প্র: কোভিভ রোগের চিকিৎসায় কোভিভ টেস্ট ছাড়া আর কি কি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে ?
উঃ সেটা নির্ভর করছে রোগটি কতটা গুরুতর অবস্থায় আছে তার ওপরে। মোট চারটি ভাগে বর্ণনা করা হ’ল।
(ক) উপসর্গহীন রুগী:
এই রুগীর ক্ষেত্রে কোনো ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
(খ) মৃদু উপসর্গযুক্ত রুগী:
এই রুগীর ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাহলে প্রয়োজন হতে পারে।
(গ) মাঝারি ধরনের উপসর্গযুক্ত রুগী:
এই রুগীর ক্ষেত্রে নীচের তালিকাভুক্ত প্রয়োজনীয় ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
(ঘ) গুরুতর ধরনের উপসর্গযুক্ত রুগী:
এই রুগীর ক্ষেত্রে নীচের তালিকাভুক্ত ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
প্র: তালিকাভুক্ত প্রয়োজনীয় ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি কি কি ?
উঃ চিকিৎসা শুরুর গোড়াতে যে বেসলাইন ল্যাব বা ইমেজিং পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি করতে হবে সেগুলি হ’ল:
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি)
- ব্লাড গ্লুকোজ,
- রুটিন ইউরিন,
- লিভার ফাংশন টেস্ট (এলএফটি)
- কিডনি ফাংশন টেস্ট (কেএফটি),
- সিরিএক্টিভ প্রোটিন,
- সেরাম ফেরিটিন,
- ডি-ডাইমার,
- এলডিএইচ,
- সিপিকে,
- চেস্ট এক্স রে।
প্ৰ: এই পরীক্ষাগুলি আবার কখন করতে হবে?
উঃ সময় অন্তর হল:
- ২৪-৪৮ ঘন্টা অন্তর সিবিসি, এলএফটি, কেএফটি
- ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা অন্তর সিআরপি এবং ডি-ডাইমার;
- ৪৮ ঘন্টার তফাতে চেস্ট এক্স রে।
প্ৰ: বুকের হাই রেজলিউশন সিটি স্ক্যান কখন করতে হবে ?
উঃ যদিও এই ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুসের অবস্থা খুব ভালো করে দেখতে পাওয়া যায়, তবু ও খুবই বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া এর প্রয়োজন হয় না যেমন:
- উপযুক্ত চিকিৎসা সত্ত্বেও যদি রুগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে
- যদি চিকিৎসক মনে করেন যে এটি রুগীর অবস্থা বুঝতে খুবই সহায়ক হবে।
- নিয়মমাফিক বা রুটিন মেনে কখনোই এইচআরসিটি পরীক্ষা করার কথা নয়।
[ সূত্রঃ ভারত সরকারের মহা স্বাস্থ্য অধিকর্তা দপ্তরের নির্দেশিকা]