গলগন্ড বা থাইরয়েড টিউমার একটি বিচ্ছিন্ন রোগ সত্তা হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে প্রাচীনতম নথিভুক্ত ইতিহাস থেকে। চীনে গলগন্ডের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
অথর্ব বেদে (২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানেই প্রথম ঘাড়ের ফুলে যাওয়াকে অংশকে ‘গলগন্ড’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।যদিও ইতিহাস জুড়ে গলগণ্ড বিশ্বের বিভিন্ন অংশে স্থানীয়ভাবে দেখা দিয়েছে, তবে ৫০০ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদের আব্দুল কাসান কেলেবিস আবিস প্রথম রেকর্ডকৃত গলগন্ডের অপারেশন করেছিলেন। আশ্চর্যভাবে অস্ত্রোপচার পরবর্তী প্রবল রক্তপাত সত্ত্বেও রোগী বেঁচে যান। অন্যান্য প্রচলিত প্রাথমিক প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙের রক্ত ঘাড়ে প্রয়োগ করা এবং একটি শবের কাটা হাত ওই থাইরয়েড টিউমারটির ওপর বোলানো।
থাইরয়েড সার্জারির প্রাথমিক বিকাশ ১২ম এবং ১৩শ শতাব্দীতে স্কুল অফ সালেরনো (ইতালি) থেকে এসেছিল৷ সাধারণ অপারেশনের মধ্যে দুটি উত্তপ্ত লোহার রডকে ৯০° সমকোণে ওই থাইরয়েড টিউমারটির মধ্যে প্রবেশ করানো হতো, ত্বকের মধ্যে দিয়ে দিনে দুবার করে যতক্ষণ না তারা মাংস ছিদ্র করে। টিউমারে রক্ত সরবরাহ করার ধমনীকে একটি হুক দিয়ে আঁকড়ে ধরে তারপর চামড়া কাটা হতো।তারপর গলগন্ডের অংশটি তার ক্যাপসুল সহ একটি আঙুল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে বার করা হতো৷ ঝুলন্ত টিউমারগুলির গোড়ায় একটি জুতোর লেস দিয়ে বেঁধে তারপর কেটে ফেলা হতো৷ রোগীদের একটি টেবিলের সাথে দৃঢ়ভাবে বেঁধে রাখাই দস্তর ছিলো। এতে গলগন্ড আকারে ছোট হয়ে গেলেও প্রায়শই রোগী সেপসিস বা রক্তক্ষরণের কারণে মারা যেত।