আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ১৪ই নয়। তবে দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে আমার কাছে। কি, সেটা আর না-ই বা বললাম। কত কথা হৃদয়ের বন্ধ প্রকোষ্ঠে গোপন রেখেই মৃত্যুর ওপারে পৌঁছে যায় মানুষ — ব্যবচ্ছেদের ছুরিও সেই লুকোনো রহস্য ভেদ করতে পারে না, পারেনি কখনো। আমার কথাটিও তাই-ই থাক না হয়।
কাল্পনিক, তবে গল্প নয়
*********************
কলেজ স্কোয়্যারের নিস্তরঙ্গ ঝিলে একটুকরো নাগরিক বৈকালি আকাশ ঝুঁকে পড়েছে জলের আরশিতে মুখ দেখবে বলে।
চারদিকে অর্থহীন কোলাহল, ফ্যাকাশে রুদ্রপলাশের পাপড়ি ঝরা নৈর্ব্যক্তিক রাজপথ, হাতে লেখা পোস্টারে ছাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল, চিলতে বিপণিগুলোতে পাশাপাশি বিকোনো বই আর সস্তার অন্তর্বাস — সবই গতানুগতিক।
এলোমেলো শুধু কংক্রিটের জঙ্গুলে ফুটপাথে দাঁড়ানো এক পঞ্চাশোর্ধ্বার অনাধুনিক কাঠের ক্লিপে আটকানো নুন-মরিচ চুলের রাশি, ফাল্গুনী হাওয়ায় ঈষৎ অবিন্যস্ত দামি সিল্কের আঁচল আর কান্নায় ভেঙেচুরে যাওয়া প্রসাধনহীন মুখ।
পাশের পুরুষটি অপ্রতিভ এবং অপ্রস্তুত মুখে অন্যদিকে তাকিয়ে — একঝাঁক ছাত্রী ছাতারে পাখির মতো কলকল করতে করতে এই অদ্ভুত যুগলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে এগিয়ে গেল ফুটপাথ ধরে।
খানিক পরে পুরুষের ইতস্তত গলা খাঁকারির শব্দে মুখ তোলেন মহিলা। তিনি কখনো রুমাল ব্যবহার করেন না। শাড়ির আঁচলে চোখমুখ মুছে কিছুটা স্বাভাবিকতার ভান করার চেষ্টা করেন। পুরুষটির বাড়িয়ে দেওয়া জলের বোতল প্রত্যাখ্যান করেন সবিনয়ে। তাঁর জলের প্রয়োজন নেই — অশ্রুবালিকারা আজ অকৃপণ, শ্লেষ্মা সিক্ত করে রেখেছে পিচ্ছিল শ্বাসনালি, স্বাভাবিক তৃষ্ণাবোধও হারিয়েছে বুঝি তাঁর।
“বিশ্বাস করুন, আপনার এই ইমোশনটা, মানে আমার প্রতি ইমোশনটা, আমি জাস্ট আন্দাজই করতে পারিনি” — কুণ্ঠিত গলায় বললেন ভদ্রলোক।
একটু বুঝি হাসলেন মহিলা। “বুঝতে পারলে কি করতেন? আগেই সরে যেতেন?”
“ন্নাহ, মানে সেরকম কিছু নয়” — এবার কথা হাতড়াতে থাকেন পুরুষটি — খানিক পরে যেন আত্মসংবরণ করে বলে ওঠেন, “আমি বিবাহিত, একটি মেয়ের বাবা, এ কথা তো গোপন করিনি আপনার কাছে। আমার ফেসবুক প্রোফাইল তো খোলা হাট, সেখানে তাদের অজস্র ছবি, লেখা, মন্তব্য সবই রয়েছে। কিছুই তো আপনার অজানা নয়। তা-ও কি করে আপনি —”
এবারে শব্দ করে হেসে ওঠেন মহিলা। ভারিক্কি পঞ্চাশোর্ধ্বার হাসিটি কিন্তু কিশোরীর — যেন অনেকগুলো কাঁচের চুড়ি রিনঠিন করে এ ওর গায়ে ঢলে পড়ে খুনসুটি করছে।
“সংসার? সংসার টংসারের মতো গুরুগম্ভীর কথা বলেছি নাকি কখনো আপনাকে! আমি শুধু আমার অনুভবটি আপনাকে জানিয়েছিলাম। আমার মতো, ঠিক আমার মতো অতীতচারী, স্মৃতিকাতর, আন-অ্যামবিশাস কোনো মানুষ আমার চারপাশের পৃথিবীতে থাকতে পারে, এই বিশ্বাসটাই ছিল না, জানেন?
