Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

‘গণমিত্র’ প্রসঙ্গে (প্রথম পর্ব)

FB_IMG_1663686774720
Dr. Bishan Basu

Dr. Bishan Basu

Cancer specialist
My Other Posts
  • September 21, 2022
  • 9:14 am
  • No Comments

একখানা উপন্যাস পড়তে পড়তে কিছু কথা মনে হলো। সেই ভাবনাচিন্তা গদ্যপদ্যপ্রবন্ধ-র বর্তমান খণ্ডে বইয়ের সমালোচনা হিসেবে প্রকাশিত হলেও এটা ঠিক গ্রন্থ-সমালোচনা নয়। বরং বইটা পড়তে পড়তে নিজের ভাবনাচিন্তা।

বইটির নাম, গণমিত্র। লেখক, স্বপ্নময় চক্রবর্তী। প্রকাশক, মিত্র-ঘোষ।

অসামান্য বই। অবশ্যই পড়ুন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী তো বটেই, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা বিষয়ে যাঁরা কিছুমাত্র বিচলিত – অর্থাৎ কিনা সমাজের সকলেই – সবারই এই বই পড়া উচিত।

গদ্যপদ্যপ্রবন্ধ-র সম্পাদক অংশুমান কর আমার সেই কৈশোরাবধি বন্ধু। সে লিখতে অনুরোধ করে শব্দসংখ্যা বেঁধে দেয়নি। ব্যাস, অমনি আমার লেখাখানা মস্ত লম্বা হয়ে গিয়েছে। বন্ধুত্বের চাপে অংশুমান লেখাখানা ছাঁটতেও পারেনি। পুরোটা ছেপেছে।

কিন্তু ফেসবুক-বন্ধুরা তো অতখানি ইয়ে নন। তাঁরা লম্বা লেখা দেখলেই তড়িঘড়ি লম্বা দেন। অতএব, লেখাটা তিন ভাগে পোস্ট করছি। আজ প্রথম পর্ব।

অধুনাবাতিল মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে এমসিআই, ডাক্তারদের জন্য অবশ্যমান্য ‘কোড অফ এথিক্স’ লিখতে গিয়ে শুরুতেই বলেছিলেন-

A physician shall uphold the dignity and honour of his profession.

আইন-আদালতের বাইরে একটি নীতিবোধের বেড়া থাকা আবশ্যক, যাতে কথায় কথায় ব্যাপারগুলো জেল-জরিমানা অব্দি পৌঁছে না যায়। কিন্তু মেডিকেল কাউন্সিলের ‘কোড অফ এথিক্স’-এর মান্যতা সেই সাধারণত প্রত্যাশিত নীতিবোধের চাইতে খানিক বেশি, কেননা এই ‘কোড’ থেকে বিচ্যুত হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ – অর্থাৎ এই ‘কোড’ প্রায় আইনের তুল্য। সেক্ষেত্রে আশা করা যায়, আমজনতার কাছে না হোক, অন্তত চিকিৎসক – অর্থাৎ যাঁদের এই নির্দেশিকা মেনে চলার দায় রয়েছে এবং না মানলে ব্যাপক হয়রানির আইনি সম্ভাবনাও রয়েছে – সেই চিকিৎসকদের কাছে বার্তাগুলো স্পষ্ট। কিন্তু সত্যিই স্পষ্ট কি?

যেকোনও পেশার মতোই চিকিৎসাবিদ্যাও একটি পেশা। বাজারচলতি আর পাঁচটা পেশার তুলনায় চিকিৎসাবিদ্যার কিছু ইউনিকনেস রয়েছে, এমনটা মেনে নেওয়ার পরও পেশা হিসেবে তার আলাদা করে dignity বা honour জিনিসটা কী, তা আমার ঠিক জানা নেই। বা বলা ভালো, সে নিয়ে ভাসাভাসা কিছু ধারণা থাকলেও ছবিটা আমার কাছে ততটাও স্পষ্ট নয়, যতখানি স্পষ্ট হলে ঠিক কখন সেই ছবিটির সঙ্গে খাপে খাপ না মিললে ব্যাপারটা শাস্তিযোগ্য হয়ে যায়, তা বুঝতে পারা যায়। অথচ কী গেরো দেখুন, সরকারবাহাদুরের তৈরি মেডিকেল কাউন্সিল চিকিৎসকের দায়দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আমার বা আমাহেন অভাজনদের মনের ধন্দ দূর করা তো দূর, ভাসিয়ে দেওয়া উচ্চমার্গের বাণীর চাইতে সুনির্দিষ্ট কিছু কথা বলতে পারলেন না!!

