ইন্টার্নশিপের দ্বিতীয় সপ্তাহে গাইনি OPD। সবে তিনটে কাজ শিখেছি। চ্যানেল করা, ক্যাথেটার করা আর ইমার্জেন্সীতে বসে রুগীকে ঠিক ডিপার্টমেন্টে রেফার করা।
-পাওয়ারটা কমে গেছে।
– এখানে কেন, চোখের OPDতে যান, দু নম্বর গেটের কাছে।
– চোখ ঠিক আছে।
– আগে বলবেন তো।
– ইমার্জেন্সীর পিছনে অর্থ OPD তে যান।
তবু দাঁড়িয়ে আছে, ভাবলাম অর্থ বোঝেনি।
– কী হলো
-যন্ত্রর পাওয়ার কমে গেছে।
ঘটনাটা আসলে বেশ মন খারাপের। অঙ্গটা ঠিক যন্ত্র না, যে বললেই কথা শুনবে। বিশ্বজুড়ে তিরিশ মিলিয়ন পুরুষ ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা যৌন অক্ষমতার সমস্যায় ভুগলেও তা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান মাত্র কয়েকজন। সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে লজ্জা পান। পুরুষত্বহীন বলে ভাবাটা তার কাছে চরম লজ্জাজনক বলে মনে হয়। তাই অনেকেই এর-ওর পরামর্শ নিয়ে, রাস্তাঘাটে, ট্রেনে-বাসে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে নানা কিছু প্রয়োগ করেন। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। অনেক সময়েই এই অসুস্থতার কারণে বিবাহিত জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
বিভিন্ন কারণেই এমন সমস্যা হতে পারে। যেমন বয়স ৫০ এর বেশি হওয়া, হাই ব্লাড প্রেশা্র, হার্টের অসুখ, হাই কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিস থাকা, মদ বা ধূমপানে আসক্তি, বাড়ি ও কাজের অতিরিক্ত চাপ সহ বহু কারণে এমন হতে পারে। আবার অনেক সময় এটা মানসিক। কাজেই যেসব অসুখের জন্য এমন সমস্যা হচ্ছে তার সময় মতো চিকিৎসা করলে অনেক সময়েই এই সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জীবনযাপন করা ও নিয়মিত এক্সারসাইজ করাও খুব দরকার।
সবচেয়ে বড় কথা নিজের সমস্যার জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে না রেখে খোলাখুলি আলোচনা করা জরুরি। একে অন্যের পাশে থাকলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
ট্যাবু ভঙ্গি।
Person specific ED এবং হতাশা ও ED নিয়ে কিছু বললে ভালো হতো।