ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজ্যের সরকারী হাসপাতাল গুলোর। নবান্নে, লালবাজার পাওয়া গেলেও, বেশিরভাগ হাসপাতাল/মেডিক্যাল কলেজে পাওয়া যাচ্ছেনা মাস্ক, সানিটাইজার।
আইসলেশন ওয়ার্ডগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। অক্সিজেনের মজুদ ভান্ডার বাড়ানোর প্রয়াস নেই। হাতে গোনা রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, স্যাম্পল সংগ্রহ কেন্দ্রের জন্যে মানুষকে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত অবস্থায়, অপ্রতুল পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের।
আইডি হাসপাতালের পরিষেবা ভেঙে পড়ার মুখে। হাসপাতাল/মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর গুলোর অস্বাভাবিক ভিড় রোগ ছড়ানোর এপিসেন্টার হয়ে আছে। অবিলম্বে ইলেক্টিভ অপারেশন এবং আউটডোর বন্ধ রেখে শুধু ফিভার/ফ্লু ক্লিনিক চালাতে হবে। সমস্ত ইমারজেন্সি সার্ভিস আরও শক্তিশালী করতে হবে। প্রতি জেলায় বা প্রতি মেডিক্যাল কলেজে স্যাম্পল সংগ্রহ এবং রোগ নির্নয় কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসক আগে থেকেই, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, হার্ট, ফুসফুসের রোগে ভুগছেন বা যাদের বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে তাদের, বিশেষ করে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
সম্পাদক
এএইচএসডি, পশ্চিমবঙ্গ