An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

এক মানব-দরদী ডাক্তার আর কর্পোরেট হাসপাতালের বিল

প্রদীপ ভট্টাচার্য
Dr. Sumitran Basu

Dr. Sumitran Basu

Radiologist and Research in history & philosophy of science
My Other Posts
  • August 13, 2020
  • 8:07 am
  • 2 Comments

সারাজীবন মানুষের জন্যে ডাক্তারি করে আসা করোনা আক্রান্ত চিকিৎসককে মৃত্যুশয্যায় যখন ১৭ লক্ষ টাকা বিল ধার্য করে বাইপাস লাগোয়া কর্পোরেট হাসপাতাল!

প্রথমে একটু পিছনে ফিরে দেখা যাক। দুর্ভিক্ষের সময়ে মহামারীর সময়ে মড়কের সময়ে যেমন মানুষের দুর্দশা শতগুণে বাড়ে, মানুষের মৃত্যুমিছিল আরো লম্বা হয়, তেমন কিন্তু অসহায় মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসাও বাড়ে, প্রচুর লাভে কিছু মানুষের পকেট ভারীও হয়। ইংরেজ শাসনের শেষবেলায় ১৯৪৩ সালে বাংলায় একটি দুভিক্ষ হয়। তেতাল্লিশের সেই মন্বন্তরে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ লাখ মানুষ অনাহারে অসুখে মারা যায় এই বাংলায়। কেন হয় এই দুর্ভিক্ষে? অনেক গবেষক দেখাচ্ছেন যে এই মহামারী আসলে কৃত্রিম। অর্থাৎ ম্যান মেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমযে সমস্ত খাদ্যশস্য ব্রিটিশ সরকার মজুত করে রাখে তাদের সেনা বাহিনীর প্রয়োজনের জন্যে। আর সেই সুযোগ নেয় দেশীয় কালোবাজারি আর মহাজনেরা। যা অবশিষ্ট খাদ্যশস্য তারা একসাথে কিনে নিজেদের গুদামে ঢুকিয়ে নেয়, তারপর দুর্ভিক্ষের সময়ে না খেতে পাওয়া লোকজনদের সেগুলো বেশিদামে বিক্রি করে।

আজকে গল্প করবো এই করোনা মহামারীর সময়ে কয়েকটা নব্য কালোবাজারি আর একজন মানুষের ডাক্তারকে নিয়ে।

ডাক্তার প্রদীপকুমার ভট্টাচার্য। শ্যামনগরের মানুষের কাছে ছিলেন ‘প্রদীপ শিখা’। তিন পুরুষের বাস শ্যামনগরে। দাদু ছিলেন শ্যামনগরের প্রথম এমবিবিএস ডাঃ বিভূতিভূষন ভট্টাচার্য। তিনি নিজে ১৯৮৮ সালে ডাক্তারি পাশ করে বেরিয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে। আজ প্রায় ৩০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে তাঁর ডাক্তারি পেশায়। গোটা বিশ্বজুড়ে যখন এই করোনা ভাইরাস আক্রমণ শানিয়ে চলেছে, ঠিক সেই সময়ই শ্যামনগরের এই চিকিৎসক সব নিয়ম মেনেই সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিদিন দু’বেলা নিজের চেম্বার খুলে বসছেন এবং আগের মতোই চিকিৎসা করে গেছেন। এলাকার কিছু চিকিৎসক যখন করোনার কারণে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন, তখন রোগীর একেবারে কাছ থেকেই চিকিৎসা করেছেন তিনি। করোনায় কাজ হারানো বা গরিব মানুষের থেকে টাকাপয়সা নেননি। বিনামূল্যে ওষুধও দিয়েছেন।

চিকিৎসক হিসেবে শুধু শ্যামনগর নয়, আশপাশের ভাটপাড়া, জগদ্দল, গারুলিয়ার মানুষ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে একডাকে চেনেন। এলাকার গরিব মানুষের কাছে তিনি মসিহা। তাঁদের থেকে কোনও টাকা নেওয়া তো দূরের কথা, বিনামূল্যে ওষুধও দেন। শ্যামনগর ফিডার রোডের বটতলায় নিজের বাড়ির নীচেই তাঁর চেম্বার। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলেও তিনি অক্লান্ত। আবার করোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ৫১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও পাঠিয়েছেন।

কিন্তু শেষমেশ করোনায় ছুঁয়েছিল তাঁকেও। হাসপাতালে লড়ছিলেন প্রদীপ। গত ১৫ জুলাই তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পরেই তাঁকে কলকাতার মুকুন্দপুরে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বছর আটান্নর এই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। পরে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। কিন্তু ফের অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সবমিলিয়ে বিল হয়েছিল ১৭ লক্ষ টাকার বেশি। তবে শ্যামনগরের মানুষ তাঁদের প্রদীপের শিখাকে নিভতে দিতে ছিলেন নারাজ। টাকা জোগাড় নিয়ে পরিবারের যখন রাতের ঘুম ওড়ার অবস্থা, তখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তার এলাকার সব মানুষ। সেখানে সাধারণ চাকরিজীবী থেকে শুরু করে গরিব রিকশাওয়ালা- সকলে অর্থসাহায্য করছিলেন।

