বন্ধ চা বাগানে মেডিকেল ক্যাম্প করেছিল শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ । সমতলের দুটি ও পাহাড়ের চারটি নিয়ে মোট ছটি চা-বাগানের শ্রমিক ও তার পরিবারের উপর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে একটি সার্ভে করা হয়েছিল।
সমতলের দুটি চা-বাগানে যেখানে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর শতকরা হার ছিল ৭.৬% থেকে ২৩.২৭%। সেখানে পাহাড়ের চারটি বাগানের শতকরা হার ৩০% থেকে ৪৮.৭১ শতাংশ। দেখা যায় চা বাগান গুলিতে কারণ গুলির মধ্যে আছে সেরিব্রাল স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এই দুটি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।
চা বাগানের মালিকেরা শ্রমিকদের নুন মেশানো চা খেতে দেন। উচ্চ রক্তচাপের হয়তো এটা একটি কারণ।
আইন অনুযায়ী প্রত্যেক চা বাগানে পাশকরা ডাক্তার ও হাসপাতাল থাকার কথা। বাস্তবে অধিকাংশ চা বাগানের হাসপাতাল চলে পাশ না করা ডাক্তার দিয়ে। আউটডোরে রোগীদের দেওয়া হয় একদিনের ওষুধ। পরের দিন ওষুধ লাগলে আবার যেতে হবে হাসপাতালে। ফলে রোগ একটু কমলেই আর হাসপাতালমুখী হন না শ্রমিকেরা। এই ভাবে রোগ বেড়েই চলে।