তারপর আপনি এলেন পরিচয়ের বৃত্তে। আলাপ বাড়ল, আলোচনা বাড়ল। কত বিষয়, কত ঘটনা — আপনার ছেলেবেলার, আমার কৈশোরের — এত মিল, যেন ট্রেসিং পেপারে জীবনের জলছবি। এতটাই ছায়াময়, স্নিগ্ধ আপনার সাহচর্য, যে মনে হলো যেন নিজের সঙ্গে নিজেই আড্ডা মারছি। দেখলাম, আমি নিজেও বোধহয় নিজের অতটা মনের মতো নই, যতটা আপনি হলেন আমার — নিষ্করুণ পৃথিবীতে আপনিই হলেন আমার ওয়েসিস, আমার একান্ত নিজস্ব স্বস্তির পরিসর ” —
মহিলার বাক্যস্রোতে বাধা পড়ল। মিছিল চলেছে রাস্তা দিয়ে। সহস্র মানুষের গর্জন, তীব্র স্লোগান, গাড়ি আর বাসের অসহিষ্ণু হর্নের সম্মিলিত ক্যাকোফোনি সাময়িক ভাবে স্তব্ধ করে দিলো তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত আবেগকে।
পুরুষ তবু বললেন না, ‘চলুন, সরে যাই এই ভিড়ভাট্টা থেকে। স্বীকারোক্তিরও তো একটু নিরিবিলি প্রয়োজন’।
মিছিলের আওয়াজ মিলিয়ে গেলে মুখ খুললেন ভদ্রলোক, “আপনার বন্ধুত্ব আমার কাছে ভীষণ, ভীষণ মূল্যবান, ঠিকই। আমি একে হারাতে চাইনি, চাই না কোনোমতেই। কিন্তু আপনি যা চাইছেন, তা তো সম্ভব নয়। আই অ্যাম এ ম্যারেড ম্যান — আমার কিছু দায়বদ্ধতা আছে তো”–
আবার খামখেয়ালি হাসেন মহিলা। “আমি ঠিক কি চেয়েছিলাম বলুন তো? হ্যাঁ, চাইছি না — চেয়েছিলাম। আমি আপনার মনে একটু জায়গা করে নিতে চেয়েছিলাম। সেই পুরোনো সুচিত্রা-উত্তমের ছবির ডায়লগের মতো শোনালো, না? কিংবা সন্ধ্যা মুখার্জির গলায় স্বর্ণযুগের গানের কলি — তুমি বলেছিলে এই চোখের আড়াল মনের আড়াল নয় —”
পুরুষ একটু সচকিত এবার। “চেয়েছিলেন মানে? আর চান না? কেন?”
লতানে মেরুদণ্ড একটু ঋজু হয় মহিলার। নতমুখ সোজা হয়, উন্নত হয় গ্রীবা। চওড়া হয়ে আসা কপালের প্রান্ত থেকে দু-একগাছি রুপোলি চুলের গুছি কানের পিছনে অবহেলায় সরিয়ে দেন তিনি। তারপর সোজাসুজি তাকান কাঙ্ক্ষিত পুরুষটির চোখে — “আমি সহজাত প্রীতির বিনিময়ে একটুখানি ভালবাসা চেয়েছিলাম। অনুকম্পা তো অনেক কুড়োলাম জীবনে। একাকিত্ব ঘোচাবার চাবি হাতে কামনাতাড়িত মানুষও কম দেখলাম না। ঠেকাতে ঠেকাতে বেলা পড়ে এলো — তবু এখনো তারা ঘোরাঘুরি করে চারপাশে, আঁশটে অস্তিত্ব নিয়ে — তাড়িয়ে দিলেও যেতে চায় না! ক্লান্ত লাগে আজকাল, বড্ড ক্লান্ত –” গলা বুজে আসে তাঁর।
পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকেন ন যযৌ, ন তস্থৌ — কি যে বলবেন, ভেবে পান না। ঐ রুক্ষ চুলগুলোয় একটু হাত বুলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, বাষ্পে ঝাপসা হয়ে আসা সাবেকি ফ্রেমের চশমাটা খুলে নিয়ে নিজের রুমাল দিয়ে মুছে দিতে ইচ্ছে করে, কড়া পড়া আঙুলগুলোকে হাতে নিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে — ‘আমি আছি। আমি রইলাম।’
গলার কাছে তাল পাকায় রুদ্ধ আবেগ, শেষ পর্যন্ত বলা হয় না কিছুই।
পশ্চিম আকাশের শেষ কমলার দীপ্তিটুকু মুছে নিয়ে আঁধার নামে। লাস্যময়ী দেহপসারিণীর মতো ঝলমল করে ওঠে লোলচর্মা, প্রাচীনা নগরী।
আত্মস্থ হয়ে মহিলা বলে ওঠেন, “বাড়ি যাবেন তো? চলুন, খানিকটা এগিয়ে দিই আপনাকে”।
বড় সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র মেট্রনের নিজস্ব চারচাকা থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু পূর্ব রেলের মধ্যপদস্থ কর্মচারীর পক্ষে সেটি জোটানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনো। সাংসারিক দায়, কাজে সৎ হওয়ার মাশুল কিংবা জীবনযাত্রায় বেহিসেবি নির্বুদ্ধিতা — কারণ যা-ই হোক, পুরুষটি এখনো গাড়ি কিনে উঠতে পারেননি। সসংকোচে বলে ওঠেন তাই — “আমাকে এগিয়ে দেবেন কি রকম? আপনি কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে থাকেন, আর আমি যাব ডানকুনি — উলটো পথ তো?”
