কোভিড সেন্টার,এই এপিডেমিকের সময়ে সারা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম ইম্পোর্ট্যান্ট সেন্টারের ডাক্তাররা নন কোভিড রোগীদের স্বার্থে আজ ২ দিন কোভিডের চিকিৎসা করার পাশাপাশি অবস্থানে বসেছেন!
আজ সকালে DME, DHS, স্পেশাল সেক্রেটারি মেডিকেল কলেজে এসে প্রথম বক্তব্য রাখেন “আমি এখানে আলোচনা নয় ডিশিসন শোনাতে এসেছি” এবং বলেন মেডিকেল কলেজ সুপার স্পেশালিষ্ট কোভিড হবে।
ঘেরাও, আন্দোলনের চাপে এবার সেই মিটিং তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং আমাদের তরফ থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দল সেখানে যান।
DHS, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুরোধা সেখানে
বক্তব্য রেখেছেন “আজ যদি একটা হাসপাতাল বন্যার জলে ভেসে যেত,বৌবাজারে যদি জল বেড়ে যেত তাহলে? তাহলে পেশেন্টরা কী করতো? তাহলে তো তাদের অন্য কলেজেই যেতে হত”
স্যার, আমরা একটা প্যানডেমিক সামলাচ্ছি স্যার। আমরা হাজার হাজার পেশেন্ট দেখি স্যার রোজ। আমরা তাদের কথা আপনাদের থেকে বেশি জানি,ভাবি সেটা আমরা ভাবতাম,আজ আপনি প্রমান করে দিলেন স্যার। একটা গ্লোবাল প্যানডেমিকের সাথে বৌবাজারে বন্যার মত হাস্যকর অ্যানালোজি টানছেন হেলথ সেক্রেটারি, হায় রে স্বাস্থ্যব্যবস্থা!
অ্যান্টি এপিলেপ্টিক ড্রাগ মানে মৃগী রোগের চিকিৎসা স্যারের মতে অঙ্গনওয়াড়িদের দিয়ে কৃমি রোগের ওষুধের মত বাড়িতে বাড়িতে পোঁছে দিয়েই তো মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব। কেমো, রে এসবও বাড়িতে বাড়িতে একদিন নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবে স্যার যে বিপ্লব স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আনতে চলেছেন।
এই মুভমেন্ট মানুষের মুভমেন্ট স্যার। যাতে মানুষ না হয়রান হয়,যাতে কোভিড এবং নন কোভিড সব পেশেন্টই মেডিকেল কলেজে সঠিক চিকিৎসা পায়, আপনারা ভাবতেই পারেন স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি বানে ভেসে যায় তাহলে কী হবে? আমরা ভাবতে পারি না স্যার। আমরা ভাববো না।এই মুভমেন্ট মেডিকেল কলেজের নয়,এই মুভমেন্ট প্রতিটা সচেতন মানুষের, তাদের বিরুদ্ধে যারা মনে করেন চাইলেই বানের জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায় একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা,সেই ব্যবস্থারই সর্বোচ্চ পদে বসে।
আজকের মিটিং এর আদায় হিসেবে একটা এক্সপার্ট কমিটি তৈরি হবে ঠিক হয়েছে যে কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিরাও থাকবে তারা বিভিন্ন বিল্ডিং দেখে ঠিক করবেন কোভিড বা নন কোভিড কোন বিল্ডিং এ করা যাবে বা যাবে না।
কিন্তু বলে আসা হয়েছে যতক্ষন না অব্ধি মেডিকেল কলেজে সঠিক প্ল্যান মেনে কোভিড এবং নন কোভিডের চিকিৎসা শুরু হচ্ছে ততদিন আমরা চিকিৎসা করবো এবং তার সাথে সাথেই এই অবস্থান চলবে।
রুখে দাঁড়ান,এই মুভমেন্ট মেডিকেল কলেজের মুভমেন্ট নয় শুধু, এটা একটা গোটা বেহাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্যে গড়ে তোলা প্রতিরোধ,সব থেকে ওপরের পদে বসে আমার আপনার স্বাস্থ্য বানের জলে ভেসে যাওয়ার কথা যেন আর কোন আমলা আমাদের মুখের সামনে না বলতে পারেন,এই স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার,সেটা ফেলনা নয়, এটা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় হয়েছে।
অবস্থানের ৪৮ ঘন্টা ✊
মেডিকেল লড়ছে,এগিয়ে আসুন। এই স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিবর্তন ডাক্তার রোগী একসাথে মিলেই করতে হবে আর আমরা সেটা করেই ছাড়বো!
#unlockMCK
#InclusiveNOTExclusive