রক্তচাপ মাপার সময় সতর্কতা
রক্তচাপ মাপার সময় কয়েকটি বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, যেগুলি খেয়াল না রাখলে রক্তচাপ মাপায় ভুল হতে পারে।
- যদি রোগী হেলান না দিয়ে বসেন তাহলে ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৬ মিলিমিটার পারদ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
- বাহু যদি হৃদপিণ্ডের সমতলে না থাকে বা কোনো কিছুর উপর না রেখে ঝুলিয়ে রাখা হয়, তাতে রক্তচাপ ১০- ১২ মিলিমিটার পারদ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
- যদি পা পাশাপাশি না রেখে একটি পা আরেকটি পায়ের উপর রাখা হয় তাহলে সিস্টোলিক প্রেশার ২- ৮ মিলিমিটার পারদ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
- ক্যাফিন ও ধূমপান সাময়িক ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- স্থূল মানুষের ছোটো কাফ দিয়ে রক্তচাপ মাপলে সিস্টোলিক প্রেশার ১০- ৫০ মিলিমিটার পারদ পর্যন্ত বেশি আসতে পারে।
- যদি রক্তচাপ মাপার কাফের প্রেশার খুব তাড়াতাড়ি কমানো হয়(সেকেন্ডে ৩মিলিমিটার পারদ’এর বেশি), তাহলে সিস্টোলিক প্রেশার কম এবং ডায়াস্টোলিক প্রেশার বেশি আসতে পারে।
হোয়াইট কোট হাইপারটেনশনঃ
রোগীর মানসিক উদ্বেগ বা উত্তেজনা সাময়িক ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক রোগীই চিকিৎসকের চেম্বারে মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। সে সময়ে চিকিৎসক রক্তচাপ মাপলে তা বেশি পাওয়া যায় এবং রোগীর হাইপারটেশন না থাকা স্বত্বেও হাইপারটেনশনের ওষুধ শুরু হয়ে যেতে পারে। একে বলে হোয়াইট কোত হাইপারটেনশন। এই হোয়াইট কোট হাইপারটেনশনের প্রাদুর্ভাব খুব কম নয়। প্রায় ৩২% মানুষের মধ্যে এটা দেখা যায়।
তাই যাদের ডাক্তারবাবুর কাছে ব্লাড প্রেশার সামান্য বেশি পাওয়া গেছে তাদের বাড়িতে রক্তচাপ মাপার উপর এবং ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেটরি ব্লাড প্রেশার মনিটারিং-এর উপর জোর দেওয়া উচিৎ। গ্রেড- ২ বা গ্রেড- ৩ হাইপারটেনশনের ক্ষেত্রে অবশ্য অপেক্ষা না করে সাথে সাথেই ওষুধ শুরু করা উচিৎ।
পরবর্তী পর্বে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেটরি ব্লাড প্রেশার মনিটারিং নিয়ে আমরা জানব।
খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় । নিয়মিত জানতে চাই
Automatic BP monitor এ কি রেজাল্ট ঠিক আসে?