ভুল দুরকমভাবেই করা যেতে পারে। Act of commission বা act of omission.
মানে, সরাসরি ভুল কাজটা করলেন। বা সঠিক কাজটা করলেন না এবং ভুলটা ঘটতে দিলেন।
নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তা-ই। কারা ক্ষমতায় আসছে, সে নিয়ে আপনি ভাবিত হন বা না হন, ভালোমন্দের শিকার হবেন আপনিও।
চিকিৎসক হিসেবে আপনার ভালোমন্দের জায়গাটা মেডিকেল কাউন্সিল। ভুয়ো ডাক্তার চিহ্নিত করে, নিয়মকানুন মেনে চিকিৎসা হচ্ছে কিনা যাচাই করে পেশাটাকে যথাসম্ভব স্বচ্ছ (বর্তমান আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে যতখানি সম্ভব স্বচ্ছ) রাখতে পারার দায় কাউন্সিলের। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইত্যাদি খতিয়ে দেখার জায়গাও এটিই। অতএব, আপনার পেশার ভালোমন্দের সঙ্গে কাউন্সিল জড়িত।
এমতাবস্থায়, সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ একটি কাউন্সিল, সম্ভবত, সব চিকিৎসকই চান। যদি না তিনি মাছ ধরার সুবিধের জন্য ঘোলা জলই প্রেফার করেন।
কিন্তু দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক খবরদারি মুক্ত স্বচ্ছ কাউন্সিল তো শুধু চাইলেই হবে না, তার জন্য আপনাকেও উদ্যোগী হতে হবে। মানে, ভোটটুকু দিতে হবে। আজ যখন শুনতে পাই, মেডিকেল কলেজগুলোতে অনেক ব্যালট তোলা হয়নি, মানে স্রেফ ব্যালট তোলার আলস্যের জন্যই অনেকে তোলেননি – যখন শুনি, ব্যালট বাড়িতে এনেও অনেকে পোস্ট করে উঠতে পারেননি, মানে ওসব করে কী হবে জাতীয় অনীহায় কিছু করেননি – তখন খারাপই লাগে। প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এবং ভোট না দেওয়াটা আদতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে পদক্ষেপ, অনিবার্যভাবে। যেমন চলছিল, তেমনটাই কি আপনি চাইছেন? সিরিয়াসলি??
ব্যালট আপনার। চয়েস আপনার। শিরদাঁড়া আপনার।
ভোটটা দিন। যাকে খুশি দিন। (যদিও আমাদের, অর্থাৎ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের প্রার্থীদের দিলে অবশ্যই খুশি হবো।) কিন্তু ভোট অবশ্যই দিন। কেননা, ভোট না দেওয়াটাও এক অর্থে ভোট দেওয়া, বর্তমান অব্যবস্থার সপক্ষে সেই ভোট।
মনে রাখুন, Doctors get the Council they choose, either by act of commission or by act of omission.
কাউন্সিল অফিসে ব্যালট পৌঁছানোর সময়সীমা ১৮-ই অক্টোবর (অর্থাৎ সামনের মঙ্গলবার), বিকেল চারটে।
আর গড়িমসি করবেন না, প্লিজ।