কয়েকটা পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। মেডিকেল কলেজের মত একটা টার্শিয়ারি সেন্টারের ওপর ঠিক কতজন মানুষের স্বাস্থ্য নির্ভর করে কিছুটা আইডিয়া দেওয়ার জন্যে..
মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট:
মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে রোজ বিভিন্ন অসুখ নিয়ে দেখাতে আসেন প্রায় ৬০০ মত মানুষ, OPD বেসিসে রোজ ভর্তি হয় ২০ র বেশি পেশেন্ট আর ইমার্জেন্সির থ্রু দিয়ে ৫০-৬০ জন পেশেন্ট। সে ডিপার্টমেন্টের ইনডোর আজ প্রায় ৩ মাস বন্ধ, OPD খুব রিসেন্ট খোলা হলেও সেখানে পেশেন্ট ৫০ এর কম।
জেনারেল সার্জারি ডিপার্টমেন্ট :
প্রতিদিন শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজের OPD তেই দেখাতে আসেন প্রায় ৪০০ মানুষ। ইমার্জেন্সি বেসিসে রোজ ভর্তি হন প্রায় ২০ জন পেশেন্ট। প্রতি মাসে মেজর অপারেশন হয় ১০০ টার বেশি এবং মাইনর অপারেশন হয় ৪০০ এর বেশি। তার মানে শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজে প্রতি মাসে সার্জারি ডিপার্টমেন্ট OT হয় প্রায় ৫০০ এর বেশি।
অর্থো ডিপার্টমেন্ট :
প্রতিদিন শুধুমাত্র OPD তে পেশেন্ট আসেন প্রায় ৫০০ জন। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই OT র সংখ্যা ১৫০ মত।
এখন করোনার জন্যে সার্জারি, অর্থো দুটো ডিপার্টমেন্টই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে!
গাইনি ডিপার্টমেন্ট :
কোভিডের আগে OPD তে রোজ দেখাতে আসতেন প্রায় ৪০০ মানুষ। যেটা এখন দাঁড়িয়েছে রোজ ১৫ জনে। গাইনি ইমার্জেন্সিতে পেশেন্টের সংখ্যাটা ছিলো প্রায় ১৩০ জন প্রতিদিন সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। ইমার্জেন্সি দিয়ে অ্যাডমিশন হত আগে রোজ প্রায় ৬০ জন পেশেন্টের, সেই সংখ্যাটা এখন রোজ ২ জন। সিজারিয়ানে সেকশন হত প্রতি মাসে প্রায় ৫৭০ জন মায়ের। লাস্ট ৩ মাসে সেই সংখ্যাটা ১১১ জন মাত্র। গাইনির মেজর ওটি, ল্যাপ ওটি পুরোপুরি বন্ধ।
সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্ট :
প্রতিদিন OPD তে দেখাতে আসতেন প্রায় ৩৫০-৪০০ মানুষ,যেটা এখন কমে গিয়ে ৫০-৬০ জনে ঠেকেছে। ইনডোর,ECT সব বন্ধ।
রেডিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট :
OPD তে দেখাতে আসতে প্রতিদিন প্রায় ১২০ জনের বেশি, সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ২৬-৩০ জনে। রেডিয়েশন পেতেন প্রতিদিন ১৫০ জন ক্যান্সার পেশেন্ট, সেখানে এখন পাচ্ছেন মাত্র ১৫-২০ জন। কেমো ডে কেয়ার পেতেন ১৫-২০ জন পেশেন্ট, সেটা এখন পাচ্ছেন ৪-৫ জন করে । ইনডোর বন্ধ!
CTVS ডিপার্টমেন্ট :
OPD পেশেন্টের সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন যেটা এখন দাঁড়িয়েছে ২০-৩০ জনে। ইনডোর, ওটি বন্ধ পুরোপুরি।
এছাড়া রয়েছে RIO র মত বিশাল ইন্সটিটিউট! ইউরোসার্জারি,অঙ্কোমডিসিন,অঙ্কোসার্জারি,নিউরো মেডিসিন,নিউরো সার্জারি,গ্যাস্ট্রো সার্জারির মত এরকম অসংখ্য ডিপার্টমেন্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে মেডিকেল কলেজে। আর এটার সমাধান, শুধু রেফার? NRS,RG kar,SSKM,National এও এরকমই পেশেন্টের চাপ। আর, বেড? সে কোভিড আসার আগের থেকেই সব কলেজে একসাথে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি আমি নিজের ইন্টার্নশিপেই।
দেখেছি কীরকম হন্যে হয়ে একটা বেডের জন্যে রাত ৩টে,৪ টের সময় ঘুরে বেড়ান মালদা,মুর্শিদাবাদ,বাঁকুড়া,পুরুলিয়ার থেকে আসা অসংখ্য পেশেন্ট।
করোনার চিকিৎসার জন্যে মেডিকেল কলেজ,বাঙুর,বেলেঘাটাই যথেষ্ট নয় সেটা বোঝা যাচ্ছে অলরেডি। ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাড়াতেই হবে। সমস্ত টার্শিয়ারি সেন্টারেই কোভিডের জন্যে আলাদা বিল্ডিং ফিক্সড করতে হবে। মেডিকেল কোভিডের চিকিৎসা করবে যেমন সে প্রথম দিন থেকে করে আসছে কিন্তু তার সাথে এরকম হাজার হাজার পেশেন্টের স্বাস্থ্যও শুধু রেফারের ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। মেডিকেল কলেজে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোভিড এবং বাকি সমস্ত কিছুর চিকিৎসা শুরু করা হোক না হলে কোভিডের বলি অসংখ্য নন কোভিড পেশেন্ট দিতে থাকবেন ক্রমশ আর এই মৃত্যু মিছিল মেডিকেল কলেজ মেনে নিতে পারে না!
Not only in Medical Colleges, treatment of non covid patients must start in all health institutions, both govt and corporate. Otherwise the stigma will never reduce. It can be spreaded in phases. The only thing is this huge load may not be borne by all. Administration should be watchful as well as compassionate.