নীলাভ, তোমার জন্য। মইদুল এবং আর যারা দেশের যেকোনো মিছিলে নিহত হয়েছেন, এটা তাদের সবার জন্য।
। আমরাই দোষী।
পুলিশের লাঠি এসে কার ওপরে পড়ে,
পেয়াদারা রাতে কার ঘরে নাড়ে কড়া,
কার শব শুয়ে আছে লাশকাটা ঘরে,
কে জেলে গেছে করে হাসি মস্করা..
এসব প্রশ্ন করা এখন বারণ। জবাবদিহির কাজ রাষ্ট্রের নয়।
বিপরীত শ্লোগান যে করে উচ্চারণ, জেনে রেখো একটাই তার পরিচয়।
‘দেশের শত্রু সে’। ভুল হলো বলা,
রাষ্ট্র তো দেশ নয়। কিন্তু এ গণতন্ত্রটি,
এখনো ভিড়ের মাঝে উঁচু করে গলা,
আদি থেকে দাবী করা কপড়া মকান রোটি,
মিশরীয় মমির মতো থাকে অবিকৃত। ওসব মেটাতে গেলে ভারী গোলযোগ, যে সব অন্ধ হাতে এ রাষ্ট্র ধৃত, তাদের অসহ্য লাগে মিছিলের রোগ,
জমায়েত মানে কিছু মগজ যায়নি হরতালে,
ভীষণ বিপদ। দেশের হয়তো নয় সেই সংকট,
কিন্তু ফুলকির থেকে ঘুমভাঙা নাগরিক মশাল জ্বালালে,
অচিরে ভেস্তে যাবে আজীবন রাজা থাকা প্লট।
সকলেই জানে এটা সাধারণ জ্ঞানে, ছড়াবার আগে শুষে নেওয়া চাই বিষ, তাই শুধু আইনকে রক্ষার ভানে, কিছু প্রাণ নিয়ে নেয় রাষ্ট্রপুলিশ।
এখানে প্রতীক নয়, ক্ষমতাই বড়,
মুকুট মাথায় এলে হরিদাসও হয় হিটলার,
যে কোনো সময় খুঁজে ইতিহাস পড়ো,
মইদুল চিরকাল গুলির শিকার।
আসলে দোষটা স্রেফ আমাদেরই, জানো, নেতাকে বেদীতে তুলি ঈশ্বর ভ্রমে, যখন সে শুরু করে ক্ষমতা দেখানো, আমরাই মেনে নিই বাধ্য হজমে।
নেতা যদি মানুষের থেকে দূরে যায়,
মিছিল থাকে না আর জনতার বুলি,
বিরোধিতা মানে হয় ঘোর অন্যায়,
শান্তির নামে চলে কামান বা গুলি।
যতদিন দেশে হবে এই নেতাপুজো, সমর্থনের নামে ভক্তি বিলাবো,
ততদিন দেশ হবে লাশ কাঁধে কুঁজো, মিছিলের পরে শব সংখ্যা মিলাবো।
এ প্রথা পোড়াই চলো আগুনে, নীলাভ।