গ্রীষ্ম-বর্ষাকাল এলেই কিছু চামড়ার রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো দাদ্।
দাদ্ সাধারণত ‘Ring-Worm’ নামে আমাদের কাছে বেশি পরিচিত। যদিও কোনো ‘worm’ বা কৃমি-র সংক্রমণের ফলে এই রোগ হয় না, তাই ‘Ring-worm’ নামটা ঠিক উপযুক্ত নাম নয়। অন্য নাম Dermatophytosis এক্ষেত্রে উপযুক্ত, কেননা dermatophyte জাতীয় ছত্রাক সংক্রমণের ফলেই দাদ্ হয়।
সারা শরীরের চামড়াতেই দাদ্ হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন জায়গার দাদের রকম রকম নাম রয়েছে। যেমন মাথায় হলে টিনিয়া ক্যাপিটিস্, ধড় বা হাতে-পায়ে হলে টিনিয়া কর্পোরিস্, কুঁচকিতে হলে টিনিয়া ক্রুরিস্, নখে হলে টিনিয়া আঙ্গুয়াম্ বলা হয়।
প্রথমটায় আক্রান্ত স্থানের চামড়ায় ছোট্ট জায়গা জুড়ে উঁচু হয়ে লাল হয় এবং সামান্য চুলকায়। পরে উঁচু জায়গাটা বাদামী বর্ণের হয়, গোল হয়ে বৃত্তাকারে বাড়ে, সাথে সাথে চুলকানিও বাড়ে। বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আক্রান্ত স্থানটি রিং এর মতো দেখায়, গোল অংশের চারপাশটা বেশি স্পষ্ট, লাল ও উঁচু হয়ে থাকে। মাথায় সংক্রমণ হলে চুল পড়ে যেতে পারে। নখে হলে নখের রঙ্ পাল্টে যায়, ভঙ্গুর হয়ে যায়।
এই সংক্রমণের কারণ হিসেবে আদ্রতা একটি বড় ফ্যাক্টর। গরমে ঘামে ভেজা শরীর দীর্ঘ সময় ধরে শুকোতে না পারলে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে। অনেকে আছেন যাদের সারাদিনে ১০ ঘন্টার বেশি প্যান্ট-শার্ট-জাঙ্গিয়া-জুতোমোজা পরে কাজ করতে হয়। তাই এক্ষেত্রে পোশাকের ধরনটাও গুরুত্বপূর্ণ। সুতির পোশাক ও ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করলে সমস্যা অনেকটা কমবে। অন্তর্বাসের ব্যবহার যত কম করা যায় ততই ভালো। আর তার সঙ্গে দরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক। নিয়মিত জামাকাপড়, অন্তর্বাস ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি। রোগটি ছোঁয়াচে তাই চিরুনি, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদির মাধ্যমে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই রোগে সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিফাংগাল মলম বা মুখে খাবার ওষুধ ব্যবহার করলে তবেই ফল পাওয়া যাবে। নিজের ইচ্ছেমতো যতদিন খুশি নয়, নির্দিষ্ট সময় ধরে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। এখন প্রতিরোধী ছত্রাকের সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ অ্যান্টিফাংগাল মলমে কাজ দেয় না। তাই এ জাতীয় চামড়ার রোগ হয়েছে মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাজারে অনেক পাঁচমিশালি মলম পাওয়া যায়, তাতে স্টেরয়েড থাকতে পারে। নিশ্চিত না হয়ে এসব পাঁচমিশালি মলম ব্যবহার করলে সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
আমি দাদের চিকিৎসায় Amorolfine cream 0.25 % এবং Fluconazole 200 mg, Ceterizine দিয়ে ভালো ফল পাচ্ছি। এই চিকিৎসা ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। ধন্যবাদ স্যার।
সাধারণ, শমজীবি মানুষের এই রোগ বেশি হয়। তাদের জন্য একটি নিরাপদ ওষুধের নাম বললে ভালো হয়। কারন ডাক্তার বাবুর ফি 300টাকা, সরকারি হাসপাতাল অনেক দূরে হলে অবস্থা কাহিল। লেখা টা ভালো লাগলো।
What is that I have something like that for almost 20 years now