়ে তোলে।
এর মধ্যে একটা বিজ্ঞান আছে।
এ ব্যবহারের
একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা আছে।
চিৎকারে শরীরে
অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরণ হয়।
যাতে মানুষ অনেক বেশি চনমনে
আর কর্মমুখর হয়ে ওঠে।
কোনও বাধা তখন আর
তার কাছে বাধা মনে হয় না।
মুহ্যমান হয়ে থাকলে
সেটা সম্ভব নয়।
সাম্প্রতিক বর্তমানে
আমাদের জুনিয়র ডাক্তারেরা
যে স্বাস্থ্য আন্দোলন করছেন,
তা অত্যন্ত কঠিন একটা ইস্যু।
পৃথিবীর প্রতিটা কোণে পৌঁছে গেছে
এই আন্দোলনের ঢেউ।
হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক।
যেটা আপনার আমার মতো
অনেক বুড়ো বা আধবুড়ো
দরকারের সময় না করতে পেরে
নেংটি ইঁদুরের মতো
ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে
গর্তে গিয়ে লুকিয়েছি
সাহসে কুলোয়নি বলে।
গতকাল ও আজ আন্দোলনে
একটা প্রাথমিক
নীতিগত জয় হয়েছে তাদের।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবং কোর্টে।
এ লড়াই অনেক লম্বা।
নিজেদের চাগিয়ে রাখতে হবে
আরও বহু সময়।
আমরা যারা ছিদ্রন্বেষী
লড়াইবিমুখ অকর্মণ্য পূর্বসুরি,
তাদের এই লড়াই
সেসব পূর্বসূরীর এ লড়াইকে
নিরুৎসাহিত করার বিরুদ্ধেও।
সেই প্রাথমিক নীতিগত জয়ের
সেলিব্রেশন ফুটে ওঠে
তাদের নাচের মধ্য দিয়ে,
আরও , আরও অ্যাড্রিনালিন
ক্ষরণের জন্য!
এটাকে বলে সেলফ মোটিভেশন।
মানুষের শোক থাকে
বুকের গভীরে।
শরীরে ফুটিয়ে তোলা
কান্না কান্না অভিনয়ে নয়।
মশালবাহি উত্তরপুরুষদের
এই নাচের যারা
সমালোচনা করছেন,
তারা বরং একটু
মনস্তত্ত্ব ও বিজ্ঞানে শিক্ষিত হন।
সংবেদনশীল হন।
নয়তো চুপ থাকুন।
কারো পাশে দাঁড়াতে না পারলে বরং
তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভ্যাস
ত্যাগ করুন।
তাতেও যে বা যারা দাঁড়াতে চাইছে
তাদের সুবিধা হয়।
১৭.০৯.২০২৪









