An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

হাতখান ধইরে দ্যাখ ক্যানে

IMG_20201218_233541
Dr. Dayalbandhu Majumdar

Dr. Dayalbandhu Majumdar

Eye Surgeon, Snake-bite resource person
My Other Posts
  • December 19, 2020
  • 9:10 am
  • No Comments

নদীয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সুশান্ত। কোলকাতার মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করার পর আরও বছর তিনেক জুনিয়ার ডাক্তার হয়ে কাজ করেছে। তারপর একদিন সরকারী চাকরী নিয়ে চলল উত্তর বঙ্গে। নতুন জেলা সদর থেকে আরও চল্লিশ মাইল দূরের একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার। মনটা একটু খারাপ ছিল; সেই চাকরীর চিঠিটা হাতে আসার পর থেকেই। স্নেহশীল বড় দাদার মত মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রত্যেকের মনের অবস্থা বুঝে, একেক জনকে একেক ভাবে সাহস জুগিয়েছেন। সুশান্তকেও বলেছেন, “তোমার সবথেকে ভাল পোষ্টিং হয়েছে। আমাদের ট্রেন ধরতে মালদা যেতে হয়; তোমার ওখানে দার্জিলিং মেল সহ বেশ কয়েকটা ট্রেন থামে। এক ট্রেনে কোলকাতা যেতে পারবে।”
বিকেলের দিকে নিজের সামান্য বাক্স বিছানা নিয়ে বাস থেকে নেমেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেক জায়গায় শুনেছে, বাস থেকে নেমে আবার চার পাঁচ কি মি রাস্তা ভ্যানে বা হেঁটেও যেতে হয়। পাশের কোয়ার্টারেই থাকে প্রায় সমবয়সি ফার্মাসিষ্ট। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ফার্মাসিষ্ট ছেলেটির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। সেও খুব উৎসাহ দিল। প্রথম রাতেই ঠিক হয়ে গেল, দুজনের রান্না একই জায়গায় হবে, একজন মাসিই সব কাজ করবে।

এত বছর মেডিক্যাল কলেজে কাজ করার অভিজ্ঞতা এক রকম; আর একেবারে একা একা একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করা আর এক রকম। ফার্মাসিষ্ট একা একাই চালিয়েছে বছর খানেক। ওর কাছেই কাজের হালচাল জেনেছে, রাতের মধ্যে যেটুকু জানা যায়।

সকালে নটার মধ্যে তৈরী হয়ে আউটডোরে বসে গেল সুশান্ত। ছোট খাট একটা লাইন। আসলে লাইন না বলে জটলা বলাই ভালো। গ্রামের লোকেরা অত শত লাইন টাইন বোঝে না। নতুন ডাক্তার আসার খবরটা কম্পান্ডারবাবুই ওদের দিলেন। ফার্মাসিষ্টই হৈ হৈ করে বললেন, সবাই লাইন করে দাঁড়াও, নতুন ডাক্তারবাবু এসেছেন। একটা লাইন মত হলও। কিন্তু সবাই একটু উকি দিয়ে দেখতে চায়, নতুন ডাক্তারটি কেমন দেখতে। একেবারেই গ্রামের গরীব গুর্বো লোকজন।

এক এক করে রুগী দেখতে শুরু করল সুশান্ত। সবারই কথায় উত্তরবঙ্গের রাজবংশী টান। প্রথম দিকে লাইনটা দরজার বাইরে থাকলেও একটু পরেই ঘরের ভিতর জনা পাঁচেক রুগী ঢুকে গেল। এক দুবার ফার্মাসিষ্ট এসে দরজার বাইরে লাইন করে দাঁড়াও বললেও, পাঁচ মিনিটেই আবার ঘরের ভিতরে চার পাঁচ জন হয়ে গেল।

এখানে এটাই দস্তুর। তার উপর নতুন ডাক্তার। ভালো করে দেখে নিতে হবে তো। পাড়ায় গিয়ে বলতে হবে না; ডাক্তারটা “হ্যান্টা” কিনা।
গ্রামের লোকেরা কোলকাতার মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে আসে না এমন নয়। তাই ওদের দেখতে বা ওদের কথা বুঝতে খুব একটা অসুবিধাও হচ্ছিল না। ঘণ্টা দেড়েক রুগী দেখার পর এল প্রথম চমকটা।

একজন কম বয়সের বৌ এসেছে দেখাতে। টুলে বসার পর সুশান্ত জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? অসুবিধা কি? রুগী চুপচাপ। লজ্জায় মুখ নিচু করে বসে থাকল। সাথে এসেছে একটু বয়স্কা মহিলা। রুগীর মা কিংবা শাশুড়ী হবেন। বার তিনেক জিজ্ঞেস করে কোন উত্তর না পেয়ে, সুশান্ত সাথের মহিলাকেই বলতে বলল। এবার যেন বয়স্কা মহিলা একটু বিরক্ত হয়েই বলল, “হাতখান ধইরে দেখ কেনে”!

