আর্যতীর্থের কবিতাঃ আইনানুগ
বুঝলে হে, যা কিছু হচ্ছে সবই আইন মোতাবেক,
কোত্থাও ফাঁক নেই কোনো। তোমাদের অভিযোগ শুনছি অনেক,
কিভাবে অমুক পচে মরে গেলো জেলে, তমুক নিমেষে ছাড়া পেয়ে গেলো বেলে,
আরে বাবা, দুটোই হয়েছে ও হচ্ছে আইনের পথে রীতিমতো,
রাষ্ট্র জানেনা কিচ্ছুটি। শুনবে না ফালতু ও বাজে কথা যত।
গোঁসা করো কেন বাবা স্রেফ সন্দেহবশে কেউ গ্রেপ্তার হলে?
টেঁটিয়া ঘেঁটিদের ওপরে ডেমোক্লিসের তরোয়াল যে ঝোলে,
নতুন খবর নয় তা তো। সহজ সমাধানও সকলেরই জ্ঞাত,
মূক হবে মুখ আর নত হবে চোখ, তুলো গুঁজে ঘুম যাবে কানও,
পেয়াদারা আড়ি বলে আসবে না বাড়ি, এটুকু নিয়ম যদি মানো।
আরে বাবা, যাদেরকে তুলে নিয়ে গেছে রাতের আঁধারে এসে পুলিশের ভ্যান,
তারা যে দুষ্টুলোক, মানতে কি হয়! কি করেছিলো তা নিয়ে কেন ঘ্যানঘ্যান?
আইনের পথ ছাড়া কিচ্ছু হয়না জেনো ডেমোক্রেসিতে,
তর্কের খাতিরে ধরা যাক, কাউকে শত্রু ভেবে চাও বাঁশ দিতে,
জাপটিয়ে ধরো তাকে আইনের জালে। একবার সে কুমীর এসে গেলে খালে,
কত যে গভীর জলে ঠ্যাঙ ধরে নিয়ে যাবে সে বেচারি পাবেই না টের,
তারিখ পে তারিখে হাততালি দেওয়া ছাড়া করনীয় আর কিছু নেই রাষ্ট্রের।
ফ্যাঁকড়া তুলো না যেন রাষ্ট্রই সেই সব আইনের হোতা,
পরীক্ষার হলে কে কবে আর দেখে, কার সাপ্লাই দেওয়া চোথা।
ল অফ দ্য ল্যান্ডে হ্যান্ড ল্যান্ডওনারের, কেউ যদি খোঁচা দাও সেই সত্যের,
তাহলে উপায় নেই, শর্ত ভেঙেছো তুমি, বন্ধ রাখোনি মুখ কান চোখকে,
এবারে তৈরি থাকো পেয়াদা আসবে কবে, ঝড় থেকে তোমার আর নেই রক্ষে।
সবটাই কিন্তু পুরো আইনকে মেনে চলে। আর কিছু বুঝিওনা যেন লোককে।