এমতাবস্থায় – টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আড়াইশো রান তাড়া করতে হওয়া দলের মতো – এসব মেনে চলা একেবারেই অসম্ভব, এমন বিবেচনায় এথিক্স-বিষয়ক যাবতীয় নির্দেশিকাকে যদি অগ্রাহ্য করার প্রবণতা বড় অংশের চিকিৎসকদের মধ্যে দেখা যায়, তাহলে দোষ দেব কাকে!

কোড অফ এথিক্স থেকে আরও খানিকটা –

The prime object of the medical profession is to render service to humanity; reward or financial gain is a subordinate consideration.

আহ্, এর সঙ্গে গীতার সেই ‘কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন’-র দূরত্ব কতখানিই বা! তাহলে কি এটাই বিশ্বাস করব যে চিকিৎসাবিদ্যা কি আদপে কোনও পেশা নয়?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমসিআই বাতিল হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন এসেছে। বয়ানের ভাষা খানিক কম ভাসাভাসা আপাতত। তারপরও –

(Doctors) Should practice according to his conscience and ethical guidelines.

খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা নিঃসন্দেহে। চমকপ্রদও। গাইডলাইনের অন্যতম উপাদান হিসেবে গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ। অর্থাৎ, নিয়মটা কী? নিয়ম মেনে চলা উচিত, বিবেকের বাণী মেনে চলা উচিত, এটাই নিয়ম।

তবে কি চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রত্যাশিত যা কিছু, তা এমনই উচ্চমার্গীয় ও বায়বীয়, যাকে ভাষায় ব্যক্ত করে ওঠা যায় না?

মনে করিয়ে দেওয়া যাক, এইসব উচ্চমার্গের কথা যখন বলা হচ্ছে, তখন চিকিৎসা-পরিষেবা বিষয়টি ক্রেতা সুরক্ষা আইনে বিচার্য – অর্থাৎ সরকারবাহাদুর রীতিমতো দাগিয়ে দিয়েছেন, চিকিৎসক ও রোগী-পরিজনের সম্পর্কটি বিক্রেতা ও ক্রেতার। এবং কথাগুলো এমন সময়ে বলা হচ্ছে, যখন বড় অঙ্কের উপার্জন ব্যাপারটিকে সমাজে বিশেষভাবে সম্মানজনক বলে মেনে নেওয়া হয় – যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠের শেষে সর্বোচ্চ মাইনের চাকরি বাগালেন যিনি, তাঁর শিক্ষাগত কৃতিত্বের চাইতে ভবিষ্যৎ মোটা অঙ্কের অর্থোপার্জনের সম্ভাবনা নিয়ে মিডিয়াতে ধন্য ধন্য করে খবর হচ্ছে। উপরন্তু এ এক এমন দেশে বসে বলা, যেখানে নীতিভ্রষ্ট হওয়ার জন্য শাস্তি তো দূর, জনমানসে সামান্য বীতশ্রদ্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায় না।

কথাগুলো শুনতে যতই তিক্ত লাগুক, ‘কোড অফ এথিক্স’ থেকে উদ্ধৃত বাক্যগুলো এই প্রেক্ষিত মাথায় রেখে আরেকবার পড়ুন। ধরুন, পাড়ার দোকানদারকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে – ভাই, আপনি কিন্তু আপনার পেশার ঐতিহ্য ও সম্মান মাথায় রেখে কাজ করবেন। উদাহরণটা হাস্যকর শোনালে আরেকটু বড়লোকি উদাহরণ নিন। ধরুন পাড়ার প্রোমোটারকে বললেন, নাহ্, আরেকটু বড় উদাহরণ দিই – ধরুন নেওটিয়াজিকে বললেন – আপনার পেশার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে কাজ করুন, আপনি কিন্তু ফ্ল্যাট বানাচ্ছেন জনকল্যাণের স্বার্থে, টাকাপয়সা পেলেন কি পেলেন না, সেটা সেকেন্ডারি ব্যাপার।

