প্রথম যখন ওনারা আসেন সাগর দীঘি মেডিক্যাল ইউনিটে ওনাদের স্কুলে একটা হেল্থ ক্যাম্প করে দিতে হবে বলে ওনাদের ড্রেস, কথা বলার ধরণ সবটাই বেশ অন্যরকম লেগেছিল। ওনারা আমাদের সম্বন্ধে বিস্তর খবর নিয়ে এসেছেন দেখে আরো অবাক লাগলো।পুরোটাই বেসরকারি পেশাদারিত্বের ছাপ।
রাজি হলাম।
সবাই মিলে চলে গেলাম।স্কুল দেখে তাজ্জব হয়ে গেলাম। মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম একটা স্কুল!! ওনারা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সমস্ত কিছু দেখালেন ।
বললেন এই যে স্যার দেখছেন আলমারিতে যেভাবে বই সাজানো সারা ভারতবর্ষের সমস্ত আমাদের স্কুলে ঠিক সেটাই ফলো করা হয়।ইন্ডিয়ান আর্মি এই লজিস্টিক মেনে চলে। এতে কোনো কিছু হারায় না।
স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ?
না, স্যার, যেহেতু গ্রামের মানুষদের সন্তানরা প্রথম যারা স্কুলে পা দিল ওরা নিজেরাই কোনো রাজনৈতিক দল কে ঢুকতে দেয় না। ওই দিক থেকে আমরা নিশ্চিন্ত।
আপনাদের ফান্ড?
Bharti Foundation CSR হিসেবে সারা ভারত জুড়ে এই স্কুল চালায়। স্বয়ং ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি নিজে উদ্যোগী হয়ে মুর্শিদাবাদে এই স্কুল এখানে করিয়েছেন ওদের দিয়ে। পরবর্তীকালে যখন রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন ওই স্কুলে আমরা আমন্ত্রিত ছিলাম।
সাগরদীঘি জুড়ে মারাত্মক সাপের উপদ্রব। বিষধর সাপ এদিক ওদিক হামেশাই ঘুরে বেড়ায়। যুক্তিবাদী সমিতি আর দয়াল দার সঙ্গে যোগাযোগ করে বই আনিয়ে সমস্ত ডিপার্টমেন্টে দেওয়া হয়েছিল মেডিক্যাল ইউনিটের তরফ থেকে।
সবটাই স্মৃতি.
ভালো থাকুক সাগরদীঘি…