****এর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একজন মেডিসিনের ডাক্তার হিসেবে কাজ করছি। এই এলাকার কারও মুখে কোনও মাস্ক নেই এমনকী যখন আমার কাছে আসে তখন হাত স্যানিটাইজ করে না। এবং সেভাবেই তারা আমার কাছে আসে। আমরা চিকিৎসা করতে বাধ্য। ২ দিন আগে হাসপাতালের সহকারী সুপারও কোভিড আক্রান্ত হন। আর এবার আমার পালা। ধূম জ্বর এসেছে। গত কয়েকদিন ধরেই এমন চলছে। সঙ্গে আছে মাথা যন্ত্রণা, বুকে ব্যথা আর শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি নিজের খরচায়। রেমডেসিভির চালু হয়েছে। এই বছরেই আমি আমার ঠাকুরদাকে হারিয়েছি, তারপর বাবাকে। আর এখন আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি। আমার ৬ মাসের বাচ্চা তার মামাবাড়িতে আছে। আমরা দুজনেই জানিনা, আবার কবে আমাদের দেখা হবে।
একজন কোভিড যোদ্ধা হিসেবে আমি সরকারের থেকে কী পেলাম? কোভিডের এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমনকী কনটেনমেন্ট জোনেও আইন আমাদের বাধ্য করেছে রোগীর চিকিৎসা করতে। কিন্তু বিনিময়ে ডাক্তারদের কিছুই দেওয়া হয়নি। এ যেন যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দুক ছাড়া সৈনিকদের ছেড়ে দেওয়া আর তারা মারা গেলে তাঁদের বলা ঠিকমতো বন্দুক ধরতে পারে না। আশা করব সবাই পরিস্থিতি অনুভব করতে পারবে। আমরা কোভিড যোদ্ধা না কি চিকিৎসক বলে এমন ফাঁদে পড়ে গেছি যেখান থেকে বেরনোর কোনও পথ নেই।
এটা একজনের নয় অনেকের কথা। করোনাতে এখনও লোকে মারা যাচ্ছে। ইউরোপে ক্রিসমাসের সময় অনেক বিধি নিষেধ আরোপ হচ্ছে।
লোকে বলে বেশি মুখ খুললে বোকামি ধরা পড়ে যায়, তাই নাক মুখ ঢেকে রাখুন। ২০২১ ভোটটা দিতে হবে তো?