24 শে মে উল্টোডাঙ্গার বাসন্তী কলোনিতে স্বাস্থ্য শিবির দিয়ে শুরু হয়েছিল শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এর যৌথ প্রয়াস আমপান পীড়িত মানুষের পাশে মেডিকেল রিলিফ নিয়ে দাঁড়ানোর। আজ 5 ই জুলাই শেষ শিবিরটি অনুষ্ঠিত হলো বাগমারি খালপাড়ে।
আজ সকালে ঢাকুরিয়ার বাবু বাগানে আরেকটি ক্যাম্প হয়েছিল কর্পোরেশনের সাফাই কর্মীদের জন্য।
বাগমারির খালপাড়ে বস্তিবাসীদের মধ্যে দীর্ঘদিন কাজ করে ভাষা ও চেতনা সমিতি। গত এক বছর ধরে স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ এর পক্ষ থেকে সেখানে শিশুদের আঁকা শেখানো হয়। শিশুদের জন্য একবার মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছিল। লক ডাউন এর সময় কর্মহীন বস্তিবাসীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণও করেছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ।
আজকের শিবিরে চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের ডাঃ চঞ্চলা সমাজদার ও মৃন্ময় বেরা, স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ডাঃ রেজাউল করিম। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের অভিজিৎ পাল, সুদীপ দস্তিদার, আত্রেয়ী দাস এবং দেবাশীষ মুখার্জী। স্থানীয় কিশোর কিশোরী নুরুদ্দিন, মাসরিকা এবং তব্বুকে নিয়ে শিবিরের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের পিয়ালী দে বিশ্বাস।
মোট 125 জন রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধ। মহিলাদের স্যানিটারী প্যাড বিতরণ করা হয়। ভাষা ও চেতনা সমিতির পক্ষে ইমানুল হক উপস্থিত ছিলেন, তারা রোগীদের এবং শিশুদের মাস্ক বিতরণ করেন।
শিবিরে দেখা শিশুদের মধ্যে সংক্রামক চর্মরোগ প্রচুর দেখা যায়, ছিল কনজাংটিভাইটিস এর বেশ কয়েকজন রোগী। এলাকার বসবাসের জায়গা নোংরা হওয়ার কারণেই বোধহয় এসব। মহিলারা অনেকেই এসেছিলেন মাসিকের সমস্যা নিয়ে, ছিলেন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কয়েকজন রোগী। সরকারি হাসপাতালে করোনা ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসা না হওয়ায় তারা বিনা চিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছেন।