।।চোরা কারবারের গান।।
একটা নির্বাচিত সরকার এত এত চুরি, দুর্নীতি করতে পারে?
অন্য দুর্নীতি বা চুরির ক্ষতি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পূরণ হবে কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতি একটা সমাজকে এতটাই ধাক্কা দিতে পারে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যেতে পারে সেই ধাক্কা সামলাতে।
শাসক নেতাদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে সাদা খাতা জমা দেওয়া অযোগ্যরা, ফলে টেট বা এস এস সি পাশ করেও বঞ্চিত হয়েছে যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে, তাঁরা হাজার দিন রাস্তায় মাথা খুঁড়েছে এতদিন আর এখন পথের পাথরে মাথা খুঁড়ছে সেই সকল যোগ্যরা যারা চাকরি পেয়েছিলেন কিন্তু শাসক অযোগ্যদের বাঁচাতে চাওয়ায় এখন চাকরিহারা।
শাসক বলছে তাঁরা চাকরিহারাদের পাশে। অথচ নিম্ন কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট অসংখ্যবার এসএসসি এবং রাজ্য সরকারের কাছেও যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা চাওয়া হয়েছে তাঁরা দেননি, ওএমআর প্রকাশ করেননি, অযোগ্যদের আড়াল করবেন বলে। রাজ্যের মন্ত্রিসভা পর্যন্ত অযোগ্যদের বাঁচাতে বেআইনি সুপার নিউমারারি পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, একবারও ভাবলেন না যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কাছে আমাদের শিশুরা কী শিখবে! ঠিক এরকম মানসিকতার মানুষরাই শিশুখাদ্যে ভেজাল মেশাতে পারে!
বছরের পর বছর ধরে চলা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওঠা আন্দোলনে কর্ণপাত করেননি, কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দেননি যে শাসক তিনি আজ সহানুভূতির কথা বলছেন আর তাঁর পুলিশ আন্দোলনরত যোগ্য শিক্ষকদের বেপরোয়া পিটিয়ে বলছে, সামান্য বলপ্রয়োগ। ‘সো কিউট’ না?
একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে শাসক অথচ জনগণের হিরন্ময় নীরবতা বিস্ময়কর! কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, মঞ্চ কাঁপানো রক ব্যান্ড, চিত্রকর, নাট্যকর্মী, পরিচালক কজন আওয়াজ তুলছেন এতবড় অন্যায়ের বিরুদ্ধে? কী নিস্পৃহ! কী উদাসীন! যেন এসব ঘটনা ঘটছে মঙ্গলগ্রহে!
জানি না আমরা কোথায় চলেছি! এত বড় অপরাধ করে যদি পার পেয়ে যায় শাসক তাহলে আমাদের মানুষ শব্দটা গা থেকে ঝেড়ে ফেলাই ভালো! আমার প্রতিবাদটুকু রেখে যাই গানে। তাতে গণ্ডার চর্মধারীকুলে কারো কিছু আসে যাবে না জানি। কিন্তু এ গান না গাইলে আমার যায় আসে!











Apurbo gaan,apurbo Rachana