তিতিরের খুব মন খারাপ। কিচ্ছু ভাল লাগে না, খুব একা লাগে। এবার টুয়েলভে উঠেছে কিন্তু পড়াশোনায় একদম মন বসাতেই পারছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ব্যস্ত রেখে সমস্যা ভুলে থাকতে চায় কিন্তু তবু মন ভাল হতে চায় না। রাতে ঘুম আসতে চায় না, নিজের ওপর আস্থা কমছে, মনে হচ্ছে ওর দ্বারা আর কিছুই হবে না।
সম্প্রতি পেন্সিলভেনিয়ার এক গবেষণা থেকে জানা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষত: তরুণ প্রজন্ম ডিপ্রেশন, উদবেগ, একাকীত্বের শিকার হচ্ছে। তাদের মধ্যে ফোমো দেখা যাচ্ছে। FOMO মানে ফিয়ার অফ মিসিং আউট। অর্থাৎ অন্যরা কত কিছু করছে অথচ আমি কিছুই করতে পারছি না এই ধরণের বোধ থেকে উদবেগ ও ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে কচিকাচার দল। উগবেষণায় কিছু তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের সময় কমিয়ে দশ মিনিট সীমাবদ্ধ করে দিয়ে দেখা গেছে তাদের ডিপ্রেশনের উপসর্গ উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। এই গবেষণায় ডিপ্রেশন আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সরাসরি সম্পর্ক আছে তা প্রমাণ করা হয়েছে। এমনটা কেন হচ্ছে? সে বিষয়ে সম্ভাব্য কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের পোস্ট দেখে নিজের জীবনের পরিস্থিতি সম্বন্ধে অসন্তোষ বেড়ে চলেছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা পিকচার পারফেক্ট পরিস্থিতি দেখতে দেখতে নিজের জীবনের বাস্তব সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করার মতো মনের জোর হারিয়ে ফেলছে তারা। মেকি এই ভাল থাকার ইঁদুর দৌড়ে নাম লেখাতে গিয়ে তারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে বা কর্মজীবনে গাফিলতির শিকার হচ্ছে। এর ফলে তারা ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে। সব সময়ে ভারচুয়াল পৃথিবীতে নিমজ্জিত হয়ে থাকার ফলে বাস্তবে পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব সবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাই একাকীত্ব অনিবার্য।
ফেসবুকে অনেক বন্ধু, ইন্সটাগ্রামে অনেক ফলোয়ার থাকা সত্বেও তারা একা। কি হবে তবে উপায়? আজকের এই পরিস্থিতি বিশেষ ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিপন্থী। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে আমাদের জোট বেঁধে এগিয়ে আসতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে জন সংযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার কি করে করতে হবে সে সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্বন্ধে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই গুরু দায়িত্ব নিতে হবে আমাদের সবাইকে। তা না হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের অনেককেই হারাতে হবে। কারণ পরিসংখ্যান বলছে ভারতবর্ষ ডিপ্রেশনের হার অনেক বেশি এবং আত্মহত্যার সংখ্যাও অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।
ছোট্ট এলি যখন বড়ো হবে, তখন……..
ছোট্ট “এলি” এক প্রতিবাদী চরিত্র। এখন সে তাঁর মিষ্টি টিন এজের পরিসরে। আরও যখন ছোট ছিল ,তখন থেকেই সে পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে ভাবছে। শুধু ভাবছে