প্রতি চতুর্থ প্রজন্মে মানুষেরা পুনরায় উদ্বাস্তু হয়।
যা তোমার ঘর বলে ভাবো, প্রপৌত্র-পৌত্রীর সেটা বাড়ি নয়,
তারা চলে যাবে কোনো অন্য ভূমিতে,ভিন্ন প্রদেশ দেশ গাঁ বা শহর,
যত তুমি আগলাও শিকড়ের ভ্রম, মানুষ আসলে আজও সেই যাযাবর।
বিশ্বাস না হলে ভাবো, প্রপিতামহের ভিটে ছিলো কোনখানে,
যেরকম শুনেছো মা বাবার মুখে। কতদূর এসে গেছো সময়ের টানে,
তা জ্ঞাত নই, তবু এটা নিশ্চিত জানি, ওখানে থাকো না তুমি আর,
একদা আশ্রয় বলে আঁকড়ানো যাকে, আজ হয়তো জানোও না সেই ভূমি কার।
কি কারণে আজ তুমি এইখানে , সে প্রশ্ন অবান্তর,
কমবেশি একশো বছর, ওর বেশি ভিটে স্থায়ী হয় না কারোর,
রাজারা ভিখিরি হয়, ভিখিরির সন্তানও রাজা হতে পারে,
মানুষ বহতা কুটো সময়ের স্রোতে, ঠাঁইয়ের বদল হয় স্মৃতি নিয়ে ঘাড়ে।
সুতরাং সমকালে বাঁচো। যত পাসপোর্ট ভিসা কাঁটাতারে ঘেরো,
যত জাতি ভাষা বর্ণের কচকচি, ফোবিয়া-ম্যানিয়া নিয়ে সাত ও সতেরো,
লাভ নেই কিছু। মানুষেরা ভেসে যাবে জন্মের ভিটে থেকে ভাবী অনিশ্চিতে,
যেভাবে গিয়েছেন পূর্বজ আদিমেরা আফ্রিকা থেকে, বদল হবে না তার কিছু আগামীতে।
প্রতি চতুর্থ প্রজন্মে আবার বাস্তু খোঁজা নতুন ভূমিতে।
অমোঘ বিধান লেখা হোমো স্যাপিয়েন্সের ভাগ্যলিপিতে।