তিন নাকি চারজন সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়েছে, যারা পেশায় চিকিৎসক। এর জন্য সামগ্রিকভাবে চিকিৎসকদের কেউ গালিগালাজ করে যাবেন বলে মনে হয় না।
আরেকদিকে মাননীয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী – প্রাক্তন বলছি বটে, কিন্তু পুরনো পদে পুনর্বহাল হয়ে যাবেন না এমন গ্যারান্টি নেই – তো তিনি আজ জেল থেকে ছাড়া পেলেন। পার্থবাবুর সততায় আস্থা রাখা বিপুল সংখ্যক সমর্থকবৃন্দ তাঁকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছেন – সেসব দেখেটেখে আবেগাপ্লুত জননেতা চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। খুবই আবেগমথিত পরিমণ্ডল, বলাই বাহুল্য।
কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।
বিগত বৎসরাধিক কাল পার্থবাবু জেলে কাটাননি। “গুরুতর শারীরিক সমস্যার কারণে” তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
জামিন পাওয়া মাত্র তিনি ঠিক কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় যাবতীয় অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হলেন, যাতে জামিনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করে দেওয়া গেল? যে অসুস্থতা একজনকে একবছর হাসপাতালে শয্যাশায়ী করে রাখতে পারে, সামান্য একটা জামিনের আদেশ তা সারিয়ে ফেলতে সক্ষম?
দুটি মাত্র সম্ভাবনা। দুটিই শরীরবিজ্ঞানের আওতার অতীত।
এক। অলৌকিক এক সোনার কাঠি পার্থবাবুকে রাতারাতি সুস্থ করে ফেলেছে।
দুই। সম্প্রতি ডাক্তারবাবুরা দিকে দিকে যে শিরদাঁড়া বিলি করে বেড়াচ্ছিলেন, তা নিছক কোনও শিরদাঁড়ার মডেল নয় – একেবারে আসল শিরদাঁড়া। ডাক্তারবাবুরা নিজেদের শিরদাঁড়াটাই খুলে অপরকে তা গছানোর চেষ্টায় ছিলেন। (কাজটা একদিক থেকে দেখলে যুক্তিসঙ্গতও, কেননা এই বাজারে শিরদাঁড়া ঋজু রেখে কাজ করতে পারা, বিশেষ করে ঠাটবাট বজায় রেখে কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারা, কঠিন।)
প্রথম যে সম্ভাবনার কথা বললাম, তা কখনও প্রত্যক্ষ করিনি – কিন্তু আমি দেখিনি বলে তা ঘটতেই পারে না, এমন আত্মকেন্দ্রিক অহং আমার নেই।
আর দ্বিতীয় যে সম্ভাবনা… তা ইদানীং চারপাশে এতই দেখি, দেখে দেখে এমন চোখ পচে গেছে যে আমিও এই পেশাগত সমাজের অংশ, এটা বিশ্বাস করতে নিজের অহংবোধে (মানে যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে এখনও, সেটুকুতেই) লাগে।