নারী হাসেন। “হলোই বা। একদিনই তো!”
তারপর স্বভাববিরুদ্ধ চাপল্যের সঙ্গে বলে ওঠেন, “একটু না হয় পুণ্য হবে”।
“পুণ্য? আমাকে বাড়ির কাছাকাছি এগিয়ে দিয়ে?” — পুরুষ অবাক হতে চেষ্টা করেন।
“আরে না, বালি ব্রিজ পেরোবো তো! মায়ের মন্দির দেখা যাবে না? কতদিন তো যাই না ওদিকে, আজ না হয় দেখব — দূর থেকেই।”
সেতুর উপরে দ্রুত ধাবমান গাড়ি থেকে আলো আঁধারি মন্দিরের চূড়া ভাল করে দেখার আগেই সরে যায়। দূরগামী কোনো ট্রাক বা যাত্রীবাহী বাস আটকে দেয় দৃষ্টিপথ।
কেউ কোনো কথা বলে না। কাঁচবন্ধ গাড়ির বদ্ধ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে দীর্ঘশ্বাসে। নিঃশব্দ চিৎকারে কান ঝালাপালা হয়ে যায় দুজনেরই।
এক দূরাগত বিষণ্ণ মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে মহিলার কোষে কোষে —
‘আজ জানে কি জ়িদ ন করো’ —
হঠাৎই নারী চমকে উঠে অনুভব করেন, তাঁর বাম করতল একটি মুঠোয় বাঁধা পড়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। চাপ বাড়ছে সেখানে। কি কথা বলতে চাইছে সেই স্পর্শ? কামবোধ তার বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে শরীরের ঠিকানা ছেড়ে গিয়েছে বহুকাল আগে — অবনত স্তনভার আর শুষ্ক যোনিতে রেখে গিয়েছে তার নির্ভুল স্বাক্ষর। তবু যেন শিউরে উঠতে চায় প্রতি রোমকূপ,
‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর
প্রতি অঙ্গ লাগি কাঁদে প্রতি অঙ্গ মোর’ —
দুই আত্মবিস্মৃত নরনারীর ঘোর ভাঙে চালকের কেজো স্বরে —
”ডানকুনি চৌমাথা এসে গিয়েছি। এবারে কোন দিকে যাব?”
রিয়ার ভিউ মিররে চালকের চোখের অদ্ভুত দৃষ্টি লক্ষ্য করেন মহিলা। কি রয়েছে সেই দৃষ্টিতে? অবিশ্বাস, ধিক্কার, একটু তাচ্ছিল্যও কি?
পুরুষ কিছুটা স্খলিত স্বরে বলেন — ‘এখানেই সাইড করো ভাই। আমি এবার নামব।’
চৌমাথা থেকে খানিকটা হেঁটে নির্দিষ্ট অটোতে উঠে বসলেন পুরুষটি। মন বিক্ষিপ্ত, অথচ পূর্ণ। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য।
অনাঘ্রাত নারীদেহের স্পর্শ তো তাঁর জীবনে নতুন নয়, তবু প্রত্যেকটি নারী যেন তার মন ও শরীরের প্রতিটি বাঁক, নিতল গভীরতা আর অনাবিষ্কৃত অন্ধিসন্ধি নিয়ে অনন্যরূপা — এমনটাই অনুভব করলেন তিনি।
পকেট থেকে মোবাইল বের করলেন পুরুষ। ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলতো আঙুল ছুঁইয়ে স্ক্রল করে পৌঁছে গেলেন প্রার্থিত প্রোফাইলে।
‘ন তুম হমে জানো,
ন হম তুমহে জানে,
মগর লগতা হ্যায় কুছ অ্যায়সা
মেরা হমদম মিল গয়া’ —
ফিরতি পথ। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে দিয়েছেন মহিলা। গঙ্গার হাওয়ার ঝাপটা আরো উলোঝুলো করে দিয়ে যাচ্ছে চুল — তাঁর ভ্রূক্ষেপ নেই। পেরিয়ে গেল বালি ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক, ডানলপের মোড় — তাঁর আত্মমগ্নতা ভাঙল না।
ড্রাইভার আনমনে বলল
”আজ তেমন জ্যাম নেই দিদি — তাড়াতাড়িই পৌঁছে যাব বেহালা”।
ঝাং করে শব্দ বাজল হাতের মুঠোফোনে। মহিলা যেন ঘুম ভেঙে জেগে উঠলেন।
মেসেঞ্জারে বার্তা ঢুকেছে পরিচিত প্রিয় মানুষটির। মেসেজ ওপেন করতে গিয়ে আঙুল সামান্য কেঁপে গেল বুঝি।
খুললেন।
নীল চালচিত্রে সাজানো স্থূল সাদা অক্ষরমালা —
“নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারলাম না আর। আমি ভালবাসি তোমাকে। একান্ত, নিবিড়ভাবে নিজের করে পেতে চাই তোমায়। দেবে?”
