World Down Syndrome Day নিয়ে লিখতে বসে প্রথমই মনে পড়ে তারিখটার কথা। একুশ নম্বর পজিশনে এক জোড়ার বদলে তিন পিস ক্রোমোজোম থাকলে তাকে বলা হয় Trisomy 21 বা ডাউন সিনড্রোম। জন্মগত এই রোগটির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। তার চেয়েও বেশি লোকে হয়তো শোনেন নি।
আজ নীল-হলুদের দিন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে এটাই হলো ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জনসচেতনতা প্রসারের প্রতীক। যেমন গোলাপি রিবন দেখলে ব্রেস্ট ক্যানসার এর কথা মনে পড়ে।
আজ ওরা কি কি পারে না সেটা আলোচনা করার দিন নয়। আমিও তো অনেক কিছু পারি না। আজ ওদের দিন। ওরা কি কি পারে সেগুলো জানার চেষ্টা করুন। ওদের কথা বলুন। ওরা খেলতে পারে, গাইতে পারে, হাসতে পারে, হাসাতে পারে। ওদের ভালোবাসুন, দেখবেন ওরাও আপনাকে ভালোবাসছে। আসলে ওরা অনেক কিছু পারে। সকলের নজরে আসুক ওরা। শুধু আজ কেন? সারা বছর।
আজ #LotsOfSocks campaign এর দিন। পারলে পরে আজ রং বেরংয়ের মোজা পরুন। দু’ পায়ে আলাদা আলাদা রঙের মোজা পরুন। রং মিলান্তি ছকের বাইরে বেরিয়ে যারা একটুখানি অন্যরকম তাদের আপন করে নিন।
একটা সহজ কাজ দি’ আপনাদের। নিজের কয়েক জোড়া মোজাকে পিঠোপিঠি রেখে দিন, দেখবেন ক্রোমোজোমের মতোই দেখতে লাগছে।
“#InclusionMeans..” অন্তর্ভুক্তি, United Nations এর এবছরের থীম। গত বছরের থীম ছিল Connect. 2020 তে ছিল “We decide”. শিক্ষায় “Inclusion” মানে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা নয়। মূলস্রোতেই ওদের অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্ভব। স্বাস্হ্য ক্ষেত্রেও তাই। আর পাঁচ জনের যদি সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার থাকে, চিকিৎসার অধিকার থাকে তাহলে ওদেরও আছে। অফিস কাছারিতেও ওদের পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হোক। শারীরিক কিছু পার্থক্য আছে বলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ওরা বাদ পড়বে কেন? ওদের সঙ্গে নিয়ে চলুন। সমাজের মূল ধারায় ওদের মেলাতে পারলে তবেই #InclusionMeans স্লোগান সফল হবে।
এবার একটা গল্প বলি। Jon তখন মায়ের পেটে, আলট্রাসাউন্ড মেশিনের পর্দায়। ডাউন সিন্ড্রোম আছে জেনে ওর বাবা নিজের স্ত্রী ও আগত সন্তানকে ছেড়ে চলে যায়। জন্মের পর জন্ আর পাঁচটা বাচ্চার মতো প্রজাপতি তাড়া করে বেড়াতো, ঘাসে গড়াগড়ি খেতো, অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ মারা গেলে তাকে মাটিতে কবর দিতো, আবার মজা করে মায়ের গায়ে জল ছুঁড়ে দিত। স্কুলে দুষ্ট বন্ধুরা যখন জন্ এর দিকে রাবার ব্যান্ড ছুঁড়ছে, Miranda নামে একটি মেয়ে বন্ধুত্ব্রের হাত বাড়িয়ে দেয়। সবুজ একটা রাবার ব্যান্ড কুড়িয়ে জন্ একটি Wrist Band বানায় এবং বান্ধবীর হাতে পরিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে জন্ কলেজের গন্ডি পেরোয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মান পেয়েই দুহাত দিয়ে তার কালো গাউন মেলে ধরে। জামার বুকে তখন লেখা “I am Down”. গোটা হল ফেটে পড়লো প্রবল করতালিতে। শুধু একজন তখনো হাত গুটিয়ে। জনের বাবা। কোনো কিছু না বলে শুধু একটা Drink napkin ধরিয়ে দিয়ে গেলেন জনের মা কে। তাতে লেখা “You were right, he is perfect”. এগিয়ে চলে জীবন। মিরান্ডা তখনো সেই সবুজ Wristband খোলেনি। কিছুদিন পর জন্ সেটা পাকিয়ে একটি আংটি বানায় ও তাকে পরিয়ে দেয়।
গল্পটা আমার বানানো নয়। একটি পুরস্কার জয়ী ছোট্ট অ্যানিমেশন। সময় করে জাস্ট সাড়ে পাঁচ মিনিট খরচ করুন। Freebird টা দেখে ফেলুন। লিঙ্ক দিলাম। https://www.google.co.in/search?q=freebird+movie+2021+youtube+full+movie&client=safari&channel=iphone_bm&sxsrf=APq-WBv-M33n9oUPGGhxpcH2TRE170xBTA%3A1647708982242&ei=Ngs2YsWwDq7A3LUPyJKCgA8&oq=freebird+movie+2021+YouTube+&gs_lcp=ChNtb2JpbGUtZ3dzLXdpei1zZXJwEAEYADIFCCEQoAEyBQghEKABMgUIIRCgATIFCCEQoAEyBQghEKABMggIIRAWEB0QHjoHCCMQsAMQJzoHCAAQRxCwAzoGCAAQFhAeOgcIIRAKEKABSgQIQRgAUMgIWM0cYMgpaAFwAXgAgAHbAYgBvQmSAQUwLjYuMZgBAKABAcgBCcABAQ&sclient=mobile-gws-wiz-serp#fpstate=ive&vld=cid:c79caaae,vid:Mf_4dsQJAXE,st:0