আমাদের রাজ্যে মোট ২২৬৩টি হাসপাতাল রয়েছে যার মধ্যে ১,৫৬৬টি সরকারী এবং ৬৯৭টি বেসরকারী।
এই সব হাসপাতাল মিলিয়ে ১,১৩,৫৩৫ টি শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭৮,৫৬৬টি শয্যা সরকারী হাসপাতালে এবং ৩৪,৯৬৯টি শয্যা বেসরকারী আওতাভুক্ত।
এর মধ্যে ১০,৬৫৮টি শয্যা সরকারী হাসপাতালে এবং এএমআরআই, সঞ্জীবন এবং কেপিসির মতো অধিগৃহীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
১০,৬৫৮ এর মধ্যে ৪৮৭৯টি শয্যা বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে রয়েছে যা সরকার কোভিড চিকিৎসার জন্য অধিগ্রহণ করেছে।
এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত (৯ জুলাই ২০২০, রাত সাড়ে দশটা) এই সরকারী এবং অধিগৃহীত বেসরকারী শয্যাগুলির মাত্র ২৭.৪০% (২৯২১/১০৬৫৮)তে রোগী ভর্তি রয়েছে!
অর্থাৎ সরকারী শয্যার ৭২.৬০% (৭৭৩৭) এখনো খালি আছে।
অন্যদিকে সম্পূর্ণ বেসরকারী হাসপাতালগুলির ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো!
কোভিডের জন্য চিহ্নিত মোট ১৩৬৮ শয্যার মধ্যে ১১৭৭ টি (৮৬.০৩%) ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গেছে!
সেগুলিতে পড়ে আছে মাত্র ১৯১ টি শয্যা! যা মোট বেসরকারী শয্যার মাত্র ১৩.৯৭ শতাংশ!
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার একটি সার্ভে তে উঠে আসছে চমকে যাবার মত কিছু তথ্য!
শহরবাসী কোভিড রোগীদের মাত্র ১৫% থাকেন বস্তিতে!
হাইরাইজ বা বিল্ডিং কমপ্লেক্সের উচবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি থেকে আসছেন মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশ!
২৪ জুন, যে ১২৮ জন কলকাতাবাসীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার মধ্যে বস্তিতে থাকেন মাত্র ১৪ জন!
বেলগাছিয়া, লকগেট, উল্টাডাঙ্গা ও ধাপা বস্তিতে অবস্থা এখনো খুব চিন্তাজনক নয়!
মে মাসের ৬ তারিখ থেকে ২৭শে জুনের মধ্যে কেএমসি কলকাতার বস্তি অঞ্চলগুলি থেকে ১৪০০৮ টি random লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে এর মধ্যে ২৬৭ পজিটিভ আসে, যা মোট নমুনার মাত্র ১.৯ %।
ওই সময়ে সারা রাজ্যে রাজ্যের গড় হিসেব ছিল সংগ্রহিত নমুনার ৩.৬ শতাংশ, এই মুহুর্তে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪ শতাংশ!
তথ্য-সূত্র:
1. https://cddep.org/wp-content/uploads/2020/04/State-wise-estimates-of-current-beds-and-ventilators_20Apr2020.pdf
2. https://www.wbhealth.gov.in/uploaded_files/corona/Vacant_bed_status_as_on_09.07_.2020_.pdf
3. https://www.wbhealth.gov.in/uploaded_files/corona/Vacancy_in_Pvt._Facilities_other_than_requisitioned_COVID_Hospital,_as_on_09_.07_.20_.pdf
4. https://www.google.com/amp/s/m.timesofindia.com/city/kolkata/slums-account-for-15-of-cases-in-kol-kmc-report/amp_articleshow/76699901.cms