বাজারে গিয়ে আজ বেশ অবাক হলুম। সবজি বাজারে অনেকের কাছ থেকেই কেনা কাটা করি। একটু দেরি করে যাই। ভাঙা বাজারে সামান্য সস্তায় মেলে। বেশি কেনার ক্ষমতা তো নেই।
ওর মধ্যে যার কাছ থেকে বেশি কিনি সেই মিত্যুন, ভালো নাম মৃত্যুঞ্জয় মেজাজটা গরম করে দিল। বেশি তেমন কিছুই কিনিনি। চট করে চলে আসব এই রকমের প্ল্যান। সামান্য ধনেপাতা কিনেছি। পয়সা দেওয়া হয়ে গেছে। ব্যাটা মালটা কোথায় প্যাক করে দিয়ে দেবে তা না, খামোখা দাঁড় করিয়ে রাখল। তাড়া দিতে বেজায় খচমচ্ করে বলল, ‘রাগিও না তো বাপু! প্রেসের লোক আসুক, তবে পাবে।’
শুনে আমি অবাক। বলে কী? প্রেসের মানে খবরের কাগজের লোক এলে ধনেপাতা পাব?’
জিজ্ঞেস করতে আরও ঝাঁঝিয়ে বলল, ‘না রে বাপু, খবরের কাগজ না। পঞ্চানন মার্কেটের ছাপাখানা শ্রীকৃষ্ণ প্রেস। কবে অর্ডার দিইচি। ছাপা ইয়েটা আজও দে গেল না।’
বলি, ‘ও দাদা, কী ইয়েমিয়ে ছাপবে আর তার সঙ্গে আমার কীই বা সম্পক্কো?’
খুলে বলল তখন, ‘আরে ক্যাশমেমো গো। উটি না দিয়ে মাল দেওয়া যাবে না।’
‘সে কী?’ প্রবল চমকে শুধোই, ‘ধনেপাতারও ক্যাশমেমো?’
‘হ্যাঁ গো, বহুদিন ধরেই চলছে তো! আমার তো কম টাকার বিক্রিবাটা। পাশের মাছ বাজারের মাগুর মণ্ডল তো পয়সার হিসেব সামলাতে সিএ অবধি রেকেচে খচ্চা করে। শোনোনি?’
‘সিএ?’
‘সিএ বোজো না? চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। সেই সিএ-রও বাড়ি ওবদি নাকি সার্চ হচ্চে আজ, জিয়োনো মাগুরের খোঁজে। সব মাগুরের নাকি ক্যাশমেমো দেয়নিকো! না বাপু, ক্যাশমেমো না লিকে ধনে পাতা দিতে পারবনি! আইনে আটকাবে।’