আজকে নাকি বিশ্ব বই দিবস।
বই জিনিসটা আমাকে জীবনে অনেক কিছু দিয়েছে। সত্যি বলতে বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বই, এক আলমারি ভর্তি বই, বিছানার পাশে রাখা বই আমাকে যতটা আশ্রয় দিয়েছে আর কোনোকিছু বোধহয় সেটা দিতে পারেনি।
বই যতো কিনেছি তার অনেক পড়িনি, অনেক অর্ধেক পড়েছি, অনেক পরে পড়বো বলে রেখে দিয়েছি, কিন্তু ওইগুলোই আমার সম্পত্তি!
বর্ধমানে যখন PG করতে গেলাম, তার আগে হোস্টেলে ওরকম একা কখনোই থাকিনি, শনিবার বাড়ি চলে যেতাম। বর্ধমানে হলো উল্টো, শনিবার রবিবার হোস্টেল পুরো ফাঁকা, বাড়ি অনেক দূরে, বুদ্ধ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত, বর্ধমান আমি কিছুই চিনিনা, সেই সময় আমার বই পড়া আরো বেড়ে গেলো…. একটাই আনন্দ-র শোরুম ছিলো, সন্ধ্যেবেলা চলে যেতাম, বই দেখতে দেখতেই বেশ কয়েকটা ঘন্টা কেটে যেত, তারপরে ফাঁকা হোস্টেলে কতো যে বই পড়েছি… ফিরলাম এক ট্রাঙ্ক বই নিয়ে….!
হোস্টেলে তো বই নিয়েই ঘুমোতাম, খাটের এক পাশে বই জমে থাকতো, প্রতিদিন রাতে আর কে ওগুলো তুলে রাখবে, ওর পাশেই ঘুমিয়ে পরতাম… বিয়ের পরে ভাড়া বাড়িতে এসে “সংসার” পেতে বসলাম, প্রথম প্রথম সংসারে খুব মতি হলো, রোজ রাতে বই তুলে রেখে, বিছানা করে ঘুমোতাম…. ওই কয়েকটা মাস চলেছিল ব্যাপারটা… তারপরে আবার যেই কি সেই হয়ে গেলো… চেয়ারে বই, বিছানায় বই, টেবিলে বই… খুব যে পড়ছি তেমন নয়…. কিন্তু ওই যে, হাতের কাছে বই থাকলে বেশ নিশ্চিন্ত লাগে….
আমি তো ঘুরতে গেলেও ব্যাগে একটা বই রাখি… সবাই বলে, “ব্যাগ এর ওজন বাড়াচ্ছিস, পড়বি এটা এই কদিনে?” – পড়িও না হয়তো, কিন্তু সাথে একটা বই না থাকলে খালি খালি লাগে! বই যে আমি খুব পড়ি তেমন নয়, কতো কি যে পড়িনি, কবেই বা সেসব পড়বো জানিনা, কিন্তু বই আমার একটা বাতিক!
২৩শে এপ্রিল, ২০২৪