পাঁচশোর থেকে শুরু সরকারি উৎকোচ এইবার দশহাজারে গেছে পৌঁছিয়ে,
ভোটারের অ্যাকাউন্টে ভোটারের ট্যাক্স যায় নানা নাম নিয়ে,
শাসকের ঘোষণাতে মনে হয় যেন দাতা কর্ণ বা রাজা হরিশ্চন্দ্র এসেছেন ফিরে,
দূর-নীতি দূরে ঠেলে দুর্নীতি শেকড়েরা সেঁধোয় গভীরে,
শাসন-প্রত্যাশী দল নিলামের মতো হাঁকে জিতলেই কত বেশি দেবে,
চাকরি না, শিক্ষা না, পেশাগত দীক্ষা না, লেনদেন শুরু শেষ ক্যাশের হিসেবে।
কে কী করে এই টাকা দিয়ে, বিস্তারে বিবরণ পাবে না কোথাও,
ডিজিটাল যে ভারত সর্বদা ধমকায় হিসেবটা দাও,
সে এখানে চুপ পুরো. খাবার শিক্ষা নেশা পেশা সখ সৌখিনতা,
কে কোথায় করছে খরচ, অর্থনীতির সেটা জানবার কথা,
এ যেন ভিক্ষে দিয়ে বলা শোন, নিয়মিত পেয়ে যাবি এই যা দিলাম.
বদলে কিছুই নয়, সামান্য দাবী, তোর ভোটে আজীবন দখল নিলাম।
দেশের অগ্রগতি ইত্যাদি ঢপবাজি ঘুষের সঙ্গে আসে ফ্রীতে,
কেন যেন শাসকেরা আর আগ্রহী নন থিতু কাজে রোজগার দিতে,
কেন যেন.. ভুল কথা, কারণ সবাই জানে, নির্বোধ নয় মোটে প্রজা বা শাসক,
ভোটের একটু আগে ভোটার-পকেটে গোঁজা যত হোক আগামীর প্রগতিনাশক,
বর্তমানের তাতে লাভ দুদিকেই, ফোকটে আসছে হাতে
ভোটারের স্ত্রী-লিঙ্গ হলে,
‘ অন্তত কিছু তো পেলো’ আর ‘ না খেয়ে মরবে না’
এরকম যুক্তিতে চলে
প্রজারা ভাবেন আহা স্কিমটা তো মন্দের ভালো, নিয়মিত মাসে মাসে আসে,
‘কেন হাতে কাজ নেই’ , ‘জিনিসের দাম বাড়া’, ইত্যাদি
প্রশ্নরা উড়ে যায় কুলোর বাতাসে,
প্রতি নির্বাচনে পাঁচশো হাজার করে বাড়বে যে অঙ্কটা সকলেরই জানা,
আগামী যেদিকে যাক, ঘুষের জাদুতে লোক বোবা-কালা-কানা।
বাড়তে বাড়তে টাকা দশ হাজারে পৌঁছে গেছে অংকটা আজ,
একটি রাজ্যে শুনি নারীরা সবাই পাবে, প্রগতি আসছে বলে ব্যাপক আওয়াজ,
ইদানিং সবই দেখি ‘ মাস্টারস্ট্রোক’, সফল হোক না হোক,
তাকা-ধেই বেজে চলে অনুগত ঢোল পাখোয়াজ।
যদিও সবাই জানে,
সে টাকা বাড়ার মানে ভোঁ দিলো কাছে কোনো ভোটের জাহাজ।
 
								 
											 
				








