” আমাদের পাড়ায় দুটো করোনা পাওয়া গেছে “।করোনা এখন বাঙালির কাছে ‘মাথার উকুন’ বা ‘বিছানার ছারপোকার’-মতোই পাওয়া যায়।
করোনা হলে,সে আর আমাদের কেউ থাকে না-সে তখন ‘করোনা রুগী’ বা ‘করোনা’।করোনায় তখন আর ‘মানুষ’ আক্রান্ত হয় না,সে আর বাকিদের মতো মানুষ’ই নয়।তার কোথাও ঠাঁই হয় না।দাবি ওঠে,”পুলিশ এসে ওদের সবাইকে নিয়ে যাক্-বাড়ি সিল করে দিক্” আর তারপর ফেসবুকে স্টেটাস আপডেট: “আমাদের বাড়ির সাতটা বাড়ি পর ওই হলুদ বাড়িতে করোনা পাওয়া গেছে,সবাই সাবধান…” —-আমার সামাজিক দায়িত্ব শেষ।এরপর চলে কমেন্টের বন্যা; “মালটা’র করোনা হোল কি করে”–চালু হয় গবেষণা!
দোলা বৌদি,তার বর’কে জানায়,”পাশের পাড়ায় করোনা ঢুকে গেছে,তুমি এবার সাবধানে বাজারে যেও।”
সুধীর বাবু বলেন-“তখন’ই বলেছিলাম,লোকটা হাসপাতালে কাজ করে; ‘যত্ত সব রোগের ডিপো’!”
রতন জানায়-“লোকটা মোটেও সুবিধের ছিল না, মোমবাতি মিছিলের চাঁদা দিতে ঝামেলা করেছিল। আরে ওদের মতো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই তো এত হাপা নিয়েছিলাম।”করোনা হয়েছে-বেশ হয়েছে।”
‘অবুঝ মন’ জানায়,তার আর নতুন নতুন রান্নার রেসিপি দেখতে ‘মন’ করে না।
ঘুঁটে পুড়ছে, গোবর অট্টহাসি হাসছে।
করোনা আমাদের ‘মাস্ক’ পরিয়েছে,’মুখোশ’ খুলে নিয়েছে।
অসাধারন।