নারীর মগজে রুমঝুম নূপুরের নিক্কণ। চোখ রক্তাভ। বায়োস্কোপের ছবির মতো সরে সরে যাচ্ছে আলোকিত এসপ্লানেড, পার্ক স্ট্রিট, আঁধারি এলিয়ট পার্ক। পাশ দিয়ে অবাস্তব জলযানের মতো ভেসে যাচ্ছে পিজি হাসপাতাল, ট্রমা কেয়ার সেন্টার, রেসকোর্স, কূলহারা নাবিকের দিশারী বাতিঘরের মতো কিরীটে আলো জ্বেলে দাঁড়িয়ে থাকা দীর্ঘদেহী ফ্ল্যাটবাড়িরা। আকাশে মৃতবৎ ঝুলে রয়েছে নষ্ট চাঁদ — তার বিবর্ণ জ্যোৎস্না লুকোতে চাইছে অন্ধকারের কোলে।
সিনিয়র মেট্রনের যেন আর চেতনা নেই, লুপ্ত হয়েছে বাহ্যজ্ঞান।
বিড়বিড় করে চলেছেন কয়েকটি লাইন — তাঁর প্রিয় কবি সিলভিয়া প্লাথের কবিতার লাইন —
“I shut my eyes and all the world drops dead;
I lift my lids and all is born again.
(I think I made you up inside my head.)
…………….
I dreamed that you bewitched me into bed
And sung me moon-struck, kissed me quite insane.
(I think I made you up inside my head.)
…………
I fancied you’d return the way you said,
But I grow old and I forget your name.
(I think I made you up inside my head.)
I should have loved a thunderbird instead;
At least when spring comes they roar back again.
I shut my eyes and all the world drops dead.
(I think I made you up inside my head.)”
গাড়ি মাঝেরহাট ব্রিজ পেরিয়ে তারাতলা অঞ্চলে ঢুকছে। মহিলা সোজা হয়ে বসলেন। মুঠোফোনের স্ক্রিনে অভ্যস্ত আঙুল ছোঁয়ালেন। এখন আর আঙুলে কোনো কম্পন নেই।
ফেসবুক। মেসেঞ্জার। সেটিংস। পার্সোনাল ইনফরমেশন। পরপর আঙুল চলছে দ্রুত। তারপর এক মুহূর্ত থমকালেন একটি অপশনে এসে।
অ্যাকাউন্ট ডিলিশন অ্যাণ্ড ডিঅ্যাকটিভেশন।
ছোটবেলায় চিড়িয়াখানা ঘোরার পরে বাবা কিনে দিত গ্যাসবেলুন। হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হতেন তিনি। তারপর কখন যেন ছোট্ট হাতের দুর্বল মুঠি ছেড়ে যেত সুতো। আর নানা রঙের বেলুনেরা মুক্তি পেয়ে উড়ে যেত পাখিদের মতো।
‘জিন্দগি, ক্যায়সি হ্যায় পহেলি হা–য়, কভি তো হঁসায়ে, কভি ইয়ে রুলায়ে’ —
সেতু তিনি পেরিয়ে এসেছেন, পুড়িয়েও এসেছেন। আর কোনো পিছুটান নেই। অসেতুসম্ভবকে মুক্তি দেওয়ার দিন আজ। মুক্তি পাওয়ারও দিন।
কয়েক মুহূর্তের মধ্যে জনৈকা ‘অমুকে’র অ্যাকাউন্টটি ভার্চুয়াল সমাজমাধ্যম থেকে চিরকালের জন্য ‘ডিলিটেড’ হয়ে গেল। তার ছাইটুকুর অস্তিত্বও আর রইল না কোত্থাও।
১৩/২/২০২৫