এখন জনস্বাস্থ্য বা সকলের জন্যে স্বাস্থ্য বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য – এইসব কথা আজকাল কেউ বিশেষ বলেনা। একমাত্র এমবিবিএসে ডাক্তারি ছাত্ররা কমিউনিটি মেডিসিন নামে একটা পেপারে তেতো বড়ি গেলার মতো সকলে ওই এক বছর একটু গিলে নেয়। সরকারি হাসপাতাল বা পাড়ার ডাক্তারবাবুদের নিজস্ব ছোট ক্লিনিক বা এলাকার ছোট হাসপাতাল আজকাল খুবই সেকেলে। অন্যদিকে বাইপাসের ধারে হোটেলের মতো ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট হাসপাতল একের পর এক গজিয়ে ওঠে। সেখানে যত টাকা ফেলবে তত ভালো চিকিৎসা। হাসপাতালে ঢুকলে প্রথমেই লাখখানেক টাকা জমা, তারপর টোপ ফেলা হবে বিভিন্ন প্যাকেজের – কর্পোরেট এক্সেকিউটিভদের জন্যে আলাদা প্যাকেজ আর বিলাসবহুল পাঁচতারা suite আর সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্যে আলাদা প্যাকেজ। আর গরিবদের তো একেবারে দরজা থেকেই বের করে দেওয়া হয়। অথচ এই সবকটা হাসপাতাল কিন্তু নামমাত্র মূল্যে সরকারি জমি পেয়েছিলো হাসপাতাল গোড়ার জন্যে, অনেক সরকারি পরিষেবায় ভর্তুকি পায়, সরকারি সুবিধে লাভের জন্যে এদের একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বেড রিসার্ভ করে রাখার কথা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের চিকিৎসার জন্যে, প্রতিটি ল্যাব পরীক্ষা বা ওষুধে বা যেকোনো পরিষেবার সর্বোচ্চ কত মূল্য ধার্য করতে পারে আর সর্বোচ্চ কতটা প্রফিট রাখতে পারে সেসব কিন্তু সরকারের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট একট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ রাখার কথা।

কিন্তু ওই যে বললাম আগেকার উঁচু সাদা গদিতে বসে পাশে ক্যাশ-বাক্স রাখা পান চিবুনো কালোবাজারিরা আজ আর নেই। আজকের এসব করার জন্যে অনেক কাঠখড় পড়াতে হয়। পড়তে হয় মার্কেটিং, সেলস ইত্যাদি আরো কত কি। ডিগ্রি নিতে হয় এমবিএ। আর একেই তো বলে উন্নয়ন বা development!

করোনাযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ডা প্রদীপ ভট্টাচার্য ১০ই আগস্ট, ২০২০।

PrevPreviousসামাজিক কুসংস্কার, আতঙ্ক ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে একজন কোরোনা-জয়ীর বক্তব্য
Nextফ্রেডরিক গ্রান্ট বান্টিঙঃ কর্ম ও জীবন- পর্ব ৮Next

2 Responses

  1. বিভাস সাহা says:
    August 13, 2020 at 11:13 am

    ডাক্তার বাবু,আমাদের কিচ্ছুটিকরার নেই,আপনারা লিখবেন আমরা পড়ব দুঃখপা, আর ব্যবস্হা ও সরকার কে গালি দেব,কি করনীয় এব্যাপারেও কেউ দিশা দেখাতে পারছেন না।

    Reply
  2. Partha Das says:
    August 13, 2020 at 3:35 pm

    এর থেকে মনে হয় মুক্তি নেই। আমাদের দেশের design টাই এইরকম।যত দিন যাবে এটা আরো শক্তপোক্ত হবে।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

করোনা এমন করো না

April 12, 2021 No Comments

করোনা এমন করো না এখন এ দেশে রাষ্ট্রের ভোট চলছে! করোনা এমন করো না বদ্যিরা ছাড়া তোমার কথা কে বলছে? করোনা এমন করো না সব

ধিক

April 12, 2021 No Comments

। ধিক!! আঠারোয় মেরে দিলে? ভোট বুঝি এমনই বালাই? যে ছেলেটা মরে গেলো আমারই রক্ত সে, পুত্র বা ভাই। বি জে পি করেই যদি, এ

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

April 12, 2021 No Comments

মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম

ভালো মন্দ

April 11, 2021 No Comments

দুই এক কুড়ি একুশ। এখন করোনাকাল- বাস ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। অথচ অফিস যেতেই হবে। আজও ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে কাকলি অপেক্ষা করছে। যদি কোনও রিজার্ভ অটো

বিষ

April 11, 2021 No Comments

আর্যতীর্থের কবিতা।

সাম্প্রতিক পোস্ট

করোনা এমন করো না

Smaran Mazumder April 12, 2021

ধিক

Arya Tirtha April 12, 2021

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

Dr. Aindril Bhowmik April 12, 2021

ভালো মন্দ

Dr. Dipankar Ghosh April 11, 2021

বিষ

Dr. Sumit Banerjee April 11, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

310843
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।