উদাহরণ বাড়িয়ে লাভ নেই। কিন্তু সব তিক্ত কথার পরেও, এবং কথাগুলোর যাথার্থ্য অস্বীকার না করলেও, মোদ্দা কথাটা হলো, শুধু আইনের নিগড়ে বেঁধে চিকিৎসা হয় না। হাজার আইন নিয়মকানুন নির্দেশিকার শেষে সবাইকেই, সে রোগী-পরিজনই বলুন বা প্রশাসন, সবাইকেই চিকিৎসকদের নিজস্ব বিচারবোধ বিবেচনা নীতিবোধ – যাকে বিবেক বলা যেতে পারে – তার উপর ভরসা করতে হয়। অর্থাৎ বর্তমান আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ও চিকিৎসা পরিকাঠামোর বাস্তব পরিস্থিতি অস্বীকার না করেও, সেই বাস্তবতার মধ্যে কাজ করতে থাকা, বা কাজ করতে বাধ্য হওয়া একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে ঠিক কী কী নীতিবোধের আশা রাখা উচিত – ঠিক কীরকম প্রত্যাশা থাকা উচিত – সেটা পুরোপুরি স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করা না গেলেও এটুকু স্পষ্ট যে, চিকিৎসকদের তরফে নীতিবোধ প্রত্যাশিত। আর সত্যি বলতে কি, সমস্যার শুরু এই দ্বন্দ্বের জায়গা থেকেই।

যদিও অনেক মানুষ মিলেই সমাজ তৈরি হয়, তবু সমাজ বা সমাজব্যবস্থাকে অনেক মানুষের যোগফল ভাবার চাইতেই প্রতিটি ব্যক্তিমানুষ ও তার ভাবনাচিন্তাকে সমাজব্যবস্থার ফসল ভাবাটাই অধিকতর উপযুক্ত। একটি সমাজব্যবস্থার ফসল কিছু মানুষ, এবং সেই সমাজব্যবস্থার ভালোমন্দ বিষয়ে সম্যক ওয়াকিবহাল কিছু মানুষ – আচমকা একটি বিশেষ পেশায় আসতে পারার কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যতিক্রম হয়ে উঠবেন, এমন আশা বাতুলতা মাত্র। কথাটা আরও বেশি করে মনে রাখা জরুরি তখন, যখন কিনা চিকিৎসা ব্যাপারটা উত্তরোত্তর বাণিজ্যমুখী হয়ে উঠছে – সরকার সেই মুনাফাকেন্দ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থাকে মান্যতা দিয়ে চলেছেন এবং তদনুসারী চিকিৎসাব্যবস্থাকে মোক্ষ হিসেবে ধার্য করেছেন – এবং আগেই বললাম, চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাপারটি যে নিছকই এক বাণিজ্যিক সম্পর্ক, তার বেশি কিছু নয়, এমন ধারণায় রীতিমতো আইনি সিলমোহর দিয়েছেন। এবং তারপরও চিকিৎসক তাঁর নিজের কাজকে পেশা নয়, মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে নিয়োজিত সামাজিক কর্তব্য হিসেবে দেখবেন, যেখানে অর্থোপার্জন নিতান্ত নগণ্য উপজাতক – এমন দায়দায়িত্বের কথা সরকারবাহাদুর নিরন্তর স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছেন, বা দিতে চাওয়ার ভান করছেন।

এমন অদ্ভুত গোলমেলে ও পরস্পরবিরোধী বার্তার প্রেক্ষিতে আমরা পড়ে দেখতে চাইছি একখানা বই। না, কোনও জটিল দুরূহ তত্ত্বের বই নয় – একখানা যারপরনাই উপাদেয় উপন্যাস। নাম, গণমিত্র। লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।

সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় দেখেছিলাম, কেমন করে জনকল্যাণের কথা ভাবতে গিয়ে ডাক্তার জনগণের শত্রু বা গণশত্রু প্রমাণিত হন। দশচক্রে ভগবানও ভূত প্রমাণিত হন, সে তো জানা-ই কথা। (ইবসেনের যে নাটকের ছায়ায় সত্যজিতের ছবি, সেই নাটককে শম্ভু মিত্র মঞ্চে এনেছিলেন – হ্যাঁ, দশচক্র নামে।) স্বপ্নময় চক্রবর্তী নিজের উপন্যাসের নাম গণমিত্র রেখেছেন – গণশত্রুর বিপরীতে গিয়ে। কাজেই, নামকরণ থেকেই চিকিৎসকের দায়দায়িত্ব বিষয়ে লেখকের প্রত্যাশা ও পেশাটির প্রতি লেখকের গভীর শ্রদ্ধার আভাস মেলে। এই শ্রদ্ধার কথাটা বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য, কেননা সংবাদমাধ্যমের কথা ছেড়েই দিন, জনপ্রিয় শিল্প-সাহিত্যে একজন পেশাজীবি হিসেবে চিকিৎসক কীভাবে উপস্থাপিত হবেন, তার একটা মূলগত বদল এসেছে বিগত বছরগুলোতে।

বলিউডি সিনেমার উদাহরণই নেওয়া যাক, কেননা ভারতে সবচাইতে জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম, সম্ভবত, সেটিই। আমজনতার মধ্যে – সাধারণ মানুষের মনে ‘ইমেজ’ নির্মাণের ক্ষেত্রে – বলিউডের প্রভাব অনস্বীকার্য। আবার বাজারচলতি ভাবনাচিন্তাকে পর্দায় তুলে এনে একধরনের ভ্যালিডিটি দেওয়ার ক্ষেত্রেও বলিউড যথেষ্ট সফল। ‘অগ্নীশ্বর’-এর ঢের আগেই বলিউডের ‘ডক্টর’ ছবিতে পঙ্কজ মল্লিক আদর্শবাদী ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এমন ডাক্তার,যিনি কিনা ঐহিক সুখ তুচ্ছ করে মানুষের সেবা করার মধ্যেই জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পান। ‘অনুরাধা’ ছবিতেও ডাক্তার আদর্শবান। ‘দিল আপনা অর প্রীত পরায়ি’ ছবিতে ডাক্তার ও চিকিৎসা-পেশা এমনই উচ্চ-অবস্থানে স্থিত যে, ব্যক্তিজীবনে ডাক্তার অন্যায় করলেও পরিচালক তথা দর্শকের চোখে তিনি হিরো-ই থাকেন। এসব অনেক অনেএএক পুরোনো দিনের গল্প। ডাক্তার ও তাঁর পেশার মহত্ব পর্দায় উঠে এসেছে, এমন উদাহরণ বাড়িয়ে চলা নিষ্প্রয়োজন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিমানুষটির পতন – লোভ, বিশেষত আরও বেশি উপার্জনের লোভ – তাও সিনেমায় আসতে শুরু করেছে। সত্তরের দশকে ‘আনন্দ’ ছবিতে ডাক্তার একেবারে পপুলার ইমেজ অনুযায়ী সাজানো – কিন্তু একই বছরে রিলিজ-হওয়া ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবির ডাক্তারের চরিত্র কি কম বাস্তবসম্মত? অন্তত আজকের চোখে দেখলে? একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পাশাপাশি দুরকম ডাক্তারই ছিলেন – আমাদের শুধু বেছে নেওয়ার অপেক্ষা। ঠিক তার পরের দশকেই, ‘বেমিশাল’ ছবিতে তো দুই ভিন্ন প্রকৃতির ডাক্তার একই ছবিতে। অর্থাৎ সত্তরের দশক থেকেই ডাক্তারকে কীভাবে দেখা যেতে পারে, সে নিয়ে পপুলার জ্যঁর সিনেমা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল। দু’হাজার সালের পর সেই ইমেজ প্রায় একমুখী। নিম্নগামী। ‘সিলসিলা’ ছবিতে যে ডাক্তার সদাব্যস্ত – এতই ব্যস্ত যে স্ত্রীর প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন না – এতই ভদ্র যে স্ত্রীর পরকীয়াতে ঠিক করে রাগতেও পারেন না – সেখান থেকে নামতে নামতে ‘কবীর খান’ ছবির ডাক্তার এমন উগ্রচণ্ডা ও অসংযত, যাঁকে সত্যিসত্যিই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। আধুনিক চিকিৎসা ক্রমশ নিজস্ব মানবিকতার জায়গা হারিয়ে ফেলছে, এই বিষয় নিয়ে তৈরি হলেও ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবিতে মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রায় ভাঁড়ের ভূমিকায়। ‘গব্বর ইজ ব্যাক’-এ ডাক্তার মরা মানুষকে ভেন্টিলেটরে রেখে পয়সা লোটেন, ‘অঙ্কুর অরোরা মার্ডার কেস’-এ ডাক্তার নিজেদের গাফিলতি ধামাচাপা দিতে তৎপর, ‘অন্ধাধুন’ ছবিতে আপাত-ভদ্র ডাক্তার কিডনি পাচার চক্রের পাণ্ডা। অর্থাৎ সিনেমার ডাক্তারবাবু ইদানীং বেশ গোলমেলে মানুষ। অসাধু।

এমন পরিস্থিতিতেও লেখক নিজের উপন্যাসের নাম গণমিত্র রেখেছেন – পেশাজীবি হিসেবে চিকিৎসককে জনসাধারণের বন্ধু বলে মনে করেছেন – সে কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বই কি! তবে উপন্যাসটি পড়লেই বোঝা যাবে, যাবতীয় চিকিৎসককুল যে গণমিত্র নন, সে নিয়ে লেখকের মনে সংশয় নেই। গণমিত্র বলতে ঠিক কেমন চিকিৎসক, সে কথা বইটা পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(পরের পর্বে)

PrevPreviousমাগুর
Nextবার্ধক্যে মানসিক যত্ন-১Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

হো চাচা লাল সেলাম।

May 21, 2025 No Comments

১৯ মে ২০২৫ হোচিমিন এর সাথে আমাদের দেশের বৌদ্ধিক সম্পর্ক বহুদিনের। উনি নানান প্রবন্ধ লেখেন ভারত নিয়ে যেমন ব্রিটিশ উপনিবেশিক নীতি (১৯২৩), লেটার ফ্রম ইন্ডিয়া

রূপকথার রাক্ষসী

May 21, 2025 No Comments

তোকে আমরা কী দিইনি? সততার মাদল হয়ে বাজবি বলে তোকে দিয়েছি এই শহরের মোড়ে মোড়ে অজস্র ফ্লেক্স। যথেচ্ছারের সুখে মিছে কথার ফোয়ারা ছোটাবি বলে তোকে

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে পারছেন না কেন?

May 21, 2025 No Comments

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক আজও সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে না পারায় রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম সংকটে পড়েছে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসক সংকট দিনে দিনে

দম্ভ, স্পর্ধা না ঔদ্ধত্য?!

May 20, 2025 No Comments

‘অগ্নীশ্বর’ সিনেমা দেখেন নি, এ রকম মানুষ আমাদের প্রজন্মে খুব কম থাকার কথা, অবশ‍্য বর্তমান প্রজন্মের কথা আলাদা। কাহিনীকার মেডিকেল কলেজের প্রাক্তনী বলাইচাঁদ মুখোপাধ‍্যায়, পরিচালক

উনিশ এগারো

May 20, 2025 No Comments

বাংলাকে যারা ভালোবাসো তারা উনিশকে ভুলো না এত সরকার গেলো এলো কেউ দিনটাকে ছুঁলো না। অমর একুশে ফেব্রুয়ারী যেই বাঙালী রক্তে লাল, মে’ মাস উনিশ

সাম্প্রতিক পোস্ট

হো চাচা লাল সেলাম।

Dr. Samudra Sengupta May 21, 2025

রূপকথার রাক্ষসী

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 21, 2025

স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ৮৭১ জন যোগ্য চিকিৎসক সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দিতে পারছেন না কেন?

Medical College Kolkata Students May 21, 2025

দম্ভ, স্পর্ধা না ঔদ্ধত্য?!

Dr. Amit Pan May 20, 2025

উনিশ এগারো

Arya Tirtha May 20, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

555261
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]