চমকে উঠল সুশান্ত। মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় বা জুনিয়র ডাক্তার থাকার সময়ও কেউ কোনদিন ওকে তুই করে কথা বলে নি। সে তো গেল একটা দিক। এমন এক গ্রাম্য মহিলা তুই করে বলায় খুব একটা অপমানও মনে হয় নি সুশান্তর। কিন্তু হাত ধরে, মানে নাড়ি ধরে কি বুঝতে বলছে ওকে? এতো মহা ফ্যাসাদ। আপাত সুস্থ, কম বয়সি বধুটির তেমন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলেও তো মনে হচ্ছে না। নিজের বিব্রত ভাবটা গোপন রাখার জন্যই সুশান্ত রোগিণীর পালস্ দেখতে শুরু করল। কোন গন্ডগোল নেই। ভালো করে দেখার জন্য অনেকক্ষণ ধরে দেখল পালস্। ডাক্তারের মুখ দেখে বয়স্ক মহিলা বুঝল যে ডাক্তার “ধরতে পারছে না”! এবার যতোটা সম্ভব আস্তে করে বলল, “প্যাটে বাচ্চা আছে কি?”

এবার সুশান্ত বুঝে গেছে। বৌয়ের পেটে বাচ্চা আছে কিনা সেটা মুখে বলতে চাইছে না। বৌ তো লজ্জা পেয়ে চুপ করে থাকবেই। এতগুলি বাইরের লোকের কাছে, শাশুড়ী মাও বা কি করে বলে? এবার ডাক্তারকে একটু “হ্যান্টা” হতে হল। ঘরের ভিতর ঢুকে আসা বাকী লোকগুলোকে বের করতে হল। নাড়ি টিপে পেটে বাচ্চা আছে কিনা বলার শিক্ষা সুশান্ত পায়নি। সুশান্ত কেন, ওর কোন শিক্ষক ও কোনদিন এমন কথা শোনেননি। সে যাই হোক, কটা মাসিক বন্ধ আছে ইত্যাদি জেনে, ডাক্তারের রায়টা জানাতে পেরেছিল সুশান্ত।

এ গল্প আমি সুশান্তর কাছে শুনেছি অনেক পরে। কিন্তু শোনার সাথে সাথেই আমার এক শিক্ষকের বহু পুরনো শিক্ষা মনে পড়ল। তখন আমরা সবে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ক্লিনিক্যাল ক্লাশ শুরু করেছি। ঐ একজন স্যারই বলেছিলেন, পালস্ দেখে অনেক কিছুই বোঝা যায়। এ কথা অনেক স্যারই বলেছেন, শিখেওছি। কিন্তু ঐ একজনই বলেছিলেন, সব রুগীর পালসে আগে হাতটা রাখবে। কিছুই হয়তো পাবে না, কিন্তু পালসে হাত রেখে রুগীর সাথে কথা বলার অনেক সুফল পাবে। রুগী তোমার ওপর আস্থা রাখবে, তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে দ্বিধা বোধ করবে না।

একেবারে একশ ভাগ চোখের ডাক্তার হয়ে যাওয়ার আগে, স্যারের ঐ শিক্ষা বেদবাক্যের মত মেনেছি। চোখের ডাক্তারের পালস্ দেখার দরকার হয় না সব সময়। তবুও অভ্যাসটা থেকে গেছে।

এখন আবার উল্টোও ভাবে কেউ কেউ। এখন তো মেশিনের যুগ। গায়ে চুলকানি নিয়ে এসেও কেউ কেউ জানতে চায়, স্ক্যান করার দরকার আছে কি না! পালস্ দেখে “ব্রাডি অ্যারিথমিয়া” পেয়ে, রুগীকে হার্টের ডাক্তারবাবুর কাছে পাঠিয়েছি। সেই রুগীর ইসিজি করে আমার রোগ নির্ণয়কে মান্যতা দিয়েছেন হার্টের ডাক্তারবাবু। এখন আর লোকে পালস্ দেখে “সময় নষ্ট করে না”! বৈদ্যি নাকি?

আমার সামনে কোন রুগীকে হাঁপাতে দেখলেই আমার হাতটা রুগীর পালসে চলে যায়। কে যেন অলক্ষ্যে বলে, “হাতখান ধইরে দ্যাখ কেনে”!

PrevPreviousমাস্কেই মানুষ চ্যালেঞ্জ
Nextকম খরচে কীভাবে মহিলা বা পুরুষের বন্ধ‍্যাত্বের কারণ জানা যায়?Next

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

করোনা এমন করো না

April 12, 2021 No Comments

করোনা এমন করো না এখন এ দেশে রাষ্ট্রের ভোট চলছে! করোনা এমন করো না বদ্যিরা ছাড়া তোমার কথা কে বলছে? করোনা এমন করো না সব

ধিক

April 12, 2021 No Comments

। ধিক!! আঠারোয় মেরে দিলে? ভোট বুঝি এমনই বালাই? যে ছেলেটা মরে গেলো আমারই রক্ত সে, পুত্র বা ভাই। বি জে পি করেই যদি, এ

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

April 12, 2021 No Comments

মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম

ভালো মন্দ

April 11, 2021 No Comments

দুই এক কুড়ি একুশ। এখন করোনাকাল- বাস ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। অথচ অফিস যেতেই হবে। আজও ফিরিঙ্গিবাজার মোড়ে কাকলি অপেক্ষা করছে। যদি কোনও রিজার্ভ অটো

বিষ

April 11, 2021 No Comments

আর্যতীর্থের কবিতা।

সাম্প্রতিক পোস্ট

করোনা এমন করো না

Smaran Mazumder April 12, 2021

ধিক

Arya Tirtha April 12, 2021

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ৭

Dr. Aindril Bhowmik April 12, 2021

ভালো মন্দ

Dr. Dipankar Ghosh April 11, 2021

বিষ

Dr. Sumit Banerjee April 11, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